থানাকা ফেস প্যাক আসল নকল চেনার উপায়
আপনি কি থানাকা ফেসপ্যাক আসল নকল চেনার উপায় খুঁজছেন? কারণ বর্তমান সময়ে অনলাইনে এত বেশি প্রতারক রয়েছে তারা আসল থানাকা প্যাক হিসেবে নকল থানাকা প্যাক বিক্রি করেন এবং দাম আসল থানাকা প্যাকের নেন। কিন্তু আপনি যদি আজকের এই উপায় গুলো দেখে নেন তাহলে আপনি আর পরবর্তী সময়ে কখনোই থানাকা ফেসপ্যাক নিয়ে ঠকবেন না। আসল থানাকা চেনার উপায় গুলো দেখে নিন এবং থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম কি, থানাকা ফেস প্যাক দাম কত সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
আপনারা যারা সুন্দর হতে চাচ্ছেন ত্বকের ফর্সা করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা থানাকা ফেস প্যাক দাম, থানাকা ফেস প্যাক আসল নকল চেনার উপায় এবং থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই উপকার পেতে আর্টিকেলটি সম্পন্ন দেখতে থাকুন।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
থানাকা একটি গাছের নাম । প্রথম বার্মা অঞ্চলে এই থানাকা গাছ দেখতে পাওয়া গেছিল থানাকা গাছের ছাল গুড়ো করে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক দ্রুত উজ্জ্বল হয়। এইজন্য লক্ষ্য করে দেখবেন বার্মারা দেখতে অনেক বেশি ফর্সা এবং সুন্দর এর কারণ হলো তারা এই প্রাকৃতিক উপকরণ গুলোকে ত্বকে ব্যবহার করে ত্বকে ফর্সা করছেন। আপনারা যারা ত্বকে সুন্দর করতে চান তারা নিয়মিত থানাকা ব্যবহার করুন।
থানাকা ফেসপ্যাক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ২০০ বছর আগে থেকে এই থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করে ত্বকের সুন্দর করা হচ্ছে রূপচর্চার কাজে থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করা হয় এছাড়াও মিয়ানমারের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে থানা গাছের ছাল ব্যবহার করা হয়। থানাকা গাছ কেনে বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা থানাকা ফেসপ্যাক আসল ও নকল চেনার উপায় গুলো দেখবো। প্রথমেই চলুন আমরা দেখে আসি আসল থানাকা ফেসপ্যাক দাম কত।
থানাকা ফেস প্যাক দাম
থানাকা ফেসপ্যাক এর দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। থানাকা ফেসপ্যাক এর মধ্যে পাউডার দেওয়া থাকে এই পাউডারের মধ্যে হালকা পানি মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে হয়। বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তারা নকল থানাকা ফেস প্যাক দাম একটু কমিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করে ত্বকে কোন ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না বরং তাকে আরো ব্রণ ও কালো দাগ ও অ্যালার্জি সৃষ্টি হয়। বাজারে অগাধ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে থানাকা প্যাকের যে দাম সৃষ্টি হয়েছে তা নিচে দেওয়া হলো দেখে নিনথানাকা ৫০ গ্রাম ফেসপ্যাক এর দাম ৩৪০ টাকা।
ছানাটা ১০০ গ্রাম ফেসপ্যাক এর দাম ৬৫০ টাকা।
থানাকা ১৫০ গ্রাম ফেসপ্যাক এর দাম ৯২০ টাকা।
আরো পড়ুন: টমেটো সুদিং জেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
১০০% খাঁটি আসল থানাকা ১০০ গ্রাম ফেসপ্যাক এর দাম 650 টাকা। আর বাজারে যে সমস্ত নকল থানাকা ফেসপ্যাক গুলো পাওয়া যায় এগুলোর দাম প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এখন পর্যন্ত যত জন ব্যাক্তি এই থানাকা ফেস প্যাক ব্যবহার করেছেন প্রত্যেককে ভালো রিভিউ দিয়েছেন। থানা কা পেস্টাপ ব্যবহার করার ফলে ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা দূর হয় ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হয় এবং ত্বক নরম ও মসৃণ হয় ত্বক থেকে যাবতীয় কালচে দাগ দূর হয়।
