হাঁপানি থেকে বাঁচার সবচেয়ে সের উপায় ৮ টি
হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় কি? আপনি কি হাঁপানি রোগে আক্রান্ত? হাঁপানি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের নাম যা শ্বাসনালী কে প্রভাবিত করে। ফুসফুসে নালি গুলো সংক্রমিত হলে অথবা ফুলে গেলে শ্বাসকষ্ট হয় এই অবস্থাকে হাঁপানি বলা হয়। আজকের এই আর্টিকেল আমরা হাঁপানি থেকে বাঁচার সবচেয়ে সেরা উপায় ৮ টি, হাঁপানি কেন হয়, হাঁপানি রোগের লক্ষণ এবং কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি হাঁপানি থেকে বাঁচতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাঁপানি একটি মারাত্মক রোগ হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হলে বুকে সবসময় অতিরিক্ত চাপ অনুভূত হয় মনে হয় বুকের উপর কেউ বিশেষ বল প্রয়োগ করছে। এতে শ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়। হাঁপানি হওয়ার পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে এবং হাঁপানি রোগের লক্ষণ গুলো কি কি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। ঝটপট দেখে আসি হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়, হাঁপানি রোগের লক্ষণ এবং কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়। হাঁপানি থেকে বাঁচার সবচেয়ে সেরা উপায় ৮ টি জানুন।
পেজ সূচিপত্র :হাঁপানি থেকে বাঁচার সবচেয়ে সের উপায় ৮ টি
ভুমিকা
হাঁপানি থেকে বাঁচার সবচেয়ে সেরা উপায় ৮ টি
বহুকাল আগে থেকে আমরা হাঁপানি এই নামটি শুনে আসছি হাঁপানি এটি একপ্রকার দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা ফুসফুস থেকে সৃষ্টি হয় এবং কি ফুসফুসের যে নালি গুলো সাহায্যে আদান প্রদান করা হয় সেই নালী গুলো যদি কোন ভাবে সংক্রমিত হয় তাহলে হাঁপানি রোগ দেখা দেয়। বহুকাল আগে থেকে বহু মানুষ হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয়েছে অনেকে হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।তবে এই রোগের লক্ষণ এবং কারণ সম্পর্কে কোন তথ্য জানা যায় নি। জন্য সঠিক চিকিৎসার অভাবে শত শত মানুষ এই হাঁপানি রোগের মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে 20 শতাব্দীতে প্রথম হাঁপানি রোগের কারণ বিজ্ঞানীরা খুঁজে বের করেন। এবং এ হাঁপানি রোগ কেন হয় হাঁপানি রোগের লক্ষণ কি কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আহরণ করা যায়।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে জানবো যে হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় কি, হাঁপানি কেন হয় ,হাঁপানি রোগের লক্ষণ কি এবং কি খেলে হাঁপানি রোগ দূর হবে। প্রিয় পাঠক চলুন প্রথমে আমরা দেখে আসি হাঁপানি থেকে বাঁচার সবচেয়ে সেরা উপায় ৮ টি। নিচে দেখুন হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় ৮ টি দেওয়া রয়েছে।
ইনহেলার ব্যবহার
হাঁপানি রোগ থেকে বাঁচার অন্যতম একটি উপায় হল ইনহেলার ব্যবহার। ইনহেলার একটি যন্ত্র। এটি হাঁপানি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। হাঁপানি মূলত ফুসফুস সংক্রান্ত একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের নাম। হাঁপানি থাকলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এই অবস্থায় অক্সিজেনের কমতি হয়। এক্ষেত্রে ইনহেলার ব্যবহার করুন। ইনহেলারে অক্সিজেন দেওয়া থাকে। এতে অক্সিজেনের ঘাটতি কম হবে এবং শ্বাস নিতে সক্ষম হবেন।
আদা চা
আদা থেকে ভরপুর এন্টি অক্সিজেন পাওয়া যায় যা শরীরের প্রদাহ জড়িত সমস্যা দূর করে এবং ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করে। আমরা ঠান্ডা লাগলে আদা চা বানিয়ে খাই অথবা গলা ব্যথা করলে আদা চা বানিয়ে খাই। আদা চা প্রদাহ জনিত সমস্যাগুলো দূর করতে খুবই কার্যকারী। বহু কাল আগে থেকে মানুষ এই উপায়টি অনুসরণ করছেন। হাঁপানি হলে বারবার কাশি হলে অথবা শ্বাস নিতে কষ্ট হলে আদা চা বানিয়ে খাই এতে কিছুক্ষণের মধ্যে আরাম পাওয়া যায়। এজন্য হাঁপানির সমস্যা দূর করতে আদা চা অনেক বেশি কার্যকরী।
পানি পান
হাঁপানি রোগ থেকে বাঁচতে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হবে। আমরা প্রত্যেকেই জানি যে আমাদের শরীরের এক তৃতীয়াংশ প্রায় পানি দ্বারা তৈরি এর জন্য মানব শরীরে পানির প্রয়োজনিয়তা অপরিসীম। পানি ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব এজন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে হাঁপানির প্রভাব বৃদ্ধি পায় এজন্য বেশি বেশি পানি পান করুন শরীরকে হাইড্রেট রাখুন এবং হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পান।
