মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন অজানা তথ্য

মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই রয়েছে সে ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের কুফল বেশি নাকি সুফল বেশি সে বিষয়ে সম্পর্কে জানতে নীচে দেখুন। আমরা মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতাসহ, ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল, বর্তমান সময়ে মানবজীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং সমাজ জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন অজানা তথ্য
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি মোবাইল ফোনের ভয়াবহতা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। মোবাইল ফোনের ভয়াবহতা অনেক। মোবাইল ফোনের একদিকে যাওয়ার উপকারিতা রয়েছে আর একদিকে মোবাইল ফোনের অপকারিতা হয়েছে আজকে আমরা উভয় উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে জানব। চলুন তাহলে ঝটপট দেখে আসি মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো। 
মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা 

পেজ সূচিপত্র 

      ভূমিকা      

প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় একটি আবিষ্কার হল মোবাইল ফোন। এই ছোট্ট অতি ক্ষুদ্র যন্ত্রটি এখন আমাদের প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালে ঘুম ভাঙলেই দুই চোখ খোজে রাতে ঘুমানোর মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই ঘুমিয়ে থাকি। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাপস গুলো আমরা ব্যবহার করি। মোবাইল ফোন যদিও শুধুমাত্র একটি যোগাযোগ মাধ্যম তবে মোবাইল ফোন এখন বিনোদনের কারখানা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের মন খারাপ থাকলে কিংবা বিরক্তিবোধ করলে অথবা খুব বেশি একা লাগে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি এবং বিনোদন পাই। এখন ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত প্রত্যেকে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি। বেশিরভাগ ধ্বনি পরিবারে এখন ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়।  এতে তাদের পড়াশুনা আরো বেশি উন্নত হয়। এই মোবাইল ফোন একদিকে এত উপকারিতা আরেকদিকে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে জীবনে ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

তাই আজকে আমরা জানবো মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো। মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ফাস্ট টেস্ট যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে যারা হয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা সহজেই অতি দ্রুত তথ্য আদান প্রদান করতে পারি এবং যোগাযোগ করতে পারি। তবে এই মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে শারীরিক ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি মানসিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে নিচে দেখে নিন। 
মোবাইল ফোনের উপকারিতা
  • মোবাইল ফোন এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ফাস্টেস্ট যোগাযোগ মাধ্যম সহজে অল্প খরচে অল্প সময়ে যেকোন কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব।
  • এতে অর্থের অপচয় কম হয়।
  • সময় অপচয় কম হয়।
  • দেশ-বিদেশের মানুষের সাথে যোগাযোগ করা যায়।
  • খবরের কাগজ পড়ার প্রয়োজন হয় না ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের খবর পাওয়া যায়।
  • যে কোন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়।
  • অনলাইনে ট্রেনের টিকিট থেকে শুরু করে বাসের টিকিট এবং প্লেনের টিকিট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ক্রয় করা সম্ভব।
  • মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একাকীত্ব কেটে যায়।
  • যেকোনো সময় যে কোন ছবির গান শোনা যায় দেখা যায় এবং বিনোদন পাওয়া যায়।
  • মোবাইল ফোনের সাহায্যে এফএম রেডিও শোনা যায়।
  • মোবাইল ফোনের সাহায্যে যে কোন জায়গার ম্যাপ দিকনির্দেশনা দেখা যায়।
  • মোবাইল ফোনের সাহায্যে যেকোনো কারো লোকেশন ট্র্যাক করা যায়।
  • মোবাইল ফোনের সাহায্যে বিভিন্ন খাবারের রেসিপি জানা যায়।
  • মোবাইল ফোনের সাহায্যে যে কোন পড়া গুগল থেকে জেনে নেওয়া যায়।
  • মোবাইল ফোনের সাহায্যে অনলাইন শপিং করা যায়।
মোবাইল ফোনের উপকারিতা অনেক মোবাইল ফোনের সাহায্যে এখন প্রযুক্তি আরো বেশি অন্যতার হয়েছে। আগে যোগাযোগ অথবা তথ্য আদান প্রদানের জন্য চিঠি ব্যবহার করা হতো এটি একদিকে সময় সাপেক্ষ আর একদিকে অর্থের অপচয়। আর এখন মোবাইল ফোনের সাহায্যে ঘরে বসে যে কোন সময় যে কোন কাউকে কল করে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব অথবা তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব।

