অনার্সে ভর্তির আবেদন শুরু হওয়ার আগে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। আপনারা যারা অনার্সে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে তাই মনোযোগ সহ পোস্টটি সম্পন্ন দেখতে থাকুন আজকের এই পোস্টে আমরা অনার্স ভর্তির আবেদন কবে শুরু হবে, অনার্স আবেদন করার নিয়ম কি অনার্স শেষ করতে কত টাকা খরচ হয় এবং অনার্সে ভর্তির জন্য কি কি প্রয়োজন কোন সাবজেক্ট অনার্সের জন্য সবচেয়ে ভালো সে সমস্ত বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

তাই অনার্সে ভর্তি ইচ্ছুক  প্রতিবেদনটি সম্পন্ন দেখতে থাকুন আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখব কিভাবে অল্প পয়েন্টও ভালো কলেজে চান্স পাওয়া যায়। অনার্সে আবেদন আরেক থেকে দুই মাসের মধ্যে শুরু হয়ে যেতে পারে তাই এই পোস্টটি মনোযোগ সহ দেখে নিন এবং লিংকটি কপি করে রাখুন অনার্সে আবেদনের আগে পোস্টটি আবারও একবার পড়ে নিতে পারবেন। চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি অনার্স ভর্তির আবেদন কবে শুরু হবে এবং অনার্স আবেদন করার নিয়ম কি অনার্স শেষ করতে কত টাকা খরচ হয় এবং অনার্সে ভর্তির জন্য কি কি প্রয়োজন। 

গত অক্টোবর মাসে ১৫ তারিখে এইচএসসি ফলাফল প্রকাশ করেছে অনেকে ফলাফল পাওয়ার পর হতাশ হয়েছে আবার অনেকেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠেছেন আপনারা যারা এইচএসসি কমপ্লিট করার পর অনার্সে ভর্তি হতে চাচ্ছেন তাদেরকে অনার্সে ভর্তি হওয়ার আগে জানতে হবে কিভাবে অনার্স আবেদন করতে হবে কি কি পেপারস প্রয়োজন। 

অনেকে ভালো রেজাল্ট থাকা সত্ত্বেও অনার্সে কলেজে অথবা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পায় না এর কারণ হলো তারা না জেনেই হুটহাট করে অনার্সের আবেদন করে ফেলেন। অনার্সে আবেদন করার আগে জানতে হবে অনার্সে ভর্তির করার জন্য কি কি প্রয়োজন? প্রথমে চলুন আমরা দেখে আসি অনার্স কোর্স কত বছরের। 

অনার্স কোর্স কত বছরের 

উচ্চ মাধ্যমিক অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর অনার্সে ভর্তি হতে হয়। আমাদের বাংলাদেশের সাধারণত অনার্স চার বছর মেয়াদী কোর্স হয়। আর ডিগ্রী তিন বছর মেয়াদি কোর্স সাথেই ডিগ্রী পাশ করে দুই বছর মেয়াদী মাস্টার্স করতে হয়। অনার্স কোর্সে অনার্স প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় বর্ষ তৃতীয় বর্ষ এবং চতুর্থ বর্ষ রয়েছে। প্রত্যেক বছরে আলাদা আলাদা বই থাকে এবং আলাদা আলাদা পড়া থাকে। 

তাই আপনি যদি ভেবে থাকেন যে অনার্স চার বছর মেয়াদের কোর্সে একই বই চার বছর পড়তে হবে ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভুল। অনার্স যেকোনো একটি সাবজেক্ট এর উপর পড়া হয় অনার্সে পড়াশোনা করলে একজন ব্যক্তি যেকোনো একটি সাবজেক্টের উপর বিশেষভাবে দক্ষ হয়ে ওঠে। যেমন আপনি যদি ইংলিশ কিংবা গণিত নিয়ে অনার্স কমপ্লিট করেন তাহলে অন্যান্য মানুষের জন্য আপনার ব্রেন গণিতে সবচেয়ে বেশি দ্রুততর হবে। 

আরো দেখুন: swagbucks থেকে দিনে ৫০০ টাকা আয় করতে চান?

সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন অনার্স কত বছরের কোর্স। অনার্স ৪ বছর মেয়াদী একটি কোর্স। এবার যখন আমরা দেখে আসি অনার্স ভর্তির আবেদন কবে শুরু হবে। 

অনার্স ভর্তির আবেদন কবে শুরু হবে 

আপনি কি জানেন অনার্স ভর্তির আবেদন কবে শুরু হবে? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত অনার্স শ্রেণীতে পাঠদানকারী কলেজ সমূহে প্রথম বর্ষের শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম এর এখনো কোন তারিখ প্রদান করেনি। গত অক্টোবর মাসে ১৫ তারিখে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ হয়।

ফলাফল প্রকাশের ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে অনার্স ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। প্রথমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য আবেদনপত্র প্রকাশ করা হয় এবং অন্যানের মাধ্যমে এই আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য চান্স পাবে তাদের যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে পরীক্ষা দিতে হবে।

আশা করা যাচ্ছে যে আগামী এক মাসের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার জন্য আবেদনপত্র অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চান্স পাওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদেরকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে এবং এই বছরের প্রশ্নপত্র একটু কঠিন হতে পারে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সম্পন্ন হওয়ার এক মাস পরে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর অনার্স ভর্তির জন্য আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে। 

##পাবলিক ইউনিভার্সিটির পরীক্ষার আবেদন আগামী এক মাসের মধ্যে শুরু হতে পারে এবং  ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনার্স ভর্তির আবেদন আগামী দুই মাসের মধ্যে শুরু হতে পারে। আগামী দুই মাস বলতে বোঝায় যেহেতু গত অক্টোবর মাসে ১৫ তারিখে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ পায় অতএব ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে অথবা জানুয়ারি মাসের শুরুতে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অনার্স ভর্তির আবেদন পত্র প্রকাশ করবে। 
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অনার্স ভর্তির আবেদন কবে শুরু হবে অনার্স ভর্তির আবেদন আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষে অথবা জানুয়ারি মাসের শুরুতেই প্রকাশ পড়বে।। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখনো কোনো প্রকার খবর পাওয়া যায়নি যেকোনো তথ্য পাওয়া মাত্রই আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এবার চলুন আমরা দেখে আসি, অনার্সে কোন সাবজেক্ট সবচেয়ে ভালো। 

অনার্সে কোন সাবজেক্ট সবচেয়ে ভালো 

অনার্সে ভর্তি হওয়ার আগে আমাদের অনেকের মাথায় এই চিন্তা আসে যে অনার্সে কোন সাবজেক্ট সবচেয়ে ভালো হবে কোন সাবজেক্ট নিয়ে পড়লে ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে? যেকোনো সাবজেক্ট নিয়ে ভালোভাবে পড়াশোনা করলে ভবিষ্যৎ ভালো হবে তবে কিছু কিছু সাবজেক্ট রয়েছে যে সাবজেক্ট গুলো নিয়ে পড়াশোনা করলে খুব দ্রুত চাকরি পাওয়া যায় যেমন অর্থনীতি, ইংরেজি, ব্যাংকিং।

অনার্সে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দ অনুসারে সাবজেক্ট বেচে নাই। অনেকেই ইংরেজি পড়তে ভালোবাসে আবার অনেকে বাংলা পড়তে ভালোবাসে এক্ষেত্রে আপনি যে সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে ভালোবাসেন সে সাবজেক্টটি অনার্সে বেছে নিন এতে ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন। নিচে দেখে নিন অনার্সে মানবিক বিভাগে বিষয় কি কি রয়েছে।

অনার্সে মানবিক বিভাগে বিষয় কি কি?

অনার্সের মানবিক বিভাগে রয়েছে ইংরেজি, অর্থনীতি, বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, লোক প্রশাসন আইন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, সমাজকর্ম, ইতিহাস, মনোবিজ্ঞান। এই সাবজেক্ট গুলো অনার্সে মানবিক বিভাগে রয়েছে। মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী যেকোনো একটি সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স কমপ্লিট করতে পারবে। 

অনার্সে যেকোনো সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল অর্জন করলে খুব সহজে চাকরি পাওয়া যায় কিন্তু সবচেয়ে সহজ সাবজেক্ট যেমন সমাজকর্ম , ইতিহাস সমাজবিজ্ঞানে সাবজেক্ট গুলো নিয়ে পড়লে ভালো ফলাফল লাভ করতে পারলেও অতি দ্রুত চাকরি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই চলুন দেখে আসি অনার্সের সবচেয়ে কঠিন সাবজেক্ট কোনটি। 