লেবু পানি
আমরা অনেকেই লেবু পানি খেতে খুব ভালোবাসি লেবু পানি থেকে ভরপুর এন্টিঅক্সিডেন্ট সহ ভিটামিন সি পাওয়া যায় যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি হাঁপানির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। হাঁপানি ফুসফুস জনিত একটি সমস্যা। ফুসফুসের নালিগুলোর মাধ্যমের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া হয় এই নারী গুলো যদি কোন ভাবে সংক্রমিত হয় এবং ফুলে ওঠে তাহলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এই অবস্থায় বেশি বেশি লেবু পানি পান করতে হবে লেবু পানিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরাসরি শ্বাসনালীর সংক্রমণ দূর করবে এবং হাঁপানি সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে।
মধু
১০০ পার্সেন্ট খাঁটি পিওর মধু খাওয়ার মাধ্যমে নিমিষেই হাঁপানির সমস্যা দূর হতে পারে এটি বহু পুরনো টোটকা। বহুকাল আগে মানুষ যখন হাঁপানির চিকিৎসা জানতো না তখন তারা এই মধু খাওয়ার মাধ্যমেই হাঁপানির সমস্যা দূর করতো। মধু যে কোন প্রদাহ দূর করতে কার্যকারী মধু খাওয়ার মাধ্যমে হাঁপানি সমস্যা দূর করা সম্ভব। মধুর শরীরে তাপ উৎপন্ন করে মধুতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুসের শাসনালী গুলো সংক্রমনে বাধা দেয়। এতে হাঁপানি সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়।
রসুন পানি
আমরা অনেকেই রসুন চিনি কিন্তু রসুন পানি কাকে বলে? রসুন পানি বলতে বোঝায় দুই থেকে তিন কোয়া রসুন নিয়ে গরম পানির মধ্যে ফুটিয়ে নিন। তারপর এই পানিটি সরাসরি খেয়ে নিন। ফুসফুস সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান হলো রসুন। রসুন থেকে ভরপুর পটাশিয়াম পাওয়া যায় ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারী। এজন্য বেশি বেশি রসুন খেতে হবে । ফুসফুসের শাসনালী সংক্রমিত হলে হাঁপানি সমস্যা সৃষ্টি হয় এক্ষেত্রে রসুন খাওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই হাঁপানির সমস্যা দূর করতে পারবেন।
লেভেন্ডার তেল
আমরা বেশিরভাগ মানুষই লেভেন্ডার অয়েল ব্যবহার করি কিন্তু অনেকেই জানিনা যে লেভেন্ডার তেলের মাধ্যমে হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এক কাপ গরম পানির মধ্যে থেকে তিন ফোঁটা লেভেন্ডার তেল মিশিয়ে ভেপার নিতে হবে। এটি ফুসফুসের জন্য খুবই কার্যকরী। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে এবং ফুসফুসের সংক্রমিত শ্বাসনালী গুলোকে সারিয়ে তোলে।
সিগারেট ধূমপান এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত সিগারেট কিংবা ধূমপান করার ফলে হাঁপানি রোগ সৃষ্টি হয়। ধূমপান ফুসফুসের জন্য ক্ষতি করে, এটি ফুসফুসের শ্বাসনালী কে সংক্রমিত করে । যার ফলে হাঁপানি রোগ সৃষ্টি হয় আর হাঁপানি রোগের চিকিৎসা খুবই জটিল এবং হাঁপানি এই রুটি অনেক দীর্ঘস্থায়ী এর জন্য হাঁপানি সম্পর্কে সচেতন হন এবং সিগারেট ধূমপান এড়িয়ে চলুন। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক।
উপরের এই ৮ টি উপায় অনুসরণ করলে খুব সহজে হাঁপানি রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারবেন হাঁপানি একটি মারাত্মক রোগ তাই হাঁপানি সম্পর্কে সচেতন হন এবং হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পেতে উপরের এই ৮ টি উপায় অনুসরণ করুন। উপরের এই আঁটি উপায়ের পাশাপাশি আরো কয়েকটি দিকের ওপর বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন:
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস
পরিবেশের উপর নির্ভর করেও হাঁপানি রোগ দেখা দিতে পারে। অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে বসবাস করলে হাঁপানি রোগ সৃষ্টি হয় এর জন্য প্রথমে আপনার বসবাস কৃত স্থানকে পরিষ্কার করুন। সব সময় ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নিজেকে পরিষ্কার থাকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রত্যেকে পছন্দ করে। এছাড়াও পরিষ্কার থাকলে মানসিক স্বস্তি পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ
আপনারা যেটা হাঁপানি রোগী ভুগছেন তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত বাইরের পাসপোর্ট খাওয়ার ফলে হাঁপানি রোগ সৃষ্টি হতে পারে এর জন্য বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন এবং হাঁপানি রোগ দূর করুন। অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ফাস্টফুড বার্গার, পিজ্জা, চিপস। অতিরিক্ত ফ্যাট অথবা হাইড্রোজেনিক তেল যুক্ত খাবার গুলো এড়িয়ে চলুন। বেশি বেশি শাকসবজি সিদ্ধ করে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। শাকসবজি সিদ্ধ করে খেলে পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: ৭ দিনে চুল পড়া বন্ধ করতে চান? ক্লিক করুন
