১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন-মুরগির মাংসের উপকারিতা

দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা ও ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন রয়েছে? ১০০ গ্রাম মুরগির মাংস থেকে প্রায় এক চতুর্থাংশ প্রোটিন পাওয়া যায়।
১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন-মুরগির মাংসের উপকারিতা
আপনি যদি জানতে চান ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন আছে তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসের কত প্রোটিন আছে এবং মুরগির মাংসের উপকারিতা, দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা সহ ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন-মুরগির মাংসের উপকারিতা

      ভুমিকা     

মুরগির মাংস খেতে আমরা প্রত্যেকেই খুব ভালোবাসি বিশ্ব বাপি মুরগির মাংস জনপ্রিয়। মুরগির মাংসের দামও অনেক কম।  এই জন্য অনেকের নিত্যদিনের খাবার হিসেবে রয়েছে মুরগির মাংস। বর্তমান সময়ে বাজারে খাসি এবং গরুর মাংসের চড়া দামের কারণে মুরগির মাংসের চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। এছাড়াও মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। লাল মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু মুরগির মাংস থেকে ভরপুর প্রোটিন পাওয়া যায় এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং ত্বককে সুন্দর করতে সাহায্য করে।

মুরগির মাংস প্রোটিনের ভরপুর এবং মুরগির মাংস কোষের ক্ষয় হওয়া রোধ করে এবং হাড় ও পেশীকে মজবুত করে। এর জন্য বাচ্চাদের জন্য মুরগির মাংস খুবই উপকারী বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে বেশি বেশি মুরগির মাংস খেতে হবে। এতে দ্রুত গর্ভের বাচ্চার হার ও পেশী গঠন হবে এবং পেশী মজবুত হবে। চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা। 

দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা

দেশি মুরগি খেতে ভালবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। মুরগির মাংস বাজারে খুব অল্প দামে পাওয়া যায়। এজন্য আমরা প্রত্যেকেই মুরগির মাংস খেতে খুব ভালোবাসি। এছাড়া মুরগির মাংসের স্বাদের দিক থেকে অতুলনীয়। শুক্রবার আসলেই মুরগির মাংস দিয়ে আলু তরকারি বানিয়ে খাওয়া হয় এবং এই তরকারি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। মুরগির মাংস থেকে ভরপুর পুষ্টি পাওয়া যায় বিশেষ করে মুরগির মাংস কে প্রোটিনের উৎস বলা হয়।। 

একটু অসুস্থ হলেই বাসায় মা - নানি মুরগির মাংস সিদ্ধ করে খেতে দেয়। দেশি মুরগির মাংসের শরীরে ওষুধের মত কাজ করে। দেশী মুরগির মাংসের উপকারিতা অনেক। দেশি মুরগির মাংস থেকে ভরপুর প্রোটিন পাওয়া যায় যা হার ও পেশীকে শক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও দেশি মুরগির মাংস থেকে ভরপুর কার্বোহাইড্রেট ও শক্তি পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট শরীরের আদ্রতা বজায় রাখে এবং শরীরে  শক্তি ও এনার্জি যোগায়। দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা এখানেই শেষ নয়। দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে নিচে দেখুন। 

শক্তি বৃদ্ধি করে১০০ গ্রাম দেশি মুরগির মাংস  ১৬০-১৭০ শক্তি পাওয়া যায়। এইজন্য দেশি মুরগি খাওয়ার ফলে দ্রুত শরীরে শক্তি ও এনার্জি বৃদ্ধি পায়। আগে যখনই আমরা অসুস্থ হয়ে পড়তাম তখন আমাদের দাদি ঠাকু-মা আমাদেরকে দেশি মুরগির মাংস সিদ্ধ করে দিতেন। এর কারণ হলো দেশি মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে খুব দ্রুত শরীরে এনার্জি বৃদ্ধি পায়। দেশি মুরগির ওজন যত বেশি হবে সেই মুরগির মাংস থেকে শক্তি তত বেশি পাওয়া যাবে। এইজন্য বেশি ওজন বিশিষ্ট দেশি মুরগি রান্না করতে হবে এতে বেশি পুষ্টিগুণ লাভ করা যাবে।