অনার্সে সবচেয়ে কঠিন সাবজেক্ট 

 অনার্সে সবচেয়ে কঠিন সাবজেক্ট হলো ইংরেজি এবং অর্থনীতি। অনার্সের অন্যান্য সাবজেক্ট গুলো সহজ হলেও এই দুইটি সাবজেক্ট গুলোর মধ্যে অনেক বেশি কঠিন এমনকি এই দুইটি সাবজেক্ট অন্যান্য বিভাগের সাবজেক্ট গুলোকে টেক্কা দেয় যেমন ইংরেজি সাবজেক্ট নিয়ে পড়ে যেকোনো ভালো চাকরিতে খুব সহজে চাকরি পাওয়া যায় আবার অর্থনীতি নিয়ে পড়লেও বিভিন্ন চাকরিতে জয়েন করতে পারবেন।

একজন অর্থনৈতিক শিক্ষার্থী এবং একজন নর্মাল শিক্ষার্থী ব্রেন অনেকটা আলাদা হয়। লক্ষ করে দেখবেন অনার্স পড়েও একজন সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী ব্রেনের তুলনায় অর্থনীতি নিয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর ব্রেন অনেকটা আলাদা হবে এবং খুব সহজে শিক্ষার্থীরা ভালো চাকরিতে জয়েন করতে পারে। অনার্স যেকোনো সাবজেক্ট নিয়ে পড়া যায় কিন্তু ভালো ফলাফল অর্জন করতে না পারলে ভবিষ্যৎ ভালো হবে না।

এই জন্য অবশ্যই ভালো ফলাফল অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে আর অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করলে ভালো ফলাফল অর্জন করা একটু কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই অধিক পরিশ্রম করতে হবে এবং ভালো ফলাফল অর্জন করতে হবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি অনার্সে আবেদনের জন্য কি কি প্রয়োজন?

অনার্সে আবেদনের জন্য কি কি প্রয়োজন? 

অনার্স আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজন? অনার্স আবেদন করার জন্য এসএসসি এবং এইচএসসি রেজিস্ট্রেশন পেপার প্রয়োজন। রেজিস্ট্রেশন পেপার থেকে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং রোল নাম্বার কপি করে অনার্সে আবেদন করতে হবে। তারপর আবেদন কার্যক্রম শেষ হলে আবেদন পত্রটির কম্পিউটারের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে হবে। 

আরো দেখুন: মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

অনেক কলেজে কাগজ পাতি জমানায় আবার অনেক কলেজে কাগজ পাতি ছাড়াই শুধুমাত্র অনলাইন আবেদনের ফলে চান্স পাওয়া যায়। যে কলেজগুলোতে কাগজ পাতি কিংবা পেপার প্রয়োজন সে কলেজে অবশ্য যোগাযোগ করতে হবে এবং জানতে হবে যে কি কি পেপার জমা দিতে হবে। নিচে দেখে নিন আমরা শেয়ার করেছি অনার্সে ভর্তির জন্য কি কি প্রয়োজন। 

অনার্সে ভর্তির জন্য কি কি প্রয়োজন

অনার্সে ভর্তির জন্য বিভিন্ন কাগজ পাতি প্রয়োজন যেমন মার্কশিট মূল প্রবেশপত্র রেজিস্ট্রেশন কার্ড। অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার পরেও ভালো কলেজে চান্স পায়না, এর কারণ হলো তারা কলেজে যে কাগজ পাতি গুলো প্রয়োজন সে কাগজ পাতি গুলো প্রদান করে না।

• অনার্সে ভর্তির জন্য কি কি প্রয়োজন সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে নিচে দেখে নিন।
• আপনি চান্স পেয়েছেন সেটি কম্পিউটার দোকান থেকে চূড়ান্ত ভর্তি ফরম সংগ্রহ করতে হবে। সে ভর্তি দুই থেকে তিনটি কপি করে রাখতে হবে। 
• এসএসসি ও এইচএসসি পাশের মূল প্রবেশ পত্র এবং এর দুইটি ফটোকপি।
• এস এস সি ও ও এইচ এস সি এর মূল মার্কশিট অথবা একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট সহ এর দুইটি ফটোকপি। 
• এসএসসি ও এইচএসসি এর প্রশংসা পত্র অথবা টেস্ট মনিয়াল এর আসল কপি এবং দুটি ফটোকপি।
• পাসপোর্ট সাইজের দুইটি ছবি। 
• পিতা মাতা কিংবা অভিভাবকের পাসপোর্ট সাইজের দুইটি ছবি। 
• পিতা মাতার আইডেন্টিটি কার্ডের ফটোকপি। 
• জন্ম নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি। 
• এসএসসি ও এইচ এস সির মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ডসহ দুইটি ফটোকপি। 
• অনলাইনে পেমেন্ট করলে তার প্রমাণ।