১০০% খাঁটি আসল থানাকা ১০০ গ্রাম ফেসপ্যাক এর দাম 650 টাকা। আর বাজারে যে সমস্ত নকল থানাকা ফেসপ্যাক গুলো পাওয়া যায় এগুলোর দাম প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এখন পর্যন্ত যত জন ব্যাক্তি এই থানাকা ফেস প্যাক ব্যবহার করেছেন প্রত্যেককে ভালো রিভিউ দিয়েছেন। থানা কা পেস্টাপ ব্যবহার করার ফলে ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা দূর হয় ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হয় এবং ত্বক নরম ও মসৃণ হয় ত্বক থেকে যাবতীয় কালচে দাগ দূর হয়।
থানাকা একটি গাছের নাম থানাকা গাছের ছার ব্যবহার করা হয় এজন্য এটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং থানাকা ব্যবহার করার ফলে ত্বকের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নেই। কিন্তু বাজারে যে সমস্ত নকল থানা কাপ এক বিক্রি করা হয় এগুলো ব্যবহার করার ফলে ত্বক ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ত্বকের চামড়া পাতলা হয়ে যাবে। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন থানাকা ফেস প্যাক দাম কত এবার চলুন আমরা দেখে আসি থানাকা ফেস প্যাক আসল নকল চেনার উপায়।
থানাকা ফেস প্যাক আসল নকল চেনার উপায়
আসল থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বক ভেতর থেকে ধীরে ধীরে ফর্সা হবে ও ত্বক থেকে যাবতীয় সমস্যা দূর হবে। যেমন ব্রণের কালো দাগ, ডার্ক সার্কেল, রোদের পোড়া কালো ভাব। ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে থানাকা ফেস প্যাক ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আপনি কিভাবে চিনবেন থানাকা ফেস প্যাক আসল নাকি নকল? থানাকা ফেসপ্যাক আসল নকল চেনার কয়েকটি উপায় রয়েছে।দানা দানা ভাব: নকল থানা কা ফেসপ্যাক স্পর্শ করলেন দানা দানা ভাব মনে হবে। নকল থানা কা ফেসপ্যাকের চকের গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়। এজন্য এই চকের গুঁড়ো গুলো হাতের সাথে দানা ভাব মনে হয়। কিন্তু ১০০% খাঁটি আসল খানা কা ফেসপ্যাক স্পর্শ করলে মোমের মত এটি তাদের সাথে বয়ে যাবে এবং খুবই স্মুথ হবে। থানাকা গাছের ছাল বেটে এ থানাকা ফেসপ্যাক তৈরি করা হয়। এই জন্য এই ফেস প্যাকটি খুবই স্মুথ হয়। যারা থানাকা ফেসপ্যাক আসল ও নকল চিনতে চাচ্ছেন তারা থানাকা স্পর্শ করে দেখুন যদি হাতের দানা দানা মনে হয় তাহলে এটি নকল আর যদি স্মুথ হয় তাহলে আসল।
রং : আসল থানাকা ফেস প্যাক এর রং গাঢ় হলুদ ধনের হয় আর নকল থানাকা পাকের রং ঘি এর মত রং হয়। গাছের ছাল বেটে থাকে তৈরি করা হয় এই জন্য এর রং গাছের ছালের মত হয় গাঢ় হলুদ ধরনের। আর নকল থানাকাতে শুধুমাত্র রং ব্যবহার করা হয় এই জন্য এই থানাকা ফেসপ্যাকটি দেখতে ঘি এর মত রং হয়।
সুগন্ধ: আসল থানাকা ফেস প্যাক থেকে মিষ্টি সুগন্ধ বের হয়। এর সুগন্ধ খুবই সুন্দর। আসল থানাকা ফেস প্যাক ত্বকে ব্যবহার করলে এটি ত্বকের সাথে মিশে যাবে এবং ত্বকে সুন্দর রং আসবে কিন্তু নকল থানাকা ফেসপ্যাক থেকে কোন গন্ধ পাওয়া যায় না। আসল থানাকা ফেসপ্যাক ক্রয় করার আগে তার গন্ধ একবার চেক করে নিতে হবে। যদি সুন্দর গন্ধ আসে তাহলে এটি আসল থানাকা ফেসপ্যাক।
ত্বকে মিশে যাবে: আসল থানা কা ফেসপ্যাক ত্বকে ব্যবহার করলে এটি মোমের মতো তাদের সাথে গলে যাবে আর নকল ফেসপ্যাক ত্বকে গুটিগুটি হয়ে থাকবে। আসল থানাকা ফেস প্যাক ব্যবহার করার ফলে ত্বক ঠান্ডা থাকবে এবং ত্বক অনেক বেশি ফ্রেশ মনে হবে।
উৎপত্তি দেশ : থানা কা ফেসপ্যাক মিয়ানমারে তৈরি করা হয় এই জন্য থানাকা আসল হলে তার প্যাকের গায়ে লেখা থাকবে made in Myanmar। আর যদি made in Dhaka লেখা থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে এটি নকল থানাকা।
QR কোড: যেকোনো প্রোডাক্ট ক্রয় করার আগে সেই ব্রান্ডের নাম ক্রিমের উপাদান মেয়াদকাল চেক করা খুবই জরুরী। এছাড়াও প্রোডাক্টের সাথে QR কোড ব্যবহার করা থাকে।QR কোড মোবাইলের সাহায্য স্ক্যান করে দেখলে বোঝা যায় এটি আসল প্রোডাক্ট নাকি নকল প্রোডাক্ট।
উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে খুব দ্রুত দোকানে দাঁড়িয়েই আপনি আসল থানাকার মধ্যে এবং নকল থানাকার মধ্যে তফাৎ বুঝতে পারবেন। আসল থানাকার রং দেখতে হলুদ এবং গাছের ছাল এর মত কিন্তু নকল থানাকার রং দেখতে ঘি এর মত। আসল থানাকা কাছে কি সুন্দর সুবাস আসবে।
আসল থানাকা ফেসপ্যাক স্পর্শ করলে হাতে মোমের মত গলে যাবে এবং এটি খুবই নরম হবে। কিন্তু নকল থানাকা ফেস প্যাক থেকে কোন প্রকার সুবাস আসে না এবং আর নকল থানাকা ফেসপ্যাক এ গুটিগুটি ভাব রয়েছে। এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই আপনি বুঝতে পারবেন থানাকা ফেসপ্যাক আসল নাকি নকল। এবার চলুন আমরা দেখে আসি আসল থানাকা ফেসপ্যাক কোথায় পাওয়া যায়।
থানাকা ফেস প্যাক কোথায় পাওয়া যায়
অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন আসল থানাকা ফেস প্যাক কোথায় পাওয়া যায় কারণ লোকাল বাজারে এখন বেশিরভাগই অসাধু ব্যবসায়ীর নকল থানাকা ফেসপ্যাক বিক্রি করেন। উপরে আমরা শেয়ার করলাম আসল থানাকা ফেসপ্যাক চেনার উপায়গুলো এই উপায় গুলো অনুসরণ করলেও লোকাল বাজার থেকে আসল থানাকা ফেসপ্যাক ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও এখন অনলাইনে বিভিন্ন পেজ রয়েছে যে পেজগুলোতে আসল থানাকা ফেসপ্যাক বিক্রি করা হয়।
আসল থানাকা ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যেই ভাল ফলাফল লাভ করতে পারবেন ত্বককে দুই থেকে তিন শেড ফর্সা করতে পারবেন। অনলাইনে বিভিন্ন পেজে থানাকা ফেসপ্যাক বিক্রি করা হয়। থানাকা ফেসপ্যাক ক্রয় করার আগে অবশ্যই সেই পেজ সম্পর্কে রিভিউ চেক করতে হবে যদি ভালো ভালো রিভিউ দেখতে পান তাহলে সে পেজ থেকে থানাকা ফেস প্যাক ক্রয় করতে পারেন।
এছাড়াও লোকাল বাজার থেকে থানা কা ফেসপ্যাক ক্রয় করতে পারবেন লোকাল বাজারে সমস্ত দোকানদারি প্রতারক নয় কিছু কিছু দোকানদার আসল থানাকা ফেস প্যাক বিক্রি করেন তাদের থেকে চেক করে আসল থানা কা ফেসপ্যাক ক্রাই করতে পারবেন আসল থানাকা ১০০ গ্রাম ফেসপ্যাক এর দাম ৬৫০ টাকা। নকল থানা কা ফেসপ্যাক বাজার ১০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। নকল থানাকা ফেসপ্যাক এর মধ্যে চকের গুড়ো ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম
আপনি কি থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে চান? তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম। কারণ যেকোনো প্রোডাক্ট সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করলে উপকারিতা লাভ করতে পারবেন না। অনেকেই না জেনে ভুল নিয়মে এই থানাকা ফেস প্যাক ব্যবহার করে ক্ষতি সম্মুখীন হচ্ছেন। ছানাকা মায়ানমারে তৈরি করা হয় থানাকা ব্যবহার করার ফলে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয় মসৃণ হয় এবং তার থেকে দাগ দূর হয় ত্বক সাদা ফর্সা হয়নি।
তা ব্যবহারের সঠিক নিয়ম হল একটি বাটির মধ্যে দুই থেকে তিন চা চামচ থানাকা পাউডার নিয়ে তার মধ্যে এক চা চামচ পানি অথবা দুধ মিশিয়ে মিশন থেকে ভালোভাবে ফিটতে হবে। মিশ্রনটি ভালোভাবে ফিটা শেষে এটি মোমের মত স্মুথ হবে। ত্বকে ব্যবহার করার সাথে সাথে এটি ত্বকের সাথে মিশে যাবে এবং ত্বককে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা করবে। থানাকা দিলে একবার ব্যবহার করতে হবে তো সর্বোচ্চ দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারবেন। থানাকা পাউডারের মধ্যে এক চা চামচ দুধ মিশিয়ে নিলে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। থানাকার মধ্যে কাঁচা দুধ মিশিয়ে এটি সরাসরি ব্যবহার করতে হবে।
থানাকা ত্বকে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানির সাহায্যে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মুহূর্তে ত্বকে কোন সাবান কিংবা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যাবে না কিন্তু থানাকা ব্যবহার করার আগে ত্বক ভালোভাবে ফেসওয়াশ এর সাহায্যে পরিষ্কার করে নিতে হবে। নিয়মিত একবার তোকে ছানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ছাদ থেকে ৮ দিনের মধ্যে ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন। আর চেষ্টা করবেন ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত তাকে থানাকা ফেসপ্যাক লাগিয়ে রাখার। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি থানাকা ফেস প্যাক এর উপকারিতা।
থানাকা ফেস প্যাক উপকারিতা
থানাকা ফেস প্যাকের উপকারিতা অনেক কিন্তু উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই সঠিক নিয়মে থানাকা ফেস প্যাক ব্যবহার করতে হবে। যে কোন প্রোডাক্ট সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে উপকারিতা লাভ করা যায়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা দেখবো থানাকা ফেসপ্যাক এর উপকারিতা গুলো থানাকা এটি একটি গাছের নাম এবং গাছের ছাল থেকে এই ফেসপ্যাক তৈরি করা হয়েছে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বককে গভীর থেকে মসৃণ করে ফর্সা করে ও ত্বক থেকে দাগ সব দূর করতে সাহায্য করে। চলুন ঝটপট দেখে নেওয়া যায় থানাকা ফেস প্যাক উপকারিতা।
ত্বকে মসৃণ করে এটি ত্বকে কমল ও আরো সাদা ফর্সা করতে সাহায্য করে।
- ত্বক থেকে তৈলাক্ত ভাব দূর করে অনেকের ত্বকে অতিরিক্ত তেড়ে সমস্যা রয়েছে যার ফলে ব্রন হয়। থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করার ফলে ত্বক থেকে তৈলাক্ত ভাব দূর হয়।
- ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। ত্বকে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রমণ হলে ব্রণ কিংবা অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় সে সমস্যা দূর করতে থানাকা ফেস প্যাক ব্যবহার করতে হবে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা আরো বৃদ্ধি করে। সত্যিই ধারাকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করার ফলে ত্বকে আরো চার থেকে ৫ সেড পর্যন্ত ফর্সা করা যায়।
- রোদে পোড়া ভাব দূর করে। ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে রোদের কালো ছাপ পড়ে যায়। থানাকা ৩ থেকে চার দিন ত্বকে ব্যবহার করার ফলে রোদে পোড়া ভাব দূর হবে।
- ত্বক থেকে মরা কোষ অথবা ডেড স্কিন দূর করতে সাহায্য করে। আমাদের অনেকের ত্বকে ব্ল্যাকহেডস থাকে এই ব্ল্যাক হেডসেট মরা কোষ বলা হয় যা ত্বকে ময়লা আকারে জমে থাকে। আর ত্বকের থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের ভেতর থেকে যাবতীয় ময়লা ও ব্লাক হেড এবং মোরা কোষ দূর হবে।
- থানাকা ফেস প্যাক রেগুলার ব্যবহার করলে মেছতা সহ ত্বকের যাবতীয় দাগ দূর হবে।
- ব্যবহার করার ফলে ত্বক থেকে ব্রণ দূর হবে এলার্জির সমস্যা দূর হবে অনেকের এলার্জি থেকে ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হয়।
- ডার্ক সার্কেল দূর করতে থানাকা ব্যবহার করতে হবে।
নিয়মিত থানাকা ফেস প্যাক ব্যবহার করার ফলে উপরের এই উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন। থানাকা ফেস প্যাক সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয়। তবে নকল-থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করার ফলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। যেমন ত্বকের চামড়া পাতলা হয়ে যাওয়া, ব্রণ সৃষ্টি হওয়া, কালচে দাগ হওয়া। এজন্য যেকোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে প্রোডাক্ট আসল নাকি নকল যাচাই করে কিনতে হবে। ওপরে আমরা থানাকা ফেসপ্যাক আসল ও নকল চেনার উপায় গুলো শেয়ার করলাম। উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করলে গ্যারান্টি সহ নকল এবং আসল ছানাকা পাকের মধ্যে তফাৎ বুঝতে পারবেন।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
কিভাবে ত্বককে সুন্দর করবো?
আপনি কি আপনার ত্বককে সুন্দর করতে চান? তাহলে এখন থেকে থানাকা ফেস প্যাক ব্যবহার করুন এটি আপনার ত্বকের ভেতর থেকে লাবণ্যময় ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে। থানাকা ফেসপ্যাকের ভিটামিন বি ৬ ভিটামিন বি ৩ সহ আরও বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে চান তাহলে আজ থেকেই থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করা শুরু করুন। এটি সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আপনার ত্বককে সুন্দর করে তুলবে।
থানাকা ফেস প্যাক এ কি কি ভিটামিন উপাদান রয়েছে?
আপনি কি জানেন থানাকা ফেস প্যাক এ কি কি ভিটামিন উপাদান রয়েছে? ধামাকা ফেসপ্যাকের ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ৩ সহ থায়ামিন ও নিয়ামিন রয়েছে। এই উপাদান গুলো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ত্বক থেকে স্নান দূর করবে ডার্ক সার্কেল দূর করবে ত্বকের ভেতর থেকে লাবণ্যময় ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা কি দূর করতে থানাকা ব্যবহার করতে হবে।
থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম কি?
আপনি কি জানেন থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম কি? থানাকা ফেস প্যাক সঠিক নিয়ম ব্যবহার না করলে উপকারিতা লাভ করতে পারবেন না। এর জন্য উপরে দেখে নিন আমরা থানাকার ফেসপ্যাক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পাশাপাশি থানাকা ফেস প্যাক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো শেয়ার করেছি। এছাড়া বর্তমান বাজারে এখন প্রতারকের সংখ্যা অনেক বেশি। তারা আসল থানাকা হিসেবে নকল থানাকা প্যাক বিক্রি করে। তাই আসল ও নকল থানাকা পাকের মধ্যে কি কি তফাৎ রয়েছে । কিভাবে আসল থানাকা প্যাক যাচাই করতে হবে উপরের নিয়ম দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা থানাকা ফেসপ্যাক আসল ও নকল চেনার উপায় এর পাশাপাশি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আমরা প্রত্যেকেই তো সুন্দর ও লাবণ্যময় ত্বক পেতে চাই। আর সুন্দর ত্বকের রহস্য হলো থানাকা ফেসপ্যাক। থানাকা ফেসপ্যাক ত্বকে ব্যবহার করার ফলে ত্বক ভেতর থেকে ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হবে তার থেকে দাগ ও ব্রণের সমস্যা চিরতরে দূর হবে। ত্বক ভেতর থেকে সুন্দর হয়ে উঠবে আপনি যদি সুন্দর হতে চান,
নিজেকে আরো সুন্দরী হিসেবে দেখতে চান তাহলে থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এটি সত্যি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আমরা অনেকেই ত্বককে সুন্দর করার জন্য বাজারের ক্ষতিকর নাইট ক্রিম ব্যবহার করি, এই ক্রিম গুলো ব্যবহার করার ফলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। যেমন ত্বকের সৃষ্টি হওয়া কালচে দাগ পাতলা হয়ে যাওয়া ত্বকে ক্যান্সার। তাই নাইট ক্রিম বাদ দিয়ে থানাকা ব্যবহার করুন। এটি সম্পূর্ণ সাইড ইফেক্ট ছাড়া আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করতে সাহায্য করবে। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url