ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর সুযোগ সুবিধা কি কি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। 
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর পলিসি গুলো কি কি সেই সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত জানব। কোন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি বিশ্বস্ত এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ  ইন্সুরেন্স লিমিটেড সরকারি নাকি বেসরকারি সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে আমরা ঝটপট দেখে আসি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুযোগ সুবিধা কি কি।

লাইফ ইন্সুরেন্স কি 

আপনি কি জানেন লাইফ ইন্সুরেন্স কি? আমরা অনেকেই life insurance জীবন বীমা এই শব্দগুলো শুনেছি কিন্তু লাইফ ইন্সুরেন্স এবং জীবন বীমা এর মধ্যে পার্থক্য কি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে দেখবো লাইফ ইন্সুরেন্স কি এবং জীবন বীমা কি। 

লাইফ ইন্সুরেন্স এর বাংলা অর্থ জীবন বীমা জীবন বীমা বলতে বোঝায় এমন এক চুক্তিকে যা আপনার অনিশ্চিত কালে কিংবা আপনার মৃত্যুতে আপনার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবে। আর যদি আপনি শিক্ষাবিমা কিংবা স্বাস্থ্য সুরক্ষা বীমা অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন তাহলে শিক্ষা বিমাতে আপনার অনিশ্চিত কালে আপনার ছেলে মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর। ছেলে মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে একটি শিক্ষা তৈরি করুন। 

আর স্বাস্থ্য সুরক্ষা লাইফ ইন্সুরেন্স বলতে বোঝায় হঠাৎ কখনো অসুস্থ হয়ে পড়লে কঠিন থেকে কঠিনতম রোগের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর। অর্থাৎ আপনি যদি কালকে অসুস্থ হয়ে পড়েন আপনার কঠিনতম রোগ হয় তাহলে রোগের সমস্ত চিকিৎসার আর্থিক খরচ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি বহন করবে। 

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন লাইফ ইন্সুরেন্স কি শিক্ষা বীমা কি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বীমা কি এবার চলুন আমরা জেনে আসি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি 

অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি? বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জীবন বীমা কোম্পানিগুলো বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। এই লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশে আর্থিক অবস্থা সচল রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন বীমা কোম্পানি রয়েছে । কিছু কোম্পানি সরকারি আর কিছু কোম্পানি বেসরকারি। 

জনগণ সরকারি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রতি অনেক বেশি নির্ভরশীল কারণ বেসরকারি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি তুলনায় সরকারি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য। তাই আজকে আমরা জানবো ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি লিমিটেড। ট্রাস্ট আমি লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সম্পূর্ণ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। 

বাংলাদেশের বীমা বাজারে বর্তমান সময়ে প্রায় ৮১টি বেসরকারি বীমা কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে একটি হল ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এটি সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় না এবং সরকার কর্তৃক ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়নি যার কারণে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সম্পূর্ণ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত? আপনি যদি ট্রাস্ট লিমিটেড এ জীবন বীমা একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে জেনে রাখতে হবে। যেকোনো জায়গায় টাকা ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই সেই প্রতিষ্ঠার সম্পর্কে খুঁটিয়ে যাচিয়ে দেখতে হবে।

লাইফ ইন্সুরেন্স বলতে এমন একটি চুক্তিকে বোঝায় যা আপনার অনিশ্চিত কালে আপনার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করবে তবে যদি প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বস্ত হয় তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকুন আপনার অনিশ্চিত কালে আপনার পরিবার আর্থিকভাবে সহায়তা লাভ করতে পারবে।  এইজন্য যে কোন কোম্পানিতে ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কোম্পানিটি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কোম্পানিটি সরকারি নাকি বেসরকারি

এবং কোম্পানিটি কতটুকু বিশ্বস্ত। কে আমরা জানবো ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পর্কে। ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সম্পূর্ণ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালে প্রথম অনুমোদিত হয়েছিল। ২০১৩ সালে ৩০ ডিসেম্বর প্রথম ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স অনুমোদিত হয়।

২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স অনুমোদিত হলেও সেই অবস্থায় এই কোম্পানিটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল এবং ২০১৪ সাল থেকে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম অবস্থায় ট্রাস্ট ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্স এর গ্রাহকের সংখ্যা খুবই কম ছিল তবে সময়ের ব্যবধানে এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় এবং বর্তমান সময়ে এখন ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর লক্ষ লক্ষ গ্রাহক রয়েছে। 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবার চলুন আমরা দেখে আসি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য অথবা এই প্রতিষ্ঠানে বীমা অ্যাকাউন্ট তৈরি করা ঠিক হবে নাকি।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য

আপনি কি জানেন ট্রাস্ট ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্স কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য? ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সম্পূর্ণ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি ২০১৪ সাল থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের first life insurance কোম্পানির কার্যক্রম শুরু হওয়া প্রায় ১০ বছর হতে চলেছে।