উপরের এই কাগজপত্র গুলো নিয়ে কলেজে জমা দিতে হবে। যেকোনো কলেজে চান্স পাওয়ার পর সঠিক সময় কলেজে ভর্তি হতে হবে। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অনার্স ভর্তির জন্য কি কি প্রয়োজন এবার চলুন আমরা দেখে আসি অনার্স ভর্তি হতে কত টাকা খরচ হয়।

অনার্স ভর্তি হতে কত টাকা খরচ হয় 

সরকারি কলেজে ভর্তি হলে অল্প খরচ হয় এবং বেসরকারি কলেজে ভর্তি হলে তুলনামূলক বেশি খরচ হয়। অনার্স প্রথম বর্ষে সরকারি কলেজে ভর্তি হতে ৬০০০ থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকা খরচ হবে। অনার্সে ভর্তি খরচ সাবজেক্ট এর উপর নির্ভর করে ভাল সাবজেক্ট এবং কঠিন সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করলে ভর্তি ফি বেশি নেই। এবং তুলনামূলক সহজ সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করলে ভর্তি ফি কম নাই।

1. সরকারি কলেজে সর্বোচ্চ ৬০০০ থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা খরচ হয় 
2. বেসরকারি কলেজে ৮০০০ থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

বেসরকারি কলেজে প্রতি মাসে বেতন প্রদান করতে হবে। কিন্তু সরকারি কলেজে কোন বেতন দিতে হয় না এইজন্য সরকারি কলেজের খরচ অনেক কম।  প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অনার্স ভর্তি হতে কত টাকা খরচ হয় এবার চলুন আমরা দেখে আসি যে অনার্স আবেদন করার নিয়ম কি।

অনার্স আবেদন করার নিয়ম কি 

অনার্স আবেদন করার নিয়ম খুবই সহজ আপনারা 1 থেকে দুইবার দেখে নিলে খুব সহজে বাসায় বসে মোবাইল দিয়ে অনার্সে আবেদন করতে পারবেন। তবে এই পোস্টটি সম্পন্ন দেখার পরেও যদি অনার্সে বাসায় বসে আবেদন করতে না পারেন তাহলে আশেপাশে কম্পিউটারের দোকান থেকে খুব সহজে আবেদন করতে পারবেন অনার্সে আবেদন করার জন্য শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন কার্ডের প্রয়োজন। এইচএসসি এবং এসএসসি এর রেজিস্ট্রেশন কার্ডে যে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং রোল নাম্বার দেওয়া রয়েছে এই নাম্বার দিয়ে অনার্স আবেদন করতে হবে। 

• অনার্স আবেদন করার জন্য গুগল অথবা ব্রাউজার ওপেন করে Nu admission সার্চ দিতে হবে।
• ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে  সামনে apply now Nu on campus honours অপশন এর উপর ক্লিক করতে হবে। 
• এখানে দেখুন পাঁচটা স্টেপ দেওয়া রয়েছে। এই পাঁচটা স্টেপ কমপ্লিট করলেই অনার্সে ভর্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
• এবার প্রথমে এসএসসি এবং এইচ এস সি ফরম ফিল আপ করতে হবে।

এসএসসি রোল নাম্বার, বোর্ড এবং কত সালে পাশ করেছেন দিয়ে সাইডে এইচএসসিতে একইভাবে রোল নাম্বার কোন বোর্ড থেকে এক্সাম দিয়েছেন এবং কত সালে পাশ করেছেন সে বিষয়গুলো দিয়ে নিচের নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

উপরের ইনফরমেশন গুলো সঠিক দিলে স্টেপ ২ এ এসএসসি এবং এইচএসসির জিপিএ সহ বাবা মায়ের নাম এবং সমস্ত পারসোনাল ইনফরমেশন দেখাবে যদি সর্বোচ্চ তথ্য ঠিক থাকে তাহলে নিচে নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

তিন নাম্বার স্টেপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এখানে আপনি যে কলেজে ভর্তি হতে চান সেই কলেজটির নির্বাচন করার জন্য প্রথমে select division এবং select district এ নিজের জেলা এবং বিভাগ নির্বাচন করতে হবে। তারপর select college অপশনে ক্লিক করে যে কলেজে ভর্তি হতে চান সে কলেজটির নাম সিলেক্ট করতে হবে।

