সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা করার নিয়ম জানুন
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা বীমা অফার করে যা আপনার সন্তানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা করেন নিয়মগুলো। আপনার সন্তানের শিক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন পড়তে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা করার নিয়ম জানুন, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি?, লাইফ ইন্সুরেন্স কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য, তাই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স হালাল নাকি হারাম?
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পর্কে সমস্ত গোপন সত্য তথ্য তুলে ধরব তাই উপকার পেতে পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে থাকুন। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য উপকারী হতে পারে সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি অনেক বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে পারেন। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষাবিমা করার নিয়ম,সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি এবং সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স হালাল নাকি হারাম,সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা সাথে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
বাংলাদেশের বীমা কোম্পানির সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স অথবা এস এল আই সি সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য একটি বীমা কোম্পানি। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি এস এল আই সি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় এবং সোনালী ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত হয়। লাইফ ইন্সুরেন্স বলতে বোঝায় জীবন বীমা কে আর জীবন বীমা বলতে বোঝায় এমন একটি চুক্তিকে, যা আপনার অনিশ্চিত কালে অথবা আপনার অসুস্থতায় আপনার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবে।
সহজ ভাষায় বলি জীবন বীমা বলতে এমন এক ধরনের চুক্তি যেখানে আপনাকে প্রতি মাসে অথবা প্রতি সপ্তাহে চুক্তি অনুসারে কিছু অর্থ প্রদান করতে হবে এবং লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি থেকে আপনার অনিশ্চিত কালে অথবা আপনার অসুস্থতায় আপনাকে তারা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পর্কে।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের সুবিধা অনেক সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা লাভ করার পাশাপাশি এখান থেকে আপনি শিক্ষাগত সুবিধা লাভ করতে পারবেন পাশাপাশি চিকিৎসা গত সুবিধা লাভ করতে পারবেন। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য। নিচে দেখুন সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর সুবিধা গুলো এবং সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের শিক্ষা বীমা করার নিয়ম।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত একটি বৃহত্তম জীবন বীমা কোম্পানি। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৩ সালে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় এদের সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিনা যেত এবং বর্তমান সময়ে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান যা আপনার পরিবারকে সরাসরি আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।
এবং বর্তমান সময়ে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সোনালী ব্যাংক পরিচালিত হয় এবং এটি সরকারি মালিকানাধীন। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর সুবিধা অনেক আজকের এই আমরা জানব সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা গুলো এবং সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষাবীমা করার নিয়ম সমূহ। নিচে দেখুন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর উল্লেখযোগ্য সুবিধার নিম্নরূপঃ
১। বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী একটি জীবন বিমা হলো সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স।
২। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের আর্থিক সহযোগিতা লাভ করার পাশাপাশি শিক্ষার দিক থেকেও সহযোগিতা লাভ করার সুবিধা রয়েছে।
৩। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সারা দেশ ব্যাপক প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং সারা দেশের প্রায় 86 টি শাখা এবং কেন্দ্র রয়েছে যেকোনো একটি শাখা থেকে যেকোনো সময় সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
৪। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের কিছু জনপ্রিয় বীমা রয়েছে যেমন
- জীবন বীমা
- সঞ্চয় বীমা
- শিক্ষা বীমা
- স্বাস্থ্য বীমা
- গ্রুপ বীমা
৫। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স বাজারের সবচেয়ে বেশি প্রেমিয়াম অফার প্রদান করে। আপনি চাইলে আপনার বাজেট অনুযায়ী একটি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে অফার গ্রহণ করতে পারেন।
৬। যেহেতু সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সরকারি মালিকানাধীন সে ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বেশি বিশ্বস্ত জীবন বীমা।
৭। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা লাভ করতে পারবেন
৮। অসুস্থতায় সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সুবিধা লাভ করতে পারবেন।
৯। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের অবদানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।