মোবাইল ফোন আমাদের জীবনকে আরো বেশি সহজতার করে তুলেছে মোবাইল ফোনের সাহায্যে মিনিটে যে কোন তথ্য পাওয়া যায়। যেমন আপনি যদি জানতে চান আপনার আশেপাশে কোথাও মিষ্টির দোকান কিংবা ইলেকট্রনিক্স এর দোকান রয়েছে কি আপনি যদি গুগলে এই কথাটি জিজ্ঞাসা করেন তাহলে google দুই থেকে তিন সেকেন্ডের মধ্যে আপনার আশেপাশের সমস্ত মিষ্টির দোকান এবং ইলেকট্রনিক্স এর দোকানে এড্রেস আপনাকে দিয়ে দিবে। এড্রেস সহ তাদের ফোন নাম্বার আপনি পেয়ে যাবেন।

মোবাইল ফোন এটি শুধুমাত্র একটি যোগাযোগ মাধ্যম নয় এখন মোবাইল ফোন এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথী হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল ফোনের সাহায্যে ছেলে মেয়ের পড়াশোনাই বেশ উন্নতি হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা যেকোনো তথ্য সহজে google এর মাধ্যমে কালেক্ট করতে পারেন।। এছাড়াও এখন তো মোবাইল ফোনে ইউটিউব রয়েছে।

ইউটিউব থেকে যেকোনো সময় যে কোন পড়া বুঝে নেওয়া যায়। ইউটিউবে হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে যারা সর্বক্ষণ আপনার সাথে রয়েছে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি মোবাইল ফোনের অপকারিতা গুলো কি কি যেখানে এত উপকারিতা রয়েছে সেখানে অপকারিতা থাকাই স্বাভাবিক।

মোবাইল ফোনের অপকারিতা

মোবাইল ফোন সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে এর উপকারিতা লাভ করতে পারবেন আর  অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করতে থাকলে শারীরিক ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এই আর্টিকেলে আমরা মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এবং মোবাইল ফোন শুধু একটি শিক্ষার্থীর ক্ষতি করছে নাকি এটি শিক্ষার্থীর পাশাপাশি একটি দেশের জন্য ক্ষতিকর সে বিষয় নিয়ে জানবো।

  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে অল্প বয়সেই ছেলেমেয়েরা দুর্বল দৃষ্টি শক্তি শিকার হচ্ছে।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার পরে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে এবং তারা মোবাইলে আসক্তি হয়ে পড়ছে।
  • মোবাইল ফোনে গান শোনার পরে ছেলে মেয়েদের কানের সমস্যা হচ্ছে।
  • চিকিৎসকরা বারবার বলেন মোবাইল ফোন থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কারণে কারণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতি করার পাশাপাশি কানের জন্য ক্ষতিকর।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে স্মৃতিশক্তির ব্যাঘাত ঘটে। যেমন দুর্বল স্মৃতিশক্তি স্বীকার হওয়া।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ঘাড়ে ব্যথা অনুভূত হয় এবং চোখ থেকে পানি পড়ে।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে মাথায় তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার পরে ছেলে মেয়েরা মোবাইল করার প্রতি আসক্তি হয়ে পড়ে।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে ছেলে মেয়েরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
  • মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করে ছেলেমেয়েরা পর্নোগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। এতে সমাজে কলহ দেখা দিচ্ছে।

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার পরে ছেলে মেয়েরা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বেশিরভাগ ধ্বনি শ্রেণীর ব্যক্তিরা ছোট ছেলেমেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন দিয়ে থাকেন। যযেন ছেলেমেয়েদেরকে পড়াশোনাতে আর বেশি উন্নতি করতে পাজেন। কিন্তু এই সুযোগে ছেলে মেয়েরা কাজে লাগিয়ে তারা মোবাইল ফোনে ব্যবহার করে নিজেদের ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।

মোবাইল ফোনের উপকারিতা অনেক তবে কেউ যদি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকে তাহলে এটি তাকে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলবে। যখন মোবাইলের স্ক্রিনের উপর আপনি একটানা তাকিয়ে থাকবেন এতে আপনার চোখের অনেক বেশি পরিশ্রম ভাবে এবং চোখ থেকে পানি পড়তে থাকবে এর থেকে চোখের দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পাবে অথবা দুর্বল দৃষ্টিশক্তির শিকার হবেন।

