বাংলাদেশের টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ

 ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা 

টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চান? বাংলাদেশের সেরা বীমা কোম্পানি কোনটি এবং বাংলাদেশের ভালো বীমা কোম্পানির তালিকা জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। বাংলাদেশের সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ কোনটি?

বাংলাদেশের টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ
লাইফ ইন্সুরেন্স যার বাংলা অর্থ জীবন বীমা এবং জীবন বীমা বলতে জীবনের এক চুক্তিকে বোঝায় যা আপনার অনিশ্চিতকালে আপনার পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করবে। জীবন বীমার তিন ধরনের হয়। জীবন বীমা সম্পর্কে এবং টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সেরা বীমা কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। 

বীমা কাকে বলে 

আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্নটি আসে যে বীমা কাকে বলে? বীমা বলতে একই চুক্তিকে বোঝায়। আপনি যেই লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে বীমা একাউন্ট তৈরি করবেন তাদের সাথে আপনার একটি চুক্তি আপনার অনিশ্চিত স্যারের অথবা আপনার অসুস্থ কালে আপনার পরিবারকে সেই লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি আর্থিকভাবে সাহায্য করবে। এমন একটি যুক্তিকে জীবন বীমা বলা হয় এবং এই জীবন বীমার জন্য দলিল স্বরুপ তৈরি করা হয়। 

বীমা কত প্রকার ও কি কি

আপনি কি জানেন বীমা কত প্রকার ও কি কি? উপরে আমরা দেখলাম বীমা বলতে বোঝায় একটি চুক্তিকে। এই চুক্তি কত প্রকার ও কি কি হয়? লাইফ ইন্সুরেন্স সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটি সাধারণ বীমা আর একটি জীবন বীমা। এখন প্রশ্ন হলো সাধারণ বীমা কাকে বলে এবং জীবন বীমা কাকে বলে? 

সাধারণ বীমা কাকে বলে

সাধারণ বীমা বলতে বোঝায় যে করে বস্তুগত জিনিসের উপর বীমা তৈরি করে তার ক্ষতিপূরণ দাবি করা। অর্থাৎ আপনার যদি একটি গাড়ি থাকে আপনি আপনার গাড়ির উপর সাধারণ বীমা করেন তাহলে আপনার গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে গাড়ির ক্ষতিপূরণ সে বীমা কোম্পানি দিবে। অথবা আপনি যদি আপনার বাড়ির উপর একটি বীমা তৈরি করেন তাহলে আপনার বাড়ি দুর্ঘটনায় যদি ভেঙে যায় কিংবা কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে সেই বাড়ির ক্ষতিপূরণ বীমা কোম্পানি দিবে। 

সাধারণ বীমা একটি নির্দিষ্ট সময় যেমন এক বছর দুই বছর কিংবা তিন বছরের জন্য সেবা প্রদান করে। 
সাধারণ বীমা বস্তুগত জিনিসের উপর করা হয় যেমন গাড়ি বাড়ি সম্পত্তি।
সাসাধারণ বীমা থেকে ক্ষতিপূরণ প্রতিবছরে অথবা প্রতি তিন মাস পর পর দেয়। 
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন সাধারণ বীমা কাকে বলে। প্রিয় পাঠকগণ এবার চলুন আমরা দেখে আসি জীবন বীমা কাকে বলে। 

জীবন বীমা কাকে বলে

জীবন বীমা বলতে বোঝায় কোন ব্যক্তির ওপর জীবন বীমা করলে সে ব্যক্তির অনিশ্চিত কালে কিংবা সে ব্যক্তির অসুস্থতায় যদি সে ব্যক্তিদের পরিবারের আর্থিকভাবে দায়ভার নিতে না পারে তাহলে সেই অবস্থায় সে বীমা কোম্পানি তার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতায় প্রদান করবে এবং প্রতি মাসে নির্ধারিত অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে।

জীবন বীমা অর্থের পরিমাণ প্রথমে নির্ধারিত করতে হয়। জীবন বীমাতে এমন একটি চুক্তি করা হয় যেখানে প্রতিমাসে আপনাকে কিছু কিছু অর্থ জীবন কোম্পানিতে সঞ্চয় করতে হবে এবং পরিবর্তে আপনার অনিশ্চিত কালে সেই জীবন বীমা কোম্পানি আপনার পরিবারকে প্রতি মাসে আর্থিকভাবে অর্থ প্রদান করবে।

এতে আপনার পরিবার আর্থিকভাবে সচল থাকবে। জীবন বীমা করলে লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি প্রতি মাসে ক্ষতিপূরণ দেয়। প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন জীবন বীমা কাকে বলে সাধারণ বীমা কাকে বলে এবং জীবন বীমা কত প্রকার এবং কি কি। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ। 

টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ

আপনি কি বাংলাদেশের টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি সম্পর্কে জানতে চান? টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ কোনটি? বাংলাদেশের insurance কোম্পানির অবদান অনেক এটি আর্থিকভাবে বাংলাদেশকে সচল রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এখন ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে অর্থাৎ আর্থিক সংকটে ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো থেকে কিছু টাকা ঋণ নেওয়া সম্ভব এবং প্রতি মাসে সেই টাকা অল্প অল্প করে শোধ করার সুযোগ রয়েছে।

এভাবে কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ আর্থিক অবস্থাকে আরও বেশি সচল রাখতে সহায়তা করছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকার ইন্সুরেন্স কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে কিছু কোম্পানি সরকারি মালিকানাধীন আর কিছু কোম্পানি বেসরকারি। সরকারি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো বেসরকারি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি তুলনায় অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য।  তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ দেখব।
বাংলাদেশের টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে ০৫ নাম্বারে রয়েছে 

গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড
বর্তমান সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির মধ্যে একটি হল গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্স।  গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্স এই বীমা কোম্পানিটি ২০০০ সালে প্রথম ঢাকাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই বীমা কোম্পানি সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি যার কারণে এটি অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে। গার্ডিয়ান্স লাইফ ইন্সুরেন্স বীমা কোম্পানিতে জীবন বীমা গাড়ি বীমা ভ্রমণ বীমা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বীমা সহ শিক্ষা বিবরণ রয়েছে।

গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্স বীমা কোম্পানি এটি সম্পূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্স তাড়াতাড়ি গ্রাহকদেরকে চমৎকার  সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে এখানে আপনি ভ্রমণ বীমা করতে পারবেন গাড়ি বীমা করতে পারবেন সম্পত্তিবিমা করতে পারবেন বাড়ি বীমা করতে পারবেন বন্ধু না করতে পারবেন পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বীমা এবং শিক্ষা বি বা করতে পারবেন।

গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্স এর এতসব সুযোগ সুবিধার কারণে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে ০৫ নাম্বারে রয়েছে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্স। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বাংলাদেশের সেরা বীমা কোম্পানি গুলোর মধ্যে ০৪ নাম্বারে কোন কোম্পানি।
বাংলাদেশের সেরা বীমা কোম্পানি ০৪)

মেটালাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
বাংলাদেশের সেরা লাইভ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে চার নাম্বারে রয়েছে মেটা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি এই বীমা কোম্পানিটি অনেক বেশি বিশ্বস্ত । এই বীমা কোম্পানিটি প্রথম 2019 সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পাঁচ থেকে ছয় বছরের ব্যবধানে বীমা কোম্পানিটি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে কারণ ইন্সুরেন্স কোম্পানি নিয়ে তাদের গ্রাহকদের প্রতিশ্রুতি দেয় চুক্তি পূরণের।

যদি আপনি মেটার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে একটি জীবন বীমা একাউন্ট তৈরি করেন তাহলে মেটাল লাইফ ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষ আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তাড়াতাড়ি চুক্তি অনুসারে আপনার অনুপস্থিতিতে কিংবা আপনার অসুস্থতাতে আপনার পরিবারের সমস্ত আর্থিক দায়িত্ব নিবে। এবং প্রতি মাসে চুক্তি অনুসারে টাকা আপনার পরিবারকে দিবে। 

মেটা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি এটি গ্রাহকদের সম্পূর্ণ সেবা প্রদান করে থাকে।  এছাড়াও মেয়েটা লাইফ ইন্সুরেন্স বাজারের কিছু উদ্ভাবনী পণ্য গ্রাহকদেরকে সবসময় অফার করে যেমন: metallife term plus, metalife unique linked insurance plan, metalife health insurance। মেটাল লাইফ ইন্সুরেন্সে আপনি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বীমা করতে পারবেন অর্থাৎ আপনি কোন একদিন যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে আপনার চিকিৎসার সমস্ত ক্ষতিপূরণ ইন্সুরেন্স কোম্পানি দিবে।

কঠিন থেকে কঠিনতম রোগের চিকিৎসার আর্থিক খরচ ক্ষতিপূরণ ইন্সুরেন্স কোম্পানি দিবে। এইজন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা লাইভ ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪ নাম্বারে মেটা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বাংলাদেশের সেরা ইন্সুরেন্স কোম্পানি গুলোর মধ্যে ৩ নাম্বারে কোন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি রয়েছে।

পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড 
পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এটি সম্পূর্ণ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড মাত্র ৪ থেকে ৫ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বাংলাদেশ পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড থেকে শুরু করে পপুলার হসপিটাল পপুলার আই হসপিটাল এবং পপুলার ইনস্টিটিউট পর্যন্ত রয়েছে। পপুলার যার বাংলা শব্দ হলো জনপ্রিয়। এইজন্য হয়তো।পপুলার নামের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান অনেক কম সময়ের মধ্যে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। 

পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স এটি ২০০০ সালের ২০ নভেম্বর প্রথম ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুযোগ সুবিধা অনেক এখানে সাধারণ বীমা থেকে শুরু করে জীবন বীমা পর্যন্ত রয়েছে এবং সাধারণ বীমা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সম্পত্তি বীমা গাড়ি বিভাগ বাড়ি বীমা এবং আরো অন্যান্য বিভিন্ন প্রকার বস্তু নিয়ে বীমা করার সুযোগ। সাথেই জীবন বীমাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বীমা এবং শিক্ষা বীমা রয়েছে।। পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেডের এখানে গ্রাহকদের জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা ব্যবস্থা করা রয়েছে।

বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স এর শাখা রয়েছে যার কারণে সহজেই যে কেউ পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স এ একটি জীবন বীমা অ্যাকাউন্ট অথবা সাধারণ বীমা অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবে এটি সহজলভ্য। পাপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি এখানে গ্রাহকের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আর্থিক সংকটে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ এর মধ্যে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড রয়েছে এবার চলুন আমরা দেখে আসি বাংলাদেশের সেরা বীমা কোম্পানি ২ কোনটি।

ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স 
ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি এটি প্রথম ২০০১ সালে ২৯ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়।ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স শরীয়াহ সম্মত উপায়ে প্রচলিত হয়। অর্থাৎ হাদিস অনুসারে এই ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে বিভিন্ন প্রকার নীতিমালা মানা হয়। অন্যান্য লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে যেমন রিবা সম্পর্কিত রয়েছে তেমনি ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রিবা সম্পর্কে যুক্ত নয়। আপনারা যারা হালাল লাইফ ইন্সুরেন্স খুঁজছেন তাদের জন্য ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স পারফেক্ট। 

এছাড়াও ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর সুযোগ সুবিধা অনেকে এখানে ইসলামী ব্যাংকিং এর সাথে সংযুক্ত রয়েছে সামাজিক শিক্ষা রয়েছে। এছাড়াও আর্থিক সুরক্ষা রয়েছে। এছাড়াও এই ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স ব্যাংক এটি অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য অল্প সময়ের মধ্যে এই ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স ব্যাংকে অনেক বেশি জনপ্রিয় লাভ করেছে তাই আপনি চাইলে নিঃসন্দেহে ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে একটি বীমা একাউন্ট তৈরি করতে পারেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বাংলাদেশের সেরা বীমা কোম্পানি অথবা টপ ১ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে।

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি সম্পূর্ণ সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান এবং সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। সোনালী ব্যাংক এর একটি অংশ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রকাশক সুবিধা প্রদান করে থাকে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সে আপনি বিভিন্ন প্রকার বীমা তৈরি করতে পারবেন।

এছাড়াও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরন্সএ মানিব্যাক গ্যারান্টি সহ জীবন বীমা তৈরি করতে পারবেন। এছাড়াও সোনালী লাইভ ইন্সুরেন্স এর জীবন বীমাতে মানিব্যাক পলিসি এর পাশাপাশি এন্ডোয়মেন্ট পলিসি, টার্ম পলিসি এবং গ্রুপ লাইফ ইন্সুরেন্স বিদ্যমান রয়েছে। জীবন বীমা করলে এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা গুলো উপভোগ করতে পারবেন পাশাপাশি লাইফ ইন্সুরেন্স এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা বীমা করার সুযোগ রয়েছে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা বীমাতে গ্রুপ হেলথ ইন্সুরেন্স এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বীমা রয়েছে। অর্থাৎ যদি আপনি গ্রুপ হেলথ ইন্সুরেন্স নেন তাহলে আপনি গ্রুপের যাদের নাম উল্লেখ করবেন ভবিষ্যতে যদি তারা কখনো অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে কঠিন থেকে কঠিনতম রোগের সকল চিকিৎসার আর্থিক খরচ সেটা নিয়ে লাইফ ইন্সুরেন্স নিবে। আর যদি আপনি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ইন্সুরেন্স নেন তাহলে আপনার অসুস্থতায় সমস্ত চিকিৎসার আর্থিক খরচ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স নিবে। 

এছাড়াও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গাড়ি বীমা থেকে শুরু করে বাড়ি বীমা এবং সম্পত্তির বিমা পর্যন্ত করতে পারবেন। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রাহক থেকে প্রতিবছরে কিছু বোনাস দিয়ে থাকে এবং এ বোনাস গুলো তাদের এককালীন টাকার সাথে যোগ হতে থাকে। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা বীমা কোম্পানি ২০২৪ কোনটি। 

বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা বীমা কোম্পানি ২০২৪ হলো সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স। বাংলাদেশের সেরা পাঁচটি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করলাম এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে কিছু বেসরকারি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি রয়েছে এবং কিছু সরকারি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি রয়েছে। এই লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য আপনারা চাইলে নিঃসন্দেহে উপরের এই লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোতে আপনাদের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নিচে দেখে নিন 
  1. সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড 
  2. ফারইষ্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  3. পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  4. মেটালাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
  5. গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশের টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে।

আমাদের শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আজকের এই আর্টিকেলে দেখলাম বাংলাদেশের ভালো বীমা কোম্পানির তালিকা গুলো বাংলাদেশের সেরা বীমা কোম্পানির তালিকা গুলো এবং টপ ৫ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে। অর্থাৎ বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা কয়েকটি ইন্সুরেন্স কোম্পানি সম্পর্কে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে দেখলাম।

ওপরে আমরা বাংলাদেশের সেরা টপ ৫ টি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি নিয়ে আলোচনা করলাম। লাইফ ইন্সুরেন্স অথবা জীবন বীমা বলতে বোঝায় একটি চুক্তিকে যে চুক্তির মাধ্যমে ব্যক্তির অনিশ্চিত কালে তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা বজায় থাকে। আবার যদি শিক্ষাবিমা করেন তাহলে আপনার অনিশ্চিত কালে অথবা আপনার মৃত্যুতে আপনার ছেলে মেয়ের শিক্ষার আর্থিক অবস্থা সচল থাকবে যার ফলে তারা সঠিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।

এজন্য ছেলে মেয়ের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে অবশ্যই একটি শিক্ষা বীমা তৈরি করতে হবে শিক্ষা বীমা বলতে বোঝায় আপনাকে প্রতিমাসে কিছু নির্ধারিত অর্থ জমা করতে হবে অথবা সঞ্চয় করতে হবে আপনার অনিশ্চিত কালে এই অর্থের মাধ্যমে আপনার ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করবে। অথবা যদি আপনি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ইন্সুরেন্স করেন তাহলে কঠিন থেকে কঠিনতম রোগের চিকিৎসার আর্থিক খরচ ইন্সুরেন্স কোম্পানি বহন করবে।

আমাদের প্রত্যেকের সুশিক্ষা অর্জন করতে এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে এবং আর্থিকভাবে সচল থাকতে অবশ্যই ইন্সুরেন্স একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে বন্ধুবান্ধবদের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করুন যেন তারা লাইফ ইন্সুরেন্স এর গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে পারে।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url