তারপর কোন সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স পড়তে চান সে সাবজেক্টটি subject list থেকে বেছে নিতে হবে। এখানে একের অধিক সাবজেক্ট নির্বাচন করতে পারবেন। চাইলে প্রতিটি সাবজেক্ট নির্বাচন করতে পারবেন। 

মানবিক বিভাগ থেকে মানবিক বিভাগের সাবজেক্ট এবং ব্যবসা বিভাগের সাবজেক্ট নির্বাচন করতে পারবেন আর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মানবিক ব্যবসা এবং বিজ্ঞান এই তিনটি বিভাগের সাবজেক্ট নির্বাচন করতে পারবেন।

তারপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করলে ৪ নাম্বর স্টেপ do you want to apply for quota? আপনার যদি কোন কোটা থাকে তাহলে কোটার জন্য yes বাটনে ক্লিক করতে পারেন। 

সর্বশেষ স্টেপের স্পষ্ট এইচডি পাসপোর্ট সাইজের একটি ছবি আপলোড করতে হবে। ছবিটি অবশ্যই আগে তুলে রাখতে হবে। এবং ব্যাকগ্রাউন্ড যেকোনো এক কালার হতে হবে। ছবি অতিরিক্ত বড় কিংবা ছোট করা যাবে না। ২০০/২০০ ফরমেট এর ছবি সেভ করে ছবি আপলোড করতে হবে তারপর নিজের মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে  নিচের preview application বাটন এর উপর ক্লিক করতে হবে। 

এত সময় অব্দি আমরা যে ইনফরমেশন গুলো অ্যাড করলাম সেই সমস্ত ইনফরমেশন ঠিক রয়েছে নাকি যাচাই করার জন্য preview অ্যাপ্লিকেশন বাটনে ক্লিক করতে হবে। সমস্ত ইনফরমেশন ঠিক থাকলে  submit application বাটন এর ওপর ক্লিক করতে হবে। 

এপ্লিকেশনটি সাবমিট হয়ে গেলে  এপ্লিকেশন ফর্মটা সুন্দর করে ডাউনলোড করে রাখতে হবে। সাবমিট করার পর সাইডে ডাউনলোড নামক অপশনে ক্লিক করে অ্যাপ্লিকেশনটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে হবে। এবং সেখানে এডমিশন রোল এবং পিন নাম্বার দেওয়া হবে।

এই এডমিশন রোল এবং পিন নাম্বার এর মাধ্যমে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওয়েবসাইট লগইন করতে হবে। এডমিশনের আগে এই রোল নাম্বার এবং পিন নাম্বার হারিয়ে ফেলা যাবে না। 

আরো দেখুন: বাংলাদেশের টপ ৫ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী দেখুন 
উপরের এই কয়েকটি স্টেপ অনুসরণ করলে খুব সহজে বাসায় বসে অনার্সে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। অনার্সে ভর্তির আবেদন করা খুবই সহজ কোনো ঝামেলা ছাড়াই উপরের এই নিয়মগুলো অনুসরণ করুন এবং দ্রুত অনার্সে আবেদন করে ফেলুন। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে অনার্সে আবেদন করতে হবে কিংবা অনার্স আবেদন করার নিয়ম কি।

লেখকের শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম অনার্স আবেদন করার নিয়ম কি এবং অনার্স ভর্তির আবেদন কবে শুরু হবে। অনার্স ভর্তির আবেদন এখনো শুরু হয়নি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোন ভর্তি সংবাদ পাওয়া যায়নি তবে আশা করা যাচ্ছে যে আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষে কিংবা জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ভর্তির আবেদন ফরম প্রকাশ করা হবে।

গত অক্টোবর মাসে ১৫ তারিখের এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির আবেদন ফরম প্রকাশ করে।  আর পাবলিক ইউনিভার্সিটি তে রেজাল্ট পাবলিশের এক মাসের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে প্রিপারেশন নিতে হবে কিন্তু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ার জন্য কোন প্রিপারেশন নিতে হয় না। 

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অনার্স ভর্তির কার্যক্রম সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করলাম আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে অনার্সে আবেদন করতে হবে আপনি যদি অনার্সে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহ দেখে নিন। আজকের এই আর্টিকেলে অনার্সে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে কোন সাবজেক্ট সবচেয়ে ভালো সে সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।