এর জন্য এখন ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে মেয়েদের চোখে বড় বড় চশমা দেখা যায় এর কারণ হলো তারা অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। ছেলেমেয়েদের দুর্বল দৃষ্টি শক্তি পিছে একটি অন্যতম কারণ হলো তারা দীর্ঘ রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে । চারিদিকে অন্ধকার থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এটি চোখে মারাত্মক ক্ষতি করে। এই সময় স্ক্রিনের আলোটি সরাসরি চোখের রেটিনাতে পৌঁছায় যা চোখে ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কোন ছেলে মেয়েদের পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হয় তারপরে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে না। বিশেষ করে করুনা কালীন সময়ে পর থেকে ছেলেমেয়েরা মোবাইল ফোনের প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। মোবাইল ফোন শুধুমাত্র শিক্ষার্থী জীবনের জন্য ক্ষতিকারক নয় মোবাইল ফোন শিক্ষার্থী পাশাপাশি তার পরিবার এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকর ।

এছাড়াও এখন মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করে ছেলে মেয়েরা পর্নোগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। পর্নোগ্রাফি মুভি গুলো দেখে ছেলে মেয়েরা খারাপ দিকে পরিচালিত হচ্ছে। এইজন্য সময় থাকে সাবধান হোন এবং বাসায় ছোট ছেলে মেয়েদের হাতে কখনোই মোবাইল ফোন দিবেন না।
এটি তাদের ভবিষ্যতকে নষ্ট করতে পারে।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন মোবাইল ফোনের অপকারিতা গুলো কি কি। এছাড়াও এখন মোবাইল ফোনে বিভিন্ন প্রকার রয়েল গেমস গুলো রয়েছে যেমন ফ্রি ফায়ার পাবজি এই গেমস গুলোর প্রতি ছেলেমেয়েরা আরো বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে যার ফলে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। এভাবে ছেলেমেয়েরা দিনরাত মোবাইল  ফোন ব্যবহার করে গেমস খেলে নিজের ভবিষ্যতকে নষ্ট করছে। আশা করছি মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে আপনি বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন আমরা দেখে আসি বর্তমান সময়ে মানবজীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো।

সমাজের ওপর মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব

সমাজের ওপর মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব কি কি? ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন মোবাইল ফোনের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে। মোবাইল ফোন এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততার যোগাযোগ মাধ্যম সবচেয়ে সহজে এবং অল্প খরচে অল্প সময়ের মধ্যে এসএমএস করে কল করে একে অপরের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারি।

এছাড়াও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কার্য প্রণালী সম্পন্ন করে থাকি কিন্ত।। মোবাইল ফোনের এত উপকারীতের পাশাপাশি এখানে কিছু অপকারিত বিদ্যমান রয়েছে। মোবাইল ফোনের ভয়াবহতা একটি ব্যক্তির জীবনের উপর নয় বরং ব্যক্তির পাশাপাশি ব্যক্তির পরিবারের উপর এবং ব্যক্তির সমাজের ওপর পড়ে।

যখন আপনি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকবেন তখন আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হবে এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন হবে না এতে আপনার পরিবার থেকে আপনার উপর চাপ সৃষ্টি হবে এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা আপনাকে নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়বে এতে পারিবারিক কলহ দেখা দিবে এবং একটি সমাজের পরিবারে যখন পারিবারিক কলহ দেখা দেয় তখন সে সমাজের শান্তি নষ্ট হয়।

এছাড়াও এখন মোবাইল ফনে ছেলে মেয়েরা ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফির দেখে। যা একটি ছেলের নীতি এবং চরিত্রকে নষ্ট করতে বাধ্য করে। পর্নোগ্রাফি দেখার পর একটি ছেলের নীতি নষ্ট হয় যা থাকে কুরুচিপূর্ণ কাজে বাধ্য করে। এতে সমাজের শান্তি বিনষ্ট হয়। এজন্য বাসায় ছোট ছেলে মেয়েদের হাতে কখনো মোবাইল ফোন দিবেন না এতে তাদের ভবিষ্যৎ দশটা হতে পারে।

মধ্যবিত্ত কিংবা গরীব পরিবারে কখনোই তারা ছোট ছেলেদের মোবাইল ফোন দেয় না কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু ধনী পরিবারের বাবা মা ছোট ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন গিফট করে যা তাদের বাচ্চাদের জীবনকে নষ্ট করে। অনেক বাবা-মা মনে করে বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দিলে এতে তাদের পড়াশোনায় আরো বেশি উন্নত হবে কিন্তু এ ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল।

প্রিয় পাঠক এই ছিল সমাজের উপর মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব। তবে একজন ব্যক্তি যদি সৎ পথে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং অতিরিক্ত মোবাইল ফোন  ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে তাহলে সে মোবাইল ফোনের সম্পূর্ণ লাভ করতে পারবে। প্রয়োজনের তুলনায় কারণে অকারণে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করাই উত্তম। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল

প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রী এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা খুবই কম। ছেলে মেয়েরা এখন পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন বাহানা দিয়ে মোবাইল ফোন ক্রয় করে। কিন্তু তারা আজও মোবাইল ফোনটি পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করে নাকি এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

মোবাইল ফোন ছাত্রছাত্রীদের জন্য একপ্রকার জ্ঞানের ভান্ডার যা সেকেন্ডে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে থাকে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা বিষয়ক মোবাইল ফোন থেকে বিশেষ সাহায্য পেতে পারে। মোবাইল ফোনে ই-বুক পরতে পারবে, পিডিএফ পরতে পারবে, অনলাইন থেকে বিভিন্ন গল্পের বই পড়তে পারবে এছাড়াও অনলাইন থেকে বিভিন্ন শিক্ষক শিক্ষিকার ক্লাস করতে পারবে।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল সম্পর্কে জানতে দেখুনঃ

  • অনলাইনে শিক্ষামূলক অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবে
  • গাইড বই ডাউনলোড করতে পারবে।
  • অনলাইন থেকে ই বুক করতে পারবে।
  • অনলাইন থেকে বিভিন্ন বই ক্রয় করতে পারবে।
  • অনলাইনে হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে তাদের থেকে ক্লাস করতে পারবে।
  • এছাড়া মোবাইল ফোনে গুগল রয়েছে যা হাজার হাজার জ্ঞানের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। সেখান থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।
  • যে কোন প্রশ্নের উত্তর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পেতে পারবে।
  • একটি শিক্ষার্থীর কাছে যদি একটি মোবাইল ফোন থাকে এবং গুগল থাকে তাহলে সে পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞানের মালিক।
  • মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন গল্পের বই পড়তে পারবে।
  • মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন অনুচ্ছেদ রচনা সংগ্রহ করতে পারবে।
  • মোবাইল ফোন থেকে প্রতিটি সাবজেক্ট পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে পারবে।
  • এছাড়া ক্লাস ১-১০ এর শিক্ষার্থীদের জন্য প্লে স্টোরে বিভিন্ন প্রকার গাইড বই সহ বোর্ড বই রয়েছে সমস্ত বই গুলো ডাউনলোড করতে পারবে।
  • পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করতে চাইলে মোবাইল ফোনে পরীক্ষা দিতে পারবে।
  • বিগত সালের সমস্ত প্রশ্ন মোবাইল ফোন থেকে কে সংগ্রহ করতে পারবে।
  • মোবাইল ফোন  থেকে বিভিন্ন ইংলিশ প্যারাগ্রাফ লেটার সংগ্রহ করতে পারবে।
  • মোবাইল ফোনের সাহায্যে যে কোন পড়া মোবাইলে পড়ার পাশাপাশি সেটি অডিও আকারে কানে নিয়ে শুনতে পারবে।
  • মোবাইল ফোনে হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে যারা প্রতি মুহূর্তে তোমাকে সাহায্য করার জন্য উপস্থিত রয়েছে। তাদের থেকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিতে পারবে।
  • কোন প্রশ্ন বুঝতে অসুবিধা হলে মোবাইল ফোন থেকে সেকেন্ডে সেই সমস্যার সমাধান বের করতে পারবে।

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা অনেক। একজন শিক্ষার্থীর কাছে যদি মোবাইল ফোন থাকে তাহলে সে পুরো পৃথিবীর জ্ঞানের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত হবে। কেউ যদি তোমাকে কোন প্রশ্ন করে তাহলে তুমি সেই প্রশ্নটি গুগোলকে জিগাসসাকরে এর উত্তর সহজেই সামনে ব্যক্তিকে দিতে পারবে।
এছাড়া অনলাইন থেকে বিভিন্ন বই পড়তে পারবে গল্পের বই পড়তে পারবে। । মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে পারবে।