১০। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি অবস্থা উন্নত হয়েছে।
১১। জীবন বীমা করার মাধ্যমে বিনিয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং আর্থিক অবস্থাকে উন্নত করতে পারছেন।
উপরুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নিশ্চিত করা যায় যে, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের সুবিধা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত প্রত্যেকটি জীবন বীমা কোম্পানি অনেক বেশি উন্নত এবং বিশ্বাসযোগ্য। প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা সম্পর্ক। এবার চলুন আমরা দেখে আসি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা করার নিয়ম গুলো।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এ শিক্ষা বীমা তৈরি করতে চান? সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সে এখন আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করার পাশাপাশি শিক্ষাগত দিক থেকেও সুবিধা লাভ করা সম্ভব। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত প্রত্যেকটি বীমা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য এবং এটি সরকারি মালিকানাধীন।
তাই আপনার সন্তানের শিক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে একটি শিক্ষা তৈরি করা খুবই জরুরী। আর সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে শিক্ষা বিমান চুক্তি হলো প্রতিমাসে নির্ধারিত টাকা প্রদান করার পরিবর্তে আপনার অসুস্থ তাই কিংবা আপনার অনিশ্চিত কালে আপনার ছেলে মেয়ের শিক্ষার উন্নতি করা এবং শিক্ষার দায়ভার গ্রহণ করা।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সে শিক্ষা বীমা করার নিয়মঃ
১। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের শিক্ষা বীমা তৈরি করার জন্য যে সমস্ত যোগ্যতাগুলো প্রয়োজন,
২। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের শিক্ষকরা তৈরি করার জন্য সর্বনিম্ন বয়স 18 বছর হতে হবে। এবং সর্বোচ্চ বয়স ৬০ হতে হবে।
৩। বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
৪। সন্তানের বয়স ০ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে হতে হবে। সন্তানের বয়স সর্বোচ্চ ১৮ হতে হবে।
আপনার বয়স যদি ১৮ থেকে ৬০ এর মত হয় তাহলে আপনি একটি জীবন বিভাগ তৈরি করতে পারবেন আর আপনার সন্তানের অথবা শিশুর বয়স যদি ০ থেকে ১৭ এর মধ্যে হয় তাহলে সন্তানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষাবিমা তৈরি করা সম্ভব। এবার জানতে হবে শিক্ষা বীমা তৈরি করার জন্য কি কি কাগজপত্র অথবা ডকুমেন্টসের প্রয়োজন।
নিচে দেখুন শিক্ষা বীমা তৈরি করার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজনঃ
১। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর শিক্ষা বীমা তৈরি করার জন্য প্রথমে একটি আবেদনপত্র দেওয়া হবে এবং সেই আবেদন পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি সঠিক তথ্য প্রদান করে আবেদন পত্রটি পূরণ করতে হবে।
২। সন্তানের এবং বাবা-মার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
৩। শিশুর এবং অভিভাবকের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৪। ব্যাংক একাউন্ট অথবা মোবাইল ব্যাংকিং তথ্য।
৫। সর্বশেষ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি সনদপত্রের ফটোকপি অর্থাৎ আপনার সন্তান কোন স্কুলে অথবা কোন কলেজে পড়াশোনা করছে সেখানকার একটি ভর্তি সনদের ফটোকপি।
উপরের কাগজপত্র গুলো আপনার কাছে বিদ্যমান থাকলে সহজে একটি শিক্ষা বীমা অথবা ইন্সুরেন্স তৈরি করতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি পলিসি সুবিধা গুলো অথবা শিক্ষা বীমা পলিসি এর সুবিধা গুলো কি কি।
শিক্ষা বীমা পলিস এর সুবিধা অনেক শিশু শিক্ষার জন্য নির্ধারিত তথ্য প্রদান করতে হবে, করতে পারবেন লোন সুবিধা লাভ করতে পারবেন সাথে মেয়াদ শেষে ম্যাচিউরিটি সুবিধা লাভ করতে পারবেন। আমাদের প্রত্যেকের উচিত একটি শিক্ষা বীমা তৈরি করা কারণ সন্তানের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা বীমা তৈরি করা খুবই জরুরী।
এবার শিক্ষা বীমা তৈরি করার জন্য অবশ্যই জানতে হবে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে। নিচে দেখুন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা করার আবেদন প্রক্রিয়াঃ
১। বাংলাদেশের সর্বমোট প্রায় 86 টি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের শাখা অথবা কেন্দ্র রয়েছে যেখান থেকে গ্রাহকরা সেবা গ্রহণ করতে পারবে তাই আপনার আশেপাশে যে কোন একটি শাখা অথবা অফিস থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করুন।
২। আবেদনপত্র সংগ্রহ করে সেখানে সঠিক তথ্য প্রদান করে আবেদন পত্রটি পূরণ করুন।
উপরের আলোচনা করা কাগজপত্র গুলোর সাথে আবেদন পত্রটি জমা দিন এবং প্রিমিয়াম প্রদান করুন।
৩। সব শেষে বীমা পলিসি গ্রহণ করুন।
''অভিনন্দন'' আপনি সফলভাবে আপনার সন্তানের জন্য একটি শিক্ষা বীমা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রিয় পাঠক গন আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষাবিমা তৈরি করতে হয় অথবা সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা তৈরি করার নিয়ম কি। উপরের এই নিয়ম অনুসারে আপনি সহজে যেকোনো সময় আপনার সন্তানের জন্য সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের শিক্ষা তৈরি করতে পারবেন।
তৈরি করার জন্য আপনার সন্তানের বয়স সর্বোচ্চ ১৮ বছর হতে হবে এবং আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ বছর পর্যন্ত হতে হবে। সাথেই ওপরের কাগজপত্র গুলো বিদ্যমান থাকতে হবে। প্রিয় পাঠক গণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিখা বীমা করার নিয়ম গুলো। এবার চলুন আমরা দেখে আসি সরকারি নাকি বেসরকারি।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি?
