গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া কি নিরাপদ? গর্ভকালীন সময়টির অনেক সাবধানতার সাথে কাটাতে হবে। গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেল যে সম্পন্ন মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন আজকের এই আর্টিকেল আমরা গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা কচুর লতি খেলে কি হয়, কচুর লতিফা উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি সম্পন্ন করতে থাকুন।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ দেখেন তাহলে গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অতিরিক্ত কচুর লতি খেলে কি হয় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব অতিরিক্ত করছেন লতি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত কচুর লতিফ খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। চলুন ঝটপট দেখে আসি কচুর লতির উপকারিতা।
পেজ সূচিপত্র ঃগর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা
ভুমিকা
কচুর লতি থেকে উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় বিজ্ঞানীরা প্রচুর লতিকে ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে অভিহিত করেছেন। ১০০ গ্রাম কচুর লতি থেকে এক তৃতীয়াংশ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যারা ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগছেন তারা নিয়মিত কচুর লতি খাওয়া শুরু করুন। নিয়মিত কচুর লতি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হবে হাড় ক্ষয় রোধ হবে এবং পেশী মজবুত হবে।
তবে গর্ভকালীন সময় কি কচুর লতি খাওয়া নিরাপদ? গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খেলে কি হয়। গর্ভকালীন সময়টি নারীর জন্য খুবই স্পেশাল হয় এই সময় নিজের পাশাপাশি বাচ্চার যত্নের জন্য বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে তবে গর্ভাবস্থায় কি কচুর লতি খাওয়া যাবে? গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খেলে কি হবে গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া কি নিরাপদ?
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া কি নিরাপদ
অনেকে জানতে চান গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া নিরাপদ নাকি? গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া নিরাপদ। কচুর নদী থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায় এটি গর্ভবতী মায়ের শরীরের জন্য উপকারী গর্ভকালীন সময়ে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয় ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে এবং বাচ্চার সুস্বাস্থ্য গঠন করতে নিয়মিত কৌশল লতি খেতে হবে গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি কচুর লতি খেলে দ্রুত বাচ্চার ও পেশী গঠন হবে । আবার অতিরিক্ত কোটি লতি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে কচুর লতি থেকে কিছু প্রোটিন পাওয়া যায় এই প্রোটিন গুলো সরাসরি শরীরে এলর্জি
তৈরি করে এর জন্য গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি কচুর লতি খেলে অ্যালার্জি প্রভাব আরো বেশি তীব্র হতে পারে। বিশেষ করে যারা আগে থেকে এলার্জি দ্বারা আক্রান্ত রয়েছেন তারা কচু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কিংবা কচুর লতি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন। এলার্জি থাকা অবস্থায় অতিরিক্ত কচুর লতি খেলে অ্যালার্জির পরিমাণ আরো বেশি তীব্র হতে পারে এতে গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া একদিকে নিরাপদ আরেকদিকে ক্ষতিকর। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে কচুর লতি খেলে আশা করছি উপকারিতাগুলো লাভ করতে পারবেন এবার চলুন আমরা দেখে আসি কচুর লতির পুষ্টিগুণ উপাদান সম্পর্কে।
কচুর লতির পুষ্টিগুণ উপাদান
আপনি কি জানেন কচুর লতি থেকে কি কি পুষ্টিগুণ উপাদান পাওয়া যায়? আমরা অনেকেই তো কচুর লতি খেতে খুব ভালোবাসি কিন্তু জানিনা আসলে কচু লতি থেকে কি কি পুষ্টিগুণ উপাদান পাওয়া যায়। প্রচুর লতি থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় অর্থাৎ ভিটামিন কে এর উৎস বলা হয় কচুর লতি থেকে। কচুর নদী থেকে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন পাওয়া যায় কচু লতি থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। কচুর লতির পুষ্টিগুণ উপাদান সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে দেখে নিন।
- আয়োডিন
- ক্যালসিয়াম
- ভিটামিন সি
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন বি
- ফাইবার অথবা আঁশ
- পটাশিয়াম
- লৌহ
- আয়রন
- ম্যাগনেসিয়াম
- থায়ামিন
- রাইবোফ্লাভিন
কচুর লতি থেকে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরাসরি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং রোগ বালাইকে দূর করতে সাহায্য করে তাই বাচ্চাদেরকে বেশি বেশি কচুর লতি খাওয়াতে হবে এবং গর্ভাবস্থায় খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ইমিউনিটি সিস্টেম ভালোভাবে কাজ করবে।
গর্ভাবস্থায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে কমে যায় যার ফলে বারবার বিভিন্ন রোগবালাই শরীরে আক্রমণ করে তাই রোগবালাই থেকে বাঁচতে এবং ইমিউনিটি সিস্টেমকে ভালো রাখতে কচুর লতি খেতে হবে। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য আহরণ করতে চান তাহলে নিচে দেখে নিন।
গর্ভাবস্থায় কচুর লত খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে বাচ্চার হার ও পেশী মজবুত হয় দ্রুত দেহ গঠন হয় মস্তিষ্ক বিকাশ হয়। গর্ভাবস্থায় কচুর লতিফের গর্ভবতী মায়ের শরীর ভালো থাকে এবং গর্ভের বাচ্চা শরীরও সুস্থ থাকে। গর্ভকালীন সময়টি প্রতিটি মায়ের জন্য খুবই আনন্দদায়ক কিন্তু এই সময় বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দেয় যেমন: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, পেট খারাপ, পেটব্যথা, বমি বমি ভাব, হজম শক্তি দুর্বল হয়ে পড়া, শরীরে পুষ্টির অভাব।
গর্ভকালীন সময়ে সমস্ত সমস্যা দূর করতে নিয়মিত কচুর লতি খেতে হবে কচুর লতি এত বেশি পুষ্টিকর যে নিমিষেই গর্ভকালীন সময়ে যাবতীয় সমস্যাকে দূর করতে পারে এই জন্য বিজ্ঞানীরা বলেন গর্ভকালীন সময়ে বেশি বেশি লতি খেতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হবে পুষ্টির অভাব পূরণ হবে। কচুর লতি থেকে ভরপুর পুষ্টি পাওয়া যায় যা গর্ভের বাচ্চা এবং গর্ভবতী মা উভয়ের জন্য উপকারী।
আরো পড়ুন : শীতকাল সম্পর্কে ১৫ টি বাক্য দেখে নিন
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: কচুর লতি থেকে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার অথবা খাদ্য আঁশ পাওয়া যায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে। গর্ভকালীন সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য এটি খুবই সাধারণ সমস্যা তবে কোষ্ঠকাঠিন্য সাথে মোকাবেলা করার জন্য নিয়মিত কচি লতি খেতে হবে কচুর লতি একদিকে সুস্বাদু আর একদিকে এটি খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে গর্ভকালীন সময় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করার জন্য ৭ থেকে ৮ দিন নিয়মিত কচুর লতি খেতে হবে।
হজম শক্তি ভালো রাখে: কচুর লতি থেকে প্রচুর পুষ্টিগুণ উপাদান পাওয়া যায় যা হজম শক্তিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে হজম শক্তি দুর্বল হয়ে পড়লে খাবারে অরুচি অথবা অনিহা দেখা দেয়। হজম শক্তির দুর্বল থাকলে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় পেট ফেটে থাকে পেটে ব্যথা হয় গর্ভকালীন সময়ে এই সমস্যাগুলো বেশি বেড়ে যায় যেমন হজম শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে তাই প্রাকৃতিক উপায় হজম শক্তিকে উন্নত করতে এখন থেকে নিয়মিত কোচুর লতি খেতে হবে। খুব দ্রুত এবং খুব সহজেই দুর্বল হজম শক্তি উন্নত হবে এবং ভালো থাকবে গ্যাসের সমস্যা দূর হবে।
পুষ্টির অভাব পূরণ: গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দেয় এ সময় মায়ের শরীরে ধীরে ধীরে আরো একটি নিষ্পাপ জান বেড়ে উঠছে তাই তার পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে শাক সবজির মধ্যে অতিরিক্ত মসলা কিংবা তেল ব্যবহার করলে শাকসবজির পুষ্টিকুণ নষ্ট হয় তাই হালকা লবণ ও মরিচ দিয়ে সিদ্ধ করে শাকসবজি খেতে হবে।
কচুর লতি থেকে ভরপুর পুষ্টি পাওয়া যায় কচুর গতিকে পুষ্টির উৎস বলা যেতে পারে তাই গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টির অভাব পূরণ করতে কচুর লতি খেতে হবে। তবে কচু লতির সাথে চিংড়ি মাছ রান্না করা থেকে বিরত থাকুন শুধুমাত্র কচুর লতি হালকা লবণ ও হলুদ মরিচ দিয়ে সিদ্ধ করে সরাসরি খেতে হবে।
বাচ্চার হাড় ও পেশি গঠন: গর্ভকালীন সময় কচুর লতি খেলে গর্ভের বাচ্চার হার ও পেশী দ্রুত গঠন হয়। নিয়মিত কচু লতি খেলে দ্রুত বাচ্চার হার ও বেশি গঠন হবে। গর্ভবতী মায়ের শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিলে গর্ভে বাচ্চার দ্রুত শরীর গঠন হয় না এর জন্য শরীরে পুষ্টির নিশ্চিত করতে হবে বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত করতে লতি খাওয়ার ফলে দ্রুত বাচ্চার হাড় ও বেশি তৈরি হবে এবং বেশি মজবুত হবে এতে বাচ্চার সুষ্ঠু বিকাশ হবে।
বাচ্চার মস্তিষ্ক বিকাশ: দ্রুত বাচ্চার মস্তিষ্ক বিকাশ করতে নিয়মিত কচুর লতি খেতে হবে বর্তমান সময়ে প্রতিটি বাবা-মা চাইনি যে সন্তান সঠিক বুদ্ধি সম্পন্ন হোক এই জন্য বাচ্চার বুদ্ধি বৃদ্ধি করতে এবং মস্তিষ্ক গঠন করতে নিয়মিত কচুর লতি খেতে হবে কচুর লতি থেকে প্রচুর পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় এটি বাচ্চার শরীরে পুষ্টি নিশ্চিত করে এবং দ্রুত মস্তিষ্ক গঠনে ভূমিকা পালন করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: গর্ভবস্থায় গর্ভবতী নারীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাঅংশ কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে বারবার রোগবালায় তারা আক্রান্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে এজন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর প্রচুর লতি থেকে প্রচুর vitamin c পাওয়া যায়। ভিটামিন সি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ইমিউনিটি সিস্টেমকে ভালো রাখে এতে রোগ বাড়ায় দূর হয় শরীর সুস্থ থাকে। গর্ভকালীন সময়ে শরীরকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরী।
ওপরের এই উপকারিতা গুলো লাভ করার জন্য গর্ভকালীন সময়ে বেশি বেশি কচুর লতি খেতে হবে গর্ভকালীন সময় কচুর লতি খেলে শরীর থেকে পুষ্টির অভাব পূরণ হবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে পাশাপাশি এটি বাচ্চার মস্তিষ্ক ও শরীর গঠনে ভূমিকা পালন করবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি কচুর লতি খেলে কি হয়।
কচুর লতি খেলে কি হয়
কচুর লতি খেলে কি হয়? গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত করছেন লতি খেলে শরীরে অ্যালার্জির প্রভাব অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। এলার্জি বৃদ্ধি পেলে ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে। আমাদের প্রত্যেকের শরীরে একটি ইমিউনিটি সিস্টেম রয়েছে এই ইমিউনিটি সিস্টেমের ফলে রোগ বালাই দূর হয়। এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত কচুর লতি খাওয়ার পরে শরীরে এলার্জির প্রভাব দেখা দেয়। যার ফলে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়ি, চুলকানি হয়।
কচুর লতি থেকে খাদ্য আর অথবা ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায় যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে হজম শক্তিকে ভালো রাখে গর্ভকালীন সময় হজের শক্তি দুর্বল হয়ে পদে তাই হজম শক্তিকে উন্নত করার জন্য নিয়মিত গোত্রের অধিকারী খেতে হবে অথবা ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায় এমন খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
তবে প্রত্যেকের শরীরের জন্য কচুর লতি উপকারী নয়। যারা আগে থেকে এলার্জির আক্রান্ত রয়েছেন তাদের শরীরের জন্য কচুর নদী ক্ষতিকর হতে পারে এজন্য এলার্জি দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিরা করছে লতি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কচুর লতি খেলে কি হয় এবার চলুন আমরা দেখে আসি কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা।
কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা
কচুর লতির স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। আমরা বাঙালিরা প্রচুর লতি খেতে খুব ভালোবাসি পুকুরে মাঠে-ঘাটে বিভিন্ন জায়গায় কচুর লতি জন্মে। কচুর লতি বলতে বোঝায় কচুর ডাটা। কচুর ডাটা অনেক নরম প্রকৃতির হয়। কচুর ডাটা দিয়ে বিভিন্ন তরকারি রান্না করা হয়। যেমন বাঙালি বাড়িতে কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করা হয়।
কচু লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ খেলে খেতে খুবই সুস্বাদু ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত খুব ভালোবাসে। আমরা কচু লতি খাই কিন্তু কচুর লতির উপকারিতা সম্পর্কে জানিনা। আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়লে আপনি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।কচুর লতি খেলে অতিরিক্ত ওজন কমে গ্যাসের সমস্যা দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয় হজম শক্তি ভালো থাকে, ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো থাকে এবং শরীরের শক্তি ও এনার্জি বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি কচুর লতির উপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখে নিন।
ওজন কমে: কচুর লতি খেলে দ্রুত ওজন কমতে পারে এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন কচুর লতি থেকে ডায়েটারি ফাইবার অথবা খাদ্য আস পাওয়া যায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরে থাকে। পেট ভরা থাকলে ক্ষুধা হ্রাস পাবে এবং ওজন কমবে। তাই অতিরিক্ত ওজন থেকে রেহাই পেতে কচুর লতি খেতে হবে।
কোলেস্টরল কমে: আমাদের প্রত্যেকের শ্রেণীতে খারাপ ও কোলেস্টেরল এবং ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে যখন শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে যাবে। তখন হার্টের সমস্যা সৃষ্টি হবে। এর পরিমাণ বাড়তে থাকলে হার্টে ফ্যাট জমে যায়। হার্টে অতিরিক্ত চর্বি অথবা ফ্যাট জমে গেলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই কোলেস্টেরল কমাতে কচুর লতি খেতে হবে।
হার্ট ভালো থাকে: হার্ট আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে একটি তাই হার্টের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী আর হার্টকে ভালো রাখতে নিয়মিত প্রচুর লতি খেতে হবে লতি থেকে প্রায় ১৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পাওয়া যায়। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য খেলে হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় রক্ত দ্রুত পরিশোধন হয়। নিয়মিত প্রচুর লতি খাওয়ার ফলে হার্ট ভালো থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়।
প্রিয় বন্ধুরা কচু লতি খাওয়ার উপকারিতা অনেক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এবং গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। কচুর লতি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন যে নিয়মিত কচু লতি খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর হবে পেট ফেঁপে থাকা, গ্যাসের সমস্যা দূর হবে। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা কচুর লতি খেলে কি হয় কচুর লতির পুষ্টিগুণ উপাদান এবং গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া নিরাপদ নাকি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আমরা অনেকেই তো কচু খেতে খুব ভালোবাসি কিন্তু কচুর উপকারিতা সম্পর্কে জানি না কচুর নদীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কচুর ডাটা কে আমরা কচুর লতি হিসেবে চিনি। ডাটা খুবই নরম প্রকৃতির হয় এবং এটি লতানো হয় যার কারণে একে কচুর লতি বলা।
ছোট বাচ্চারা থেকে শুরু করে বড়রা প্রত্যেকেই কচুর লতি খেতে খুব ভালোবাসে কচু লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। এছাড়াও কচুর রুটি স্বাস্থ্যের জন্য নিঃসন্দেহে একটি উপকারী খাবার এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত কচুর লতি খেলে শরীর থেকে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে পা ব্যথা হাত ব্যথা দূর হবে এবং পেশী ও হার আরও বেশি মজবুত হবে। কচুর লতি থেকে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় কচুর লতি খাওয়ার ফলে শরীরে ভিটামিনের অভাব পূরণ হবে। গর্ভকালীন সময়ে কচু লতিফা উপকারিতা অনেক। গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে ওপরে দেখে নিন।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url