আমাদের প্রত্যেকেরই পরীক্ষা দেওয়ার আগে মুহূর্তে অনেক বেশি নার্ভাসনে কাজ করে এই ক্ষেত্রে তুমি যদি নিজেকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে চাও তাহলে  মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে পরীক্ষা দিতে পারো। অনলাইনে তুমি সমস্ত সুবিধা লাভ করতে পারবে। অনলাইনে বিভিন্ন বই পড়তে পারবে । বিভিন্ন বই পিডিএফ আকারে মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করতে পারবে পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারবে অনলাইনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ক্লাস করতে পারবে।

এখন মোবাইল ফোনে আমাদের গুগল থাকে তুমি যদি গুগলকে জিজ্ঞাসা করো আমাদের আশেপাশে বইয়ের দোকান কোথায় কিংবা আশেপাশে কোন দোকানে এই বইটি পাওয়া যাবে? তাহলে গুগল তোমাকে দুই থেকে তিন সেকেন্ডের মধ্যে সমস্ত উত্তর দিয়ে দিবে এবং তোমাকে জানিয়ে দিবে তোমার আশেপাশে কোথায় কোন বইয়ের দোকান রয়েছে।

এখন প্রযুক্তির কল্যানে সবকিছুই সম্ভব তুমি চাইলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সমস্ত জ্ঞানের ভান্ডার হিসেবে নিজেকে তোমার বন্ধু বান্ধবের সামনে উপস্থাপন করতে পারবে। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনে সুফল সম্পর্কে এবার আমরা দেখে আসি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের কুফল সম্পর্কে।

ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোনের কুফল

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের কুফল অনেক যেমন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে এটি শিক্ষাতে জীবনে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। একজন শিক্ষার্থী জীবনে মোবাইল ফোন সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে সে প্রচুর উপকারিতা লাভ করতে পারে তবে সে যদি প্রয়োজন এর তুলনায় কারণে অকারণে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকে তাহলে নিচের এই কুফল গুলো দেখা দিবে।
  • ছাত্র-ছাত্রীর স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাবে।
  • তারা মোবাইল ফোনের প্রতি অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে এবং যে কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে মোবাইল ফোনে গুগল ব্যবহার করবে।
  • নিজের মেধাশক্তির হ্রাস পাবে।
  • নিজের প্রতি আত্মনির্ভরশীলতা কমে যাবে।
  • প্রত্যেকটি কাজে মোবাইল ফোনের সহায়তা নিবে।
  • পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে উঠবে। এর ফলে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেনা।
  • পারিবারিক কলহ দেখা দিবে।
  • শিক্ষার্থীরা পণ্য গ্রাফির প্রতি আকুলতা দেখাবে এর ফলে সমাজের শান্তি নষ্ট হবে।
  • মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করতে থাকলে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন গেমস খেলতে শুরু করবে যেমন ব্যাটেল রয়েল গেম গুলো, ফ্রি ফায়ার pubg। এই সমস্ত গেমে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করবে যার ফলে পড়াশোনা মনোযোগ নষ্ট হবে।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে ভার্চুয়াল জগতে অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে পড়বে। মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হবে এবং পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটবে।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার পরে শারীরিক সমস্যা দেখা দিবে যেমন অল্প বয়সের দুর্বল দৃষ্টি শক্তি শিকার হয়ে পড়বে, অতিরিক্ত গান শোনা কিংবা হেডফোন ব্যবহার করার পরে কানের সমস্যা তৈরি হবে।
  • একটানা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মোবাইল কোন ব্যবহার করলে ঘাড়ে ব্যথা অনুভূত হবে এবং তীব্র মাথাব্যথা অনুভূত হবে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে জীবনে মোবাইল ফোনের সুপারের পাশাপাশি কুফল রয়েছে উপরে আমরা ছাত্র জীবনের মোবাইল ফোনের কুফল নিয়ে আলোচনা করলাম। ছাত্র যখন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে শুরু করবে তখন তাদের উপরের এই সমস্যা গুলো দেখা দিবে। তাদের মেধা শক্তি রাশ পেয়ে যাবে এবং নিজের প্রতি আত্মনির্ভরশীলতা কমে যাবে আর মোবাইল করার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন যে কোন কাজে যে কোন সমস্যা সমাধানে গুগলকে খুঁজবে। 

নিজের প্রতি আর কোন বিশ্বাস থাকবে না। মানসিক সমস্যায় ভুগতে থাকবে এবং পারিবারিক কলহ দেখা দিবে পাশাপাশি অতিরিক্ত পনোগ্রাফিক্সের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে। এতে সমাজে অশান্তি তৈরি করবে। এছাড়াও যখন কোন ছাত্র অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফিক্সের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে তখন সে আশেপাশে মেয়েদেরকে বাজে মন্তব্য করতে থাকবে।

এইজন্য সময় থাকতে তোমরা সাবধান হও এবং অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকো। প্রতিটি জিনিসের খারাপ এবং ভালো উভয় রয়েছে । প্রতিটি জিনিস কে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে তোমরা উপকারিতা লাভ করতে পারবে আর যদি তোমরা অসৎ পথে অসৎভাবে ব্যবহার করো তাহলে ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে।

তেমনি তোমরা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে শুধুমাত্র প্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করো যোগাযোগের জন্য তথ্য আদায়ের প্রদানের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করো তাহলে উপরের উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবে আর যদি কারণে-অকারণে সব সময় অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকো তাহলে উপরের এই সমস্যাগুলো তোমার দেখা দিবে।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে কি চোখের সমস্যা হয়?
হ্যাঁ অতীতের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের আলোটি চোখে রেটিনাতে পৌঁছায় এবং এটি সরাসরি চোখের দৃষ্টিশক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বর্তমান সময়ে ছেলেমেয়েরা গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যার ফলে তারা অল্প বয়সেই দুর্বল দৃষ্টি শক্তি স্বীকার হয়ে পড়ছে।

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল গুলো কি কি?
আপনি কি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনে সুফল ও কুফল সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন ওপরে দেখুন আমরা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনে সুফল ও কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ছাত্র ছাত্রীর মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে বিভিন্ন বই পড়তে পারবে বইগুলো পিডিএফ আকারে মোবাইল ফোনে সেভ করে রাখতে পারবে।
আর অতিরিক্ত মোবাইল কোন ব্যবহার করার ফলে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরের পাশাপাশি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে কিভাবে সমাজের শান্তি নষ্ট হয়?
মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সমাজের শান্তি নষ্ট হয় না তবে কেউ যদি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাহলে সে মোবাইল ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে এটা তার পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হবে যার ফলে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে না এতে পরিবারে কলহ সৃষ্টি হবে এবং যখন একটি পরিবারে কলহ সৃষ্টি হবে তখন সেই সমাজের শান্তি নষ্ট হবে।

এছাড়াও ছেলেমেয়েরা মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখে যার ফলে তাদের নীতি এবং চরিত্র নষ্ট হতে বাধ্য হয়। যখন কোন ছেলে অতিরিক্ত পণ্যগ্রাফিক দেখা শুরু করবে তখন তারা মেয়েদেরকে খারাপ ইঙ্গিত দিতে শুরু করবে এবং মেয়েদেরকে দেখলে বাজে মন্তব্য করবে যা সমাজে শান্তি নষ্ট করে। এই জন্য আমার মতে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সমাজের শান্তি নষ্ট হয়।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারতাগুলো , সাথেই ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল এবং বর্তমান সময়ে মানব জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত দেখলাম।

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন চিনে না কিংবা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম কারণ আমরা প্রত্যেকে এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। মোবাইল ফোনে সুযোগ সুবিধা তো অনেক মোবাইল ফোনের সাহায্যে যে কোন ব্যক্তির সাথে যে কোন দেশের ব্যক্তির সাথে খুব সহজে তথ্য আদান প্রদান করতে পারি অডিও ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারি এসএমএস করতে পারি।

সাথে ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করে আমরা উপরের সুবিধাগুলো লাভ করতে পারি। মোবাইল ফোনের এতসব সুযোগ সুবিধা থাকার কারণে ছেলেমেয়েরা এখন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা শুরু করেছে তাড়াতাড়ি জীবনে ভয়াবহ সময় নিয়ে আসতে চলেছে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি তোমরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এই জন্য একটু সচেতন হও আর অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বাদ দাও।

প্রিয় পাঠক বিন্দু আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে একটি কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। আর মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার বন্ধু-বান্ধবদেরকে সচেতন করতে এই পোস্টটি প্রচুর শেয়ার করুন।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url