বাংলাদেশে বেশিরভাগ লাইফ ইন্সুরেন্স প্রতিষ্ঠানগুলো বেরসরকারি। যার কারণে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি? তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি। বাংলাদেশের সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালের প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বৃহত্ত ছিল। তবে সময়ের ব্যবধানে এখন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পন্ন সরকারি কারণ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এখন সোনালী ব্যাংক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় এবং এস এল আই সি কর্তৃক অনুমোদিত। ২০১৩ সালের পর থেকে এসএলআইসি কর্তৃক অনুমোদিত এই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স বিমাটি এখন সরকারি এবং এটি সরকারি মালিকানাধীন।
আর সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এখন সরকারি মালিকানাধীন হওয়ায় এটি অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে। তাই যে কেউ এখন এই সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সেম অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারে এবং শিক্ষাবিমা অথবা স্বাস্থ্য বীমা তৈরি করতে পারে এবং নিজের স্বাস্থ্যের উন্নতির সাথে সন্তানের শিক্ষার নিশ্চিত করতে পারে।
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে ২০১৩ সালের পর থেকে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এখন পরিপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি মালিকানাধীন। অর্থাৎ এই প্রতিষ্ঠানটি সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয়। প্রিয় পাঠক গণ আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি এবং সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এ শিক্ষামে তৈরি করেন নিয়ম কি কি। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স হালাল নাকি হারাম?
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স হালাল নাকি হারাম
আপনি কি জানেন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স হালাল নাকি হারাম আপনি যদি আপনার সন্তানের সুশিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সে শিক্ষাবিমা তৈরি করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে আগে জানতে হবে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য এবং এ প্রতিষ্ঠানটি হালাল নাকি হারাম? নিচে দেখুন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স হালাল নাকি হারাম?
রিবার সাথে সম্পর্কযুক্ত যে কোনো প্রকার প্রতিষ্ঠান হারাম। এক্ষেত্রে যে কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানার আগে আমাদেরকে সেই প্রতিষ্ঠানের পলিসি সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই প্রতিষ্ঠান কোনপ্রকার সাথে সম্পর্কযুক্ত নাকি সেই বিষয়ে জানতে হবে। তারপর নিশ্চিত করা সম্ভব হবে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স হালাল নাকি হারাম।
যেহেতু সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয় এবং সরকারি মালিকানাধীন সে ক্ষেত্রে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কে হালাল বলে গণ্য করা হয় তবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি লাইফ ইন্সুরেন্স প্রতিষ্ঠান অল্প পরিমাণ হলেও রিবা অথবা সুদ কিংবা ঘুষের সাথে সম্পর্কযুক্ত। আর ইসলামে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা রয়েছে রিবা সুদ অথবা ঘুষের সাথে সম্পর্কযুক্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই হারাম।
তাই ইসলামী শরীয়তের ভাষা থেকে জানা যায় যে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এটি সম্পূর্ণ হারাম। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে যে অর্থগুলো লাভ করা সম্ভব সে অর্থগুলো সম্পূর্ণ হারাম এবং তাদের সাথে চুক্তি নামাই অংশগ্রহণ করাও হারাম। প্রিয় পাঠক গণ আশা করছি ওপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স হালাল নাকি হারাম? এবার চলুন আমরা দেখে আসি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কি বিশ্বাসযোগ্য?