ক্ষেত্রে বলা যায় ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স বিশ্বাসযোগ্য। বেশিরভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তিন থেকে চার বছর সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যায় কিন্তু ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরেও প্রায় ১০ বছর থেকে এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে সেই ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত। 

আপনি যদি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে দেরি না করে দ্রুত শিক্ষাবিমা জীবন বীমা অথবা স্বাস্থ্য সুরক্ষা বীমা তৈরি করুন। অথবা আপনি চাইলে সাধারণ বীমা যেমন গাড়ি বীমা সম্পত্তির বীমা অথবা পারি বীমা তৈরি করতে পারেন। বীমা দুই ধরনের সাধারণ বীমা আর একটি জীবন বীমা। 

উপরে আমরা বীমা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য এবার চলুন আমরা দেখে আসি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা এবং অসুবিধা সমূহ। নিচে দেখুন ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা। 

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর সুবিধা 

আপনি কি ইসলাম হাদিসের শরীয়াহ সম্মত বীমা খুঁজছেন? তাহলে আপনি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এ বিমা একাউন্ট তৈরি করতে পারেন। ট্রাস্ট ইসলামী ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এটি সম্পূর্ণ শরীয়াহ সম্মত উপায়ে তৈরি এবং হাদিসকে অনুসরণ করে বিভিন্ন নিয়ম এবং পলিসি তৈরি করেছে।

 ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড সম্পূর্ণ সারিয়া অনুসারে জীবন বীমা নিয়ম-নীতি অথবা পলিসি অফার করে। এছাড়াও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুযোগ সুবিধা অনেক। ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে নিচে দেখে নিন

  • ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সম্পূর্ণ বীমা সুরক্ষা দিয়ে থাকে অর্থাৎ আপনার অনিশ্চিত কালে অপর্যাপ্ত সময়েও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে আপনার পরিবার আর্থিক সহযোগিতা লাভ করতে পারবে।
  • জীবন বীমাতে একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে সেই সময়ের আগে আপনি চাইলেই ইন্সুরেন্স কোম্পানি থেকে টাকাগুলো উত্তোলন করতে পারবেন না তবে এই ক্ষেত্রে ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স অপর্যাপদের সময়ে আপনাকে টাকা দিয়ে সহায়তা করবে।
  • এছাড়াও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এ মেয়াদি বীমা করার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ আপনি চাইলে মেয়াদী বীমা করে আদৌ অতিরিক্ত বোনাস লাভ করতে পারবেন আপনি যত বেশি মেয়াদের বীমা অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন তত বেশি টাকা বোনাস লাভ করতে পারবেন।
  • ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এ বিনিয়োগের যথেষ্ট সুবিধা রয়েছে। এখানে আপনি প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। আপনি যদি অল্প সময়ের মধ্যে বেশি টাকা লাভ করতে চান তাহলে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে বিনিয়োগ না করলে কখনো অল্প সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়।
  • ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এ মুনাফা ভাগাভাগি করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এখানে চাইলে আপনি আপনার মুনাফা গুলোকে ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন।
  • অতি দ্রুত  সেটেলমেন্ট দাবি
  • ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক বেশি বিশ্বস্ততাই নিঃসন্দেহে প্রতিষ্ঠানটির ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেন।
  • ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর রিবা অথবা সুদের হার কম।
  • ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর হাদিস এবং শারিয়া মোতাবিক নিয়ম-নীতি তৈরি করা হয়েছে।

এই ছিল ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা গুলো। ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা অনেক এখানে আপনি আপনার ইচ্ছা অনুসারে মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারবেন। দীর্ঘমেয়াদী বীমা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আরো অতিরিক্ত টাকা বোনাস পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রিয় পাঠকগণ উপরে আমরা আলোচনা করলাম ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এর অসুবিধা গুলো।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর অসুবিধা

বর্তমান সময়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোতে রিবা সম্পর্কযুক্ত থাকে যার কারণে এই লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি হিসেবে যুক্ত থাকায় আমরা হারাম কাজে আবদ্ধ হয়ে পরি অথবা লিপ্ত হয়ে পড়ি। রিবা শব্দের অর্থ সুদ। এখন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোতে প্রতিবছরে কিছু বোনাস দেওয়া হয় এই বোনাস গুলো মূলত রিবা হিসেবে পরিচিত। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি লাইফ ইন্সুরেন্স একাউন্টে রিবা তৈরি করেন তাহলে সেখানে অবশ্যই রিবা সম্পর্কযুক্ত থাকবে এতে আপনি হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে পড়বেন।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স যদিও এটি শারিয়াহ সম্মত এবং হাদিস এর নিয়ম নীতি মেনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তবুও প্রতিটি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি সুদের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকে। এজন্য আপনারা যারা হালাল থাকতে ভালোবাসেন হালাল কাজে করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি নিষিদ্ধ। ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এর অসুবিধা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে নিচে দেখে নিনঃ

  • ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স যেহেতু এটি অন্যান্য ইন্সুরেন্স কোম্পানির তুলনায় নতুন কোম্পানি সেক্ষেত্রে এটির বিশ্বস্ত কোন রেকর্ড এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
  • ট্রাস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স এটি সর্বপ্রথম ২০১৩ সালে প্রথম অনুমোদিত হয়েছিল। ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স চালু হওয়া, শুধুমাত্র ১০ বছর। 
  • নতুন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি দ্বারা প্রতারিত হওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি।
  • ট্রাস্ট ইসলামী  লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর আর্থিক স্থিতিশীলতা রয়েছে
  • ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর বীমা করার ঝুঁকি রয়েছে এখানে প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • এছাড়াও ট্রাস্ট  ইসলামীলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিসর এখন পর্যন্ত কিছু প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় অনেক সীমিত
  • ট্রাস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তুলনায় অন্যান্য কোম্পানিগুলো আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং বয়স অনুসারে বেশি প্রিমিয়াম দিতে পারে।
  • ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সম্পূর্ণ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
  • ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স নতুন কোম্পানি সেই ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক  বেশি

যেকোনো প্রকার লাইফ ইন্সুরেন্স জীবন বীমা অথবা স্বাস্থ্য সুরক্ষা বীমা কিংবা শিক্ষাবিমা অথবা কোন বস্তুর ওপর বীমা করার আগে অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করে নিতে হবে আর চেষ্টা করবেন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিমা একাউন্ট তৈরি করার সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। তাই সবসময় চেষ্টা করবে নাকি সরকারি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে বীমা একাউন্ট তৈরি করার। আর প্রথম অবস্থায় সবসময়ই স্বল্প মেয়াদী অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। 

আপনি যত বেশি দীর্ঘমেয়াদি লাইফ ইন্সুরেন্স একাউন্ট তৈরি করবেন প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা ততো বৃদ্ধি পাবে। অতিরিক্ত বোনাসের আশায় কখনোই দীর্ঘমেয়াদি লাইফ ইন্সুরেন্স একাউন্ট তৈরি করবেন  না। অতিরিক্ত বোনাসের আশায় ও দীর্ঘমেয়াদি একাউন্ট তৈরি করার ফলে বেশিরভাগ গ্রাহকরাই প্রতারণা শিকার হয়। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এর অসুবিধা গুলো কি কি।

কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি ?
অনেকের মনে এই প্রশ্ন লক্ষ্য করা যায় যে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সরকারি নাকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান? ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সম্পূর্ণ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি মালিকানাধীন, তবে এটি বেসরকারি মালিকানাধীন হলেও অন্যান্য ইন্সুরেন্স কোম্পানি তুলনায় এটি অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য এবং জনপ্রিয়। অল্প সময়ের মধ্যে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত 
আপনি কি জানেন ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি প্রথম ২০১৩ সালে অনুমোদিত হয়েছিল তবে তখন ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এর কার্যক্রম চালু ছিল না। ২০১৪ সালে প্রথম ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর কার্যক্রম চালু হয়। এর জন্য আপা দৃষ্টিতে বলা যায় যে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি ২০১৪ সালের প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য ?
আপনি কি জানেন ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য? ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এটি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও অনেক বেশি বিশ্বস্ত। ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সম্পূর্ণ শ্ারিয়াহ সম্মত এবং হাদিস নিয়ম অনুসরণকারী। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে ১০০% নিশ্চিন্তে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের একটি বীমা একাউন্ট তৈরি করতে পারেন।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা এবং অসুবিধা কি কি?
ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এর অসুবিধা গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আমাদের শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর সুবিধা কি এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর অসুবিধা গুলো কি কি। ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সম্পূর্ণ শারিয়া সম্মত এবং হাদিস অনুসরণকারী বীমা কোম্পানি।

তবে এই বীমা কোম্পানিটির নতুন তৈরি হয়েছে ২০১৩ সালে প্রথম এটি অনুমোদিত হলেও ২০১৪ সালে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। তাই এটি নিশ্চিত বলা যায় যে অন্যান্য লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির তুলনায় ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এটি নতুন।

তবে ট্রাস্ট  ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে এখানে রিভা অথবা সুদের হার অনেক কম তাই আপনারা যারা হালাল থাকতে এবং হালাল কাজ করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড। ট্রাস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিতেডে এইখানে বিভিন্ন প্রকার বোনাস এবং পলিসি লাভ করার সুযোগ রয়েছে। 

আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স প্রথম ২০১৩ সালে অনুমোদিত হলেও এটি ২০১৪ সালের প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে এই বিষয়ে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন আর ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পর্কে আরও কোন তথ্য কিংবা প্রশ্ন থেকে থাকলে কমেন্টবক্সে জানিয়ে রাখুন।
পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url