আলো বাতাস পূর্ণ ঘরে বসবাস
আলো বাতাস পূর্ণ ঘরে বসবাস করতে হবে। সবসময় অন্ধকার এবং অপরিষ্কার ঘরে বসবাস করলে হাঁপানি রোগের প্রভাব আরো বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে এজন্য হাঁপানি রোগ থেকে বাঁচতে আলো বাতাস পূর্ণ ঘরে বসবাস করুন এবং নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। আলো বাতাস পূর্ণ ঘরে বসবাস করলে মানসিক চাপ অনেকাংশে হ্রাস পায়।
প্রতিদিন বিছানা চাদর পরিষ্কার করা
হাঁপানি থেকে বাঁচতে চাইলে পরিস্কার পরিচালক জীবনকে বেছে নিতে হবে এবং প্রতিদিন বিছানা চাদর পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা আরো বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে এর জন্য প্রতিদিন বিছানা তাদের পরিষ্কার করবেন অথবা বিছানার চাদর প্রতিদিন রোদে একবার মেলে দিবেন।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় গুলো কি কি? হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় হলো প্রথমে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করুন, প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন, বেশি বেশি শাকসবজি সিদ্ধ করে গ্রহণ করুন এবং ওপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়।
কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়
আপনি কি জানেন কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়? আমরা অনেকেই রয়েছি যেটা সবসময় ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করি। বহুকাল আগে থেকে মানুষ হাঁপানি দূর করতে মধু ব্যবহার করে আসছে মধু হাঁপানি দূর করতে অনেক কার্যকারী ঔষধ হিসেবে কাজ করে। এজন্য হাঁপানি থেকে বাঁচতে মধু খেতে পারেন।
মধু থেকে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা হাঁপানির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে লড়াই করে এবং হাঁপানিকে দূর করে। তাই হাঁপানি থেকে বাঁচতে প্রথমে মধু খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ গরম পানির সাথে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নেবেন। হাঁপানি থেকে রেহাই পেতে বাইরের অস্বাস্থ্যকর ফাস্টফুড খাওয়া বাদ দিতে হবে।
অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবারগুলো হাঁপানির আরো বৃদ্ধি করে। এইজন্য হাঁপানি থেকে বাঁচতে অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। বাসা তৈরি সুশান্ত খাদ্য গ্রহণ করুন বাসাতে বেশি বেশি শাকসবজি সিদ্ধ করে খেতে হবে এতে দ্রুত হাঁপানি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
আদা চা খেতে হবে প্রতিদিন সকালে এক কাপ আদা চা খাবেন আদা চা হাঁপানি দূর করতে খুবই কার্যকরী। আদা থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা হাঁপানি কোষ গুলোকে ধ্বংস করে এবং হাঁপানি দূর করে।
দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে হবে। দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেলে এতে অনেক পুষ্টিগুণ লাভ করা যায় এর জন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেতে হবে।
হাঁপানি রোগ থেকে বাঁচতে চাইলে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
ওপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে আশা করছি খুব সহজে আপনি হাঁপানি রোগ থেকে রেহাই পাবেন। হাঁপানি রোগ থেকে বাঁচতে নিজের এই খাদ্যগুলো গ্রহণ করুন,
- এন্টি অক্সিজেন সমৃদ্ধ খাবার
- ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার
- পানি
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
- ওমেগা 3 ফ্যাট যুক্ত খাবার
হাঁপানি রোগ থেকে বাঁচতে বেশি বেশি এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো গ্রহণ করতে হবে পাশাপাশি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে হাঁপানি সমস্যা তৈরি হতে পারে। শরীর থেকে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। হাঁপানি থেকে বাঁচতে চাইলে প্রতিদিন প্রায় তিন থেকে চার লিটার পানি পান করতে হবে। আর ওমেগা 3 ফ্যাট যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
আপনারা যদি উপরের এই নিয়ম অনুসারে খাবার গ্রহণ করেন তাহলে আশা করছি খুব দ্রুত হাঁপানি রোগ থেকে রেহাই পাবেন এবার চলুন আমরা দেখে আসি হাঁপানি রোগের লক্ষণ গুলো কি কি। অর্থাৎ কি কি লক্ষণ দেখে আমরা বুঝব যে হাঁপানি রোগে আক্রান্ত?
হাঁপানি রোগের লক্ষণ
হাঁপানি রোগ হয়েছে নাকি সে বিষয়ে জানতে চান? হাঁপানি একটি ফুসফুস সংক্রান্ত দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা ফুসফুসের তৈরি হয়। এটি খুবই জটিল রোগ যদি আমরা অবহেলা করি তাহলে এটি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এইজন্য হাঁপানি থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের চোখের পরামর্শ নিতে হবে। তবে হাঁপানি হয়েছে নাকি সেই বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা জানতে নিচে লক্ষণ গুলো দেখে নিন আপনার মধ্যে যদি এমন কোন লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
হাঁপানি রোগের লক্ষণ
- শ্বাসকষ্ট।
- বুকে ব্যথা।
- জোরে জোরে কাশি।
- চিত হয়ে শুলে বুকে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
- ব্যায়াম করলে শ্বাসকষ্ট অনুভূত হওয়া।
- সিঁড়ি থেকে নামা উঠা করার ফলে শ্বাসকষ্ট হওয়া।
- কাশি হতে হতে গলা ব্যাথার তৈরি হওয়া।
হাঁপানি রোগের প্রথম লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট। শ্বাসকষ্ট ফুসফুস থেকে তৈরি হয় ফুসফুসের যে নালীর মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া হয় সেই নালী যদি সংক্রমিত হয় এবং সংক্রমিত হয়ে ফুলে ওঠে তখন শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি হয়।। এবং এই অবস্থাকে হাঁপানি রোগ বলে চিহ্নিত করা হয়। হাঁপানি রোগ হলে জোরে জোরে কাশি হবে। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি জোরে জোরে কাশি হবে এবং বারবার কাশি হতেই থাকবে।
সাধারণত ঠান্ডা লাগলে কাশি হয় তবে কোন প্রকার ঠান্ডা লাগা ছাড়াই যদি অতিরিক্ত কাশি হতে শুরু হয় এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে হাঁপানি রোগ হয়েছে। এছাড়াও হাঁপানি রোগের আরো একটি অন্যতম লক্ষণ হল ব্যায়াম গুলি শ্বাসকষ্ট অনুভূত হবে চিত হয়ে শুয়ে থাকলে বুকে ব্যথা অনুভূত হবে এবং সিঁড়ি থেকে নামা ওঠা করার সময় অথবা হাঁটাচলা করার সময় শ্বাসকষ্ট অনুভূত হতে পারে।
অথবা নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। একজন সুস্থ সবল ব্যক্তির ব্যায়াম করার ফলে অথবা সিড়ি থেকে নামা উঠা করার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় না। আপনার যদি উপরের এই লক্ষণগুলো দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসা করে পরামর্শ নিবেন এবং ঔষধ সেবন করবেন আর উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করবেন তাহলে আশা করছি খুব দ্রুত আপনি হাঁপানি থেকে মুক্তি পাবেন। উপরে আমরা হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় গুলো শেয়ার করেছি।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় কি কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় হাঁপানি রোগের লক্ষণ কি এবং হাঁপানি কেন হয়। হাঁপানি থেকে বাঁচার সবচেয়ে সেরা ৮ টি উপায় আমরা আজকের এই আর্টিকেলে শেয়ার করলাম। হাঁপানি একটি দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ। ফুসফুসের নালীর মাধ্যমে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে থাকি যদি কোন ভাবে এই নালী সংক্রমিত হয় অথবা ফুলে ওঠে তাহলে হাঁপানি রোগ দেখা দেয়।
এজন্য শ্বাস নালীর এই সংক্রমণ রোধ করতে বেশি বেশি এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফাইবার সমৃদ্ধ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাট সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো গ্রহণ করতে হবে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গুলো খাবার ফলে দ্রুত শ্বাস নালীর সংক্রমিত এরিয়া গুলো সেরে ওঠে এবং হাঁপানির সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
হাঁপানি থেকে বাঁচতে ওপরের এই ৮ টি অনুসরণ করুন। আশা করছি আপনি যদি ওপরের এই আটটি উপায়ে অনুসরণ করেন তাহলে খুব দ্রুত হাঁপানি থেকে বাঁচতে পারবেন আজকের এই পোস্টে আমরা হাঁপানি থেকে বাঁচার সবচেয়ে সেরা ৮ টি উপায় শেয়ার করলাম। প্রিয় পাঠকরা আশা করছি আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url