কমলালেবুতে কোন এসিড থাকে বিস্তারিত জানুন

কমলালেবুতে কোন এসিড থাকে? অনেকে আমাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে কমলালেবুতে কোন এসিড থাকে? কমলালেবুতে কোন কোন এসিড থাকে  এবং কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব।
কমলালেবুতে কোন এসিড থাকে
কমলা লেবুতে সবচেয়ে বেশি সাইট্রিক এসিড থাকে। কমলালেবু খাওয়ার ফলে কি কি উপকারিতা লাভ করা যায় এবং কিভাবে কমলালেবু খেলে শরীর ভালো থাকবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে আসি কমলালেবুতে কোন এসিড থাকে এবং কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ।

পেজ সূচিপত্র : কমলালেবুতে কোন এসিড থাকে বিস্তারিত জানুন

          ভূমিকা          

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কমলালেবু পাওয়া যায়। বিশেষ করে শীতকালে কমলালেবু বেশি দেখা যায়। টক স্বাদ যুক্ত এই কমলালেবু বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা প্রত্যেকে খেতে খুব ভালোবাসে এছাড়াও কমলালেবু পুষ্টিগুণে ভরপুর কমলা লেবু থেকে উচ্চমানের ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

ভিটামিন সি দাঁত ও নারীর স্বাস্থ্যকে উন্নত করে রোগবালায় দূর করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ভিটামিন সি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো কাজ করে। আমরা অনেকেই তো কমলা লেবু খাই কিন্তু কামড়ালেবুর উপকারিতা সম্পর্কে জানি না তাই আজকের এই আর্টিকেলে কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। নিচে দেখুন দেওয়া রয়েছে কমলা লেবুতে কোন এসিড থাকে।

কমলালেবুতে কোন এসিড থাকে

আপনি কি জানেন কমলালেবুতে কোন এসিড থাকে? পুরো বিশ্ব জুড়ে কমলালেবু জনপ্রিয়।  কমলালেবু বিভিন্ন ধরনের রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো এই কমলা। গারো সোনালী রংয়ের এই ফলটি থেকে ভরপুর রস পাওয়া যায় এবং এই কমলার রসে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যাসিড রয়েছে।। কমলা লেবু থেকে তিন ধরনের এসিড পাওয়া যায়। 
১) সাইট্রিক এসিড 
২) এসকরবিক এসিড
৩) ম্যালিক এসিড
সাইট্রিক এসিড এর উপকারিতা
বিভিন্ন ফল থেকে সাইট্রিক এসিড পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় কমলালেবু থেকে। সাইট্রিক এসিড এর স্বাদ হলো হালকা তেতো ও টক। সাইট্রিক এসিডের উপকারিতা অনেক। এটির শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উৎপন্ন করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোকে রক্ষা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে, দ্রুত পচন ক্রিয়া ঘটায়। সাইট্রিক এসিড শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে।

এসকরবিক এসিড এর উপকারিতা 
ভিটামিন সি এর অপর নাম হল এসকরবিক এসিড। এসকরবিক এসিড বিভিন্ন ফলমূল থেকে পাওয়া যায় যেমন কমলালেবু থেকে উচ্চ মানে  এসকরবিক এসিড পাওয়া যায়। এসকরবিক এসিড শরীরের রোগ বালাইকে দূর করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যকে উন্নত। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কে দূর করে, ব্রণর সমস্যা দূর করে। এসকরবিক এসিড দাঁতের মাড়ি স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। এসকরবিক এসিড লোহা শোষণ করে এবং রক্তশূন্যতা দূর করে, রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। 

ম্যালিক এসিডের উপকারিতা
কমলা লেবু থেকে ভরপুর ম্যালিক এসিড পাওয়া যায় পাশাপাশি আরও বিভিন্ন শাকসবজি থেকেও ম্যালিক এসিড পাওয়া যায়। ম্যালিক অ্যাসিডের কাজ হল পরিপাকতন্ত্রের সাহায্য করা এবং দ্রুত পচন ক্রিয়া ঘটানো হজম শক্তিকে উন্নত করা ত্বকের স্বাস্থ্যকে উন্নত করা, ত্বককে সুন্দর করা। ম্যালিক অ্যাসিড লালা গ্রন্থির কাজকে উদ্দীপ্ত করে।

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ কমলালেবু থেকে এই তিনটি এসিড পাওয়া যায় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাই বেশি বেশি কমলালেবু খেতে হবে এবং শরীরের রোগবালাইকে দূর করতে হবে ঠিক রাখতে হবে। বুঝতে পেরেছেন যে কমলালেবু ত্বকের জন্য উপকারী ত্বকের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে তৈলাক্ত ভাব দূর করে। তাই তোকে সৌন্দর্যতা ফুটিয়ে তুলতে বেশি বেশি কমলালেবু খেতে হবে কমলালেবু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এবার চলুন আমরা দেখে আসি কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ।

কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ 

আপনি কি কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চান? ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে কমলালেবু থেকে ম্যালিক এসিড এসকরবিক এসিড এবং প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড পাওয়া যায় এই এসিড গুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এবং ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বককে হাইড্রেট রাখে। কমলালেবুর আরো বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। 

যেমন: কমলালেবু খেলে চোখের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। চোখের রেটিনায় ক্ষতিকর আলো পড়ে না। কমলালেবু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় শরীরের রক্ত উৎপন্ন হয়। কমলা থেকে প্রচুর ভিটামিন পাওয়া যায়। কমলার ভিটামিন দিয়ে বিভিন্ন ঔষধ তৈরি করা হয়। তাই অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা কমলাকে ঔষুধের সাথে তুলনা করেছেন। আপনি যদি কমলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচে দেখে নিন।

১০০ গ্রাম কমলালেবু থেকে ৪৭ গ্রাম্য ক্যালরি, স্যাচুয়েটেড ফ্যাট, কোলেস্টেরল, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, লৌহ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ফ্যাট, ডায়েটারি ফাইবার, শর্করা পাওয়া যায়। ২০০ গ্রাম কমলালেবু থেকে আরও বেশি পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। 

বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত সকালে একটি কমলা লেবু খাওয়ার ফলে সারাদিন শরীরে অনেক শক্তি উৎপন্ন হবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে কাজকামে মন বসবে। শরীরের যাবতীয় রোগকে নিমিষেই দূর করার জন্য নিয়মিত কমলালেবু খাওয়ার জরুরী। কমলার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন দেওয়া রয়েছে।

ত্বককে উজ্জ্বল করে: ত্বকের জন্য খুবই উপকারী আপনারা যারা ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করতে চাচ্ছেন তারা নিয়মিত কামদানি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন প্রতিদিন সকালে কমলালেবুর রস খাওয়ার ফলে ত্বক সুন্দর হবে। আমরা প্রত্যেকে সুন্দর ত্বক পেতে চাই সুন্দর তক পাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার প্রোডাক্ট ব্যবহার করি.

কিন্তু এখন চাইলে আপনি শুধুমাত্র কমলালেবু খাবার মাধ্যমিকে সুন্দর করতে পারবেন।এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন কমলা থেকে প্রচুর ভিটামিন সি পাওয়া যায় ভিটামিন সি সরাসরি ত্বককে সুন্দর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 
  • ত্বক থেকে কালো দাগ দূর করে
  • ত্বক থেকে ব্রণের সমস্যা দূর করে।
  • ব্রণের কালো কালো ছোট দাগ দূর করে। 
  • বয়সের ছাপ দূর করে। 
  • ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
  • চোখের নিচে ডার্ক স্পট দূর করে। 
  • বড় বড় পোর মিনিমাইজ করে। 
কমলা থেকে তিন ধরনের এসিড পাওয়া যায় আর প্রতিটি এসিড ত্বক সুন্দর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে তাই ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি করতে এবং ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে নিয়মিত কমলা খেতে হবে। 

ওজন কমাতে সাহায্য করে: কমলালেবু দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।  কমলা থেকে প্রচুর পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম আয়রনসহ ফাইবার পাওয়া যায় এগুলো ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা হ্রাস করে। অতিরিক্ত ওজন থেকে রেহাই পেতে কমলা পেতে হবে। নিয়মিত সকালে 1 গ্লাস কমলার জুস খাওয়ার ফলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। 

আপনারা যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় ভুগছেন তারা নিয়মিত সকালে এক গ্লাস কমলার রস পান করুন। কমলার রসে কোন চিনি কিংবা মিষ্টি জাতীয় উপাদান মেশানো যাবে না। সরাসরি কমলার রস পান করতে হবে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এক চা চামচ মধু মিশাতে পারেন।

ঔষধের মতো কাজ করে: কমলার পুষ্টিগুণ শরীরে ঔষধের মত কাজ করে কমলা থেকে উচ্চমানের ভিটামিন পাওয়া যায় এগুলো সরাসরি আপনার শরীরের রোগবালাইকে দূর করবে। বিভিন্ন মহা ঔষধ তৈরি করাতে কমলালেবুর রস ব্যবহার করা হয় কমলালেবু থেকে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন ও এসিড পাওয়া যায় এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। 

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: কমলালেবু থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় ভিটামিন সি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত কাজ করে অক্সিডেন্ট শরীর ইউনিটি সিস্টেমকে ভালো রাখে। ইমিউনিটি সিস্টেম বলতে বোঝায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে রোগবালাই কম হবে।

হার্টের যত্ন রাখেঃ কমলা থেকে উচ্চমানের পটাশিয়াম পাওয়া যায় পটাশিয়াম হার্ট এর যত্ন রাখে এবং হার্টের কার্যক্ষমতা থেকে বৃদ্ধি করে। পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে যারা হাই ব্লাড প্রেসারে ভুগছেন তারা নিয়মিত সকালে একটি কমলা খাওয়ার চেষ্টা করুন নিয়মিত কমলা খাওয়ার ফলে খুব সহজেই হাই প্রেসার কে কমাতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ স কমলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এ পৃথিবীতে ফলমূলের চেয়ে বেশি উপকারী আর কিছুই নেই ঠিক তেমনি কমলা লেবু থেকে উচ্চমানের ভিটামিন পাওয়া যায় কমলালেবু থেকে তিন ধরনের এসিড পাওয়া যায়। 

কমলালেবু থেকে তিন ধরনের এসিড পাওয়া যায় যেমন সাইট্রিক এসিড এস্ককরবিক এসিড এবং ম্যালিক এসিড। এই তিনটি এসিড ত্বকের জন্য উপকারী হওয়ার পাশাপাশি শরীরের জন্য উপকারী। নিয়মিত কমলা খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব তাই যারা অতিরিক্ত ডায়াবেটিস নিয়ে ভুগছেন তারা নিয়মিত কমলা খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি রাতে কমলা খেলে কি হয়।

রাতে কমলা খেলে কি হয়

অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে রাতে কমলা খেলে কি হয় রাতে কমলা খেলে কি কোন ক্ষতি হয়? রাতে কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা উভয় বিদ্যমান রয়েছে। তাতে কমলা লেবুতরের ত্বক সুন্দর হয় তাতে কমলালেবু খেলে ঘুমিয়ে পড়লে এতে ত্বকের ফ্রী রেডিকেলস এবং মরা কোষ গুলো দূর হয়।

আবার রাতে কমলা খাওয়ার পরে ঠান্ডা জনিত সমস্যা দেখা দেয় কমলা তে ঠান্ডা উৎপাদনকারী উপাদান রয়েছে এরপরে অতিরিক্ত রাতে কমলা খেলে সর্দি কাশি ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। এইজন্য রাতে অতিরিক্ত কমলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

রাতে কমলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় কমলা থেকে ফাইবার পাওয়া যায় রাতে কমলা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেন কমলা থেকে প্রচুর এন্টি অক্সিজেন পাওয়া যায় প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কমলা খেয়ে ঘুমালে এন্টি অক্সিডেন্টগুলো শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোকে রক্ষা করে। 

রাতে ঘুমানোর আগে কমলা খেলে চুল পড়া সমস্যা দূর হয়। ত্বক সুন্দর হয়। রাতে কমলা খাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো ত্বকের সুন্দর করা প্রতিদিন রাতে কমলা খেয়ে ঘুমালে ত্বক ভেতর থেকে ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হতে থাকে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যাতে কমলা খেলে কি হয়। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা কি।

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভকালীন সময়টি প্রত্যেকটি নারীর জন্য খুবই স্পেশাল এবং আনন্দদায়ক এই সময় নারীদের মাথায় বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা ঘুরে। এমন কি কমলা খাওয়া নিয়েও গর্ভবতী নারীরা চিন্তিত থাকেন যে কমলা খেলে বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে কি। তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে দেখব গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো।

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার কোন অপকারিতা নেই কমলা থেকে উচ্চমানের ভিটামিন পাওয়া যায় এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বিশেষ করে গর্ভের বাচ্চার জন্য উপকারী। গর্ভকালীন সময়ে কমলা খাওয়ার ফলে গর্ভের বাচ্চার মস্তিষ্ক দ্রুত বিকাশ হয় এবং বাচ্চার হার ও পেশি গঠিত হয়।
  • গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।
  • গর্ভবতী নারীরা কমলা খেলে ত্বক সুন্দর হয়। গর্ভকালীন সময়ে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন চুলকানি এলার্জি। এই সমস্যাগুলো দূর করতে নিয়মিত কমলা খেতে হবে,।
  • গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় মানসিক চাপ থেকে রেহাই পেতে কমলা খেতে হবে।
  • গর্ভাবস্থায় কমলা খেলে দ্রুত বাচ্চার ব্রেইন গঠিত হয়।
  • গর্ভকালীন সময়ে  কমলা খাওয়া গর্ভবতী মায়ের জন্য এবং গর্ভের বাচ্চার জন্য উপকারী।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। তবে গর্ভাবস্থায় যে কোন খাবার অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত কমলা খাওয়ার পরে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। কমলার উপকারিতা লাভ করার জন্য দিনে একটি অথবা দুইটি কমলা খাওয়া যেতে পারে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম কমলালেবুতে কোন এসিড থাকে কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ এবং গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি। কমলা লেবু থেকে তিনটি এসিড পাওয়া যায় যেমন সাইট্রিক এসিড ম্যালিক এসিড এবং এসকরবিক এসিড।

এর প্রতিটি এসিড স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বিশেষ করে সাইট্রিক এসিড ত্বককে সুন্দর করে শরীরের রোগবালে কে দূর করে এবং ইমিউনিটি সিস্টেমকে সঠিক রাখে। আপনি যদি জানতে চান কমলা লেবু থেকে কোন কোন অ্যাসিড পাওয়া যায় এবং এসিড গুলোর উপকারিতা কি তাহলে ওপরে দেখে নিন আমরা সেই এসিড গুলো সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আজকের এই আর্টিকারে আমরা আরও দেখেছি যে রাতে কমলা খেলে কি হয়। রাতে কমলা খেলে মূলত ত্বক সুন্দর থাকে। রাতে কমলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় তবে রাতে অতিরিক্ত কমলা খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে যেমন ঠান্ডা জড়িত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন কমলালেবুতে কোন এসিড থাকে।
পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url