ফ্যাট এর পরিমাণ কম : ব্রয়লার মুরগির তুলনায় দেশি মুরগিতে ফ্যাট এর পরিমাণ অনেক কম রয়েছে। এই জন্য হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দেয় পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধি পায়। ব্রয়লার মুরগিতে ফ্যাটের পরিমাণ একটু বেশি তবে দেশি মুরগিতে ফ্যাটের পরিমাণ কম। এইজন্য ব্রয়লার মুরগির তুলনায় দেশী মুরগি খাওয়া বেশি উত্তম। ব্রয়লার মুরগি অতিরিক্ত খেলে মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু দেশী খাওয়ার ফলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দেশি মুরগি থেকে কম পরিমাণে ফ্যাট পাওয়া যায় তাই নিশ্চিন্তে দেশি মুরগি খেতে পারেন।

হার্টের জন্য উপকারী: দেশি মুরগি হার্টের জন্য উপকারী। দেশি মুরগি থেকে প্রায় 40% পটাশিয়াম পাওয়া যায়।। পটাশিয়াম হার্ট এর কার্যক্ষমতা গুলোকে উন্নত করে এবং দ্রুত রক্ত সরবরাহ করতে সাহায্য করে। মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এইজন্য বেশি বেশি দেশি মুরগির মাংস খেতে হবে। হার্ট শরীরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি এজন্য হার্টের যত্ন নিতে নিয়মিত মুরগির মাংস খেতে হবে অথবা সপ্তাহে তিন থেকে চারবার মুরগির মাংস খেতে হবে। 

ত্বক সুন্দর করে : দেশি মুরগির মাংস থেকে ভিটামিন বি ২ এবং ভিটামিন বি ৬ পাওয়া যায়। দেশি মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে ত্বক থেকে ফ্রি রেডিকেলস দূর হয়, ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর হয়। দেশি মুরগির মাংস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। দেশি মুরগির মাংস খেলে ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক থেকে কালচে দাগ ব্রণের সমস্যা দূর হয়। ত্বককে সুন্দর করতে দেশি মুরগির মাংস খেতে হবে ।

হজম শক্তি উন্নত করে : দেশি মুরগির মাংস খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়। দেশি মুরগির মাংস থেকে উচ্চমানের ফাইবার পাওয়া যায়। ফাইবার হজম শক্তিকে উন্নত করে এবং দ্রুত যে কোন খাদ্য হজম হতে সাহায্য করে এতে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়।। হজম শক্তি সঠিকভাবে কাজ না করলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়, পেট ফেঁপে থাকে এবং পেটে ব্যথা হয়। হজম শক্তি উন্নত করতে দেশি মুরগির মাংস খেতে হবে। দেশি মুরগির মাংস হজম শক্তি উন্নত করে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: দেশি মুরগির মাংস থেকে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এই এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরে ইউমিনিটি সিস্টেমকে আরো উন্নত করে অথবা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমাদের প্রত্যেকের শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেম রয়েছে যা রোগবালাইকে দূর করে এবং যে কোন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণকে প্রতিরোধ করে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দেশি মুরগির মাংস খেতে হবে। দেশি মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

 প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে: দেশি মুরগির মাংস প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে। দেশি মুরগির মাংস থেকে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন পাওয়া যায় দেশি মুরগির মাংস কে প্রোটিনের উৎসে বললেই চলে। আমরা প্রত্যেকে জানি মুরগি মাংস থেকে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়। ব্রয়লার মুরগির তুলনায় দেশি মুরগি থেকে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই বাচ্চাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত দেশি মুরগির মাংস রাখতে হবে। দেশি মুরগির মাংস  তাদের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে।

হাড় ও পেশীকে মজবুত করে : দেশি মুরগির মাংস হাড় দাঁত ও পেশী মজবুত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বাচ্চাদের হাড় ও দাঁত  মজবুত করতে তাদেরকে বেশি বেশি দেশি মুরগি মাংস খাওয়াতে হবে। মুরগির মাংস থেকে উচ্চমানের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। ব্রয়লার মুরগির তুলনায় দেশি মুরগি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী। 

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার পেশী গঠনে ভূমিকা রাখে: গর্ভাবস্থায় দেশি মুরগির মাংস খেতে হবে। গর্ভকালীন সময়টিতে শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং হজম শক্তিতে নানান গন্ডগোল দেখা দেয়। দেশি মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দেশী মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে রোপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে হজম শক্তি ভালো থাকবে এবং গর্ভের বাচ্চার হার ও পেশী মজবুত হবে। গর্ভাবস্থায় দেশি মুরগির মাংস খাওয়ার পরে বাচ্চার দ্রুত বুদ্ধি বিকাশ হবে। 

দেশি মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এইজন্য বেশি বেশি দেশী মুরগির মাংস খেতে হবে এবং লাল মাংস পরিহার করতে হবে। আমরা অনেকেই মুরগির মাংস তুলনায় লাল মাংস খেতে খুব ভালোবাসি। কিন্তু লাল মাংসের তুলনায় মুরগির মাংস বেশি উপকারী। লাল মাংসের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে গরুর মাংস। গরুর মাংস খাওয়ার পরে শরীরে এলার্জি প্রভাব দেখা দেয়। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়। আশা করছি দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে আপনি বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন আমরা দেখে আসি ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা।

ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা

ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা কি? যে কোন মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মুরগির মাংস থেকে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন পাওয়া যায়। এজন্য বেশি বেশি মুরগির মাংস খেতে হবে। এছাড়াও মুরগির মাংস বাজারে অল্প মূল্যে পাওয়া যায়।  দেশি মুরগির তুলনায় কিংবা কক মুরগির তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম অনেক বেশি কম। ব্রয়লার মুরগির দাম কম হলেও এর গুনাগুন ও ভিটামিন অনেক বেশি। নিঃসন্দেহে ব্রয়লার মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখে নিন।
  • ব্রয়লার মুরগি থেকে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন শরীরের হার ও পেশী গুলোকে মজবুত করে এবং কোষগুলোকে রক্ষা করে।
  • ব্রয়লার মুরগী থেকে পাওয়া অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে রোগবালাই কে দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। 
  • ব্রয়লার মুরগী থেকে ফাইবার পাওয়া যায়, যা হজম শক্তিকে ভালো রাখে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে। 
  • বয়লার মুরগী থেকে ভিটামিন বি ২ ও ভিটামিন বি ৬ পাওয়া যায়। 
  • বয়লার মুরগি ত্বকের জন্য উপকারি। ত্বককে সুন্দর করে এবং ত্বক থেকে দাগ চ্চপ দুর করে।
  • কয়লার মুরগি হার্টের জন্য উপকারী। ব্রয়লার মুরগী থেকে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। যা হার্টের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
  • তবে ব্রয়লার মুরগি থেকে ফ্যাট পাওয়া যায় যা শরীরকে মোটা করতে সাহায্য করে। বয়লার মুরগির চামড়া ছাড়িয়ে নিলে ফ্যাটের পরিমাণ কমানো সম্ভব।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ব্রয়লার মুরগির উপকারিতা সম্পর্কে। ব্রয়লার মুরগির মাংস থেকে প্রোটিন সহ ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ৬, পটাশিয়াম, ফাইবার, সেলেনিয়াম সাথে আর অন্যান্য পুষ্টিগুন ভিটামিন উপাদান পাওয়া যায়। বয়লার মুরগী থেকে এক তৃতীয়াংশ শক্তি পাওয়া যায়। ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ফলে শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয় এবং এনার্জি বৃদ্ধি পায়। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন রয়েছে? 

১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন 

আপনি কি জানেন ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন রয়েছে? আমরা অনেকেই তো মুরগির মাংস খেতে খুব ভালোবাসি. ওপরে আমরা দেখলাম ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা এবং দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করলাম। নিঃসন্দেহে লাল মাংসের তুলনায় মুরগির মাংসের উপকারিতা অনেক বেশি। 

মুরগির মাংস থেকে ভরপুর প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিনের সাথে শক্তি পাওয়া যায়। যা শরীরে শক্তি ও এনার্জি পরিমাণকে বৃদ্ধি করে। বাচ্চাদের জন্য মুরগি খুবই উপকারী । মুরগি বাচ্চাদের হাড় দাঁত ও পেশীকে মজবুত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় হজম শক্তিকে ভালো রাখে পাশাপাশি শরীর থেকে রোগ বালাই দূর করে। এখন প্রশ্ন হল ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন পাওয়া যায়?

১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে ২০-২৫ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। মুরগির বুকের মাংস থেকে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। মুরগির কলিজা থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। ২০০ গ্রাম মুরগির মাংসে ৪০-৫০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ১ কেজি মুরগির মাংসে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।

১০০ গ্রাম ব্রয়লার মুরগির মাংসে ২৫-৩০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ব্রয়লার মুরগির মাংসের প্রোটিনের পাশাপাশি ফ্যাট পাওয়া যায় এবং ফ্যাট শক্তি উৎপন্ন করে। ২০০ গ্রাম ব্রয়লার মুরগির মাংস থেকে ৫০-৬০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ১ কেজি পরিমাণ ব্রয়লার মুরগির মাংস থেকে প্রায় ২৫০-৩০০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।

১০০ গ্রাম দেশি মুরগির মাংসে ২২-২৫ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। দেশি মুরগির মাংসে বুকের অংশে এবং ডানা ও পায়ের মাংসে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। ২০০ গ্রাম দেশি মুরগির মাংস থেকে প্রায় ৪৫-৫০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় আবার এক কেজি দেশি মুরগির মাংস থেকে প্রায় ২২০ থেকে ২৫০ গ্রাম প্রোটিন সংগ্রহ করা যায়। 

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে প্রায় ২০ থেকে ২৫ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মুরগির মাংসের উপকারিতা দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতার সাথেই ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর 

মুরগির মাংসের উপকারিতা কি? 
আপনি কি মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়, মুরগির মাংস থেকে পাওয়া প্রোটিন দাঁত হার ও পিসিকে মজবুত করে এবং শরীরের রোগ বালাই দূর করে। মুরগির মাংস খাওয়ার পরে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়, হজম শক্তি উন্নত হয় এবং মুরগির মাংস থেকে পাওয়া ক্যালোরি শরীরে শক্তি উৎপন্ন করে। গর্ভকালীন সময় মুরগির মাংস খেলে দ্রুত বাচ্চার হার ও পেশী গঠন হয়। মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য লাভ করতে ওপরে দেখে নিন।
 
মুরগির মাংস খেলে কি চোখের জ্যোতি বাড়ে? 
মুরগির মাংস খাওয়ার সাথে চোখের জ্যোতি বাড়ার কোন সম্পর্ক নেই।ভিটামিন এ এর অভাবে চোখের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। চোখের দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে কিংবা চোখের জ্যোতি বাড়াতে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। যেমন ছোট মাছ সামুদ্রিক মাছ টুনা মাছ, স্যালমন মাছ। পাশাপাশি ওমেগা থ্রি ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতে হবে।

ব্রয়লার মুরগি থেকে কেমন প্রোটিন পাওয়া যায়? 
ব্রয়লার মুরগি থেকে উচ্চমানের প্রোটিন পাওয়া যায়। ব্রয়লার মুরগিকে প্রোটিনের উৎস বলা যেতে পারে। ব্রয়লার মুরগি থেকে প্রায় সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়।যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এইজন্য শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে সবার প্রথমে ব্রয়লার মুরগি সিদ্ধ করে খাওয়া শুরু করুন। অথবা ব্রয়লার মুরগির সুপ করে খেলেও উচ্চমানের প্রোটিন সংগ্রহ করা সম্ভব।

শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন রয়েছে, ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা কি, দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা কি এবং দেশি মুরগির মাংস থেকে কত গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ৫০০ গ্রাম দেশি মুরগি মাংস থেকে প্রায় ১৫০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ৫০০ গ্রাম ব্রয়লার মুরগির মাংস থেকে প্রায় ১৮০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। 

ব্রয়লার মুরগির মাংস থেকে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। কারণ ব্রয়লার মুরগির বুকের অংশে বেশি ফ্যাট ও প্রোটিন রয়েছে। মুরগির মাংস সরাসরি সিদ্ধ করে খেলে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন লাভ করা যায়। মুরগির মাংস যখন রান্না করা হয় তখন এর অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই জন্য বাসায় কেউ অসুস্থ থাকলে আমাদের দাদী এবং নানি মা বেশি বেশি মুরগির মাংস খেতে বলেন। 

কারণ মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং রোগ বালাই দূর হয় এতে শরীর সুস্থ থাকে। লাল মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর লাল মাংস খাওয়ার পরে বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দেয়। তবে মুরগির মাংস লাল মাংস অনেক বেশি উপকারী। এমনকি গর্ভকালীন সময়েও মুরগির মাংস খাওয়ার পরে বিভিন্ন উপকারিতা লাভ করা যায়

গর্ভকালীন সময়ে মুরগির মাংস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় এবং গর্ভের বাচ্চার দ্রুত  হার ও পেশী গঠন হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ১০০ গ্রাম মুরগির মাংস কত প্রোটিন পাওয়া যায় এবং মুরগির মাংসের উপকারিতা কি। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে কত প্রোটিন পাওয়া যায়।
পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url