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কি বিশ্বাসযোগ্য?
যেহেতু আপনি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের একটি শিক্ষাবিমা তৈরি করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে আপনাকে এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কি বিশ্বাসযোগ্য? ২০১৩ সালের পর থেকে এস এল আই সি কর্তৃক সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স অনুমোদিত হয়েছে যার কারণে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এখন সরকারি মালিকানাধীন এবং এটি অনেক বেশি বিশ্বস্ত হিসেবে জানা হয়।
অন্যান্য লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লাইফ ইন্সুরেন্স অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সর্ব দেশ জুড়ে সবচেয়ে বৃহত্তম একটি বীমা কোম্পানি হিসেবে আখা পায় তবে 2013 সালের পর থেকে এটি সরকারি হিসেবে জানা হয়।
যার কারণে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের জনপ্রিয়তা আরো বেশি বৃদ্ধি পায় এবং সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স অনেক বেশি বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সদের সুযোগ-সুবিধা অনেক এখানে শিক্ষা বিহার পাশাপাশি জীবন বীমা করার সুযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য বীমা সুযোগ রয়েছে পাশাপাশি আর অন্যান্য বিভাগ তৈরি করতে পারবেন।
আপনি যদি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে উপরে দেখুন আমরা সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা গুলো শেয়ার করেছি। এবার প্রশ্ন যদি আসে যে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কি বিশ্বাসযোগ্য নাকি তাহলে আমি বলব অন্যান্য বীমা কোম্পানি তুলনায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য।
তবে আপনি যদি ইসলামিক এবং ধর্মভীরু হয়ে থাকেন তাহলে আমার মতে অথবা রিবা অথবা সুদের সাথে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের আওতায় না আসাই উত্তম। কারণ লাইফ ইন্স্যুরেন্স নামক প্রতিটি কোম্পানি হারাম এগুলো সুদ অথবা ঘুষের সাথে সম্পর্কযুক্ত। প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কি বিশ্বাসযোগ্য নাকি।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা কি কি?
আপনি কি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের সুবিধা কি সেই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন। এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা গুলো কি কি।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা করার নিয়ম কি?
আপনি কি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সদের শিক্ষা বীমা তৈরি করতে চান? শিক্ষা বীমা বলতে বোঝায় আপনার অনিশ্চিত কালে আপনার সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে একটি চুক্তি। বর্তমান সময় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের বিশেষ সুযোগ সুবিধা রয়েছে যেমন এখন শিক্ষা বীমা তৈরি করার সুযোগ রয়েছে আপনার সন্তানের বয়স যদি ০ থেকে 17 বছরের মধ্যে হয় তাহলে তার জন্য একটি শিক্ষামূল্য তৈরি করতে পারবেন। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা করার নিয়ম গুলো জানতে উপরে দেখুন'।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স জায়েজ নাকি হারাম?
আমাদের অনেকের মনে এ প্রশ্ন থাকে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স হালাল নাকি হারাম? তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স হালাল নাকি হারাম। আপনার বোঝার সুবিধার্থে আমি আবারো বলি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি লাইভ ইন্সুরেন্স প্রতিষ্ঠান রিবা অথবা সুদের সাথে সম্পর্কযুক্ত যার কারণে প্রতিটি life insurance প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ হারাম।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান?
১৯৭৩ সালে সম্পূর্ণ দেশ জুড়ে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সর্ব বৃহত্তম একটি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি হিসেবে জানা যেত। তবে ১৯৭৩ সালে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছিল কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স ২০১৩এসএলআইসি দ্বারা অনুমোদিত হওয়ার পর থেকে এটি এখআন সরকারি।
আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন আসে যে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে পরিয়ে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স বহুকাল আগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জানার জন্য তবে এখন এটি সম্পূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয়।
লেখক এর শেষ কথা
প্রিয় পাঠকগণ আমরা আজকের এই আর্টিকেলে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা করার নিয়্ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কি বিশ্বাসযোগ্য নাকি, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সরকারি নাকি বেসরকারি এবং সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করলাম তৈরি। আমাদের জীবন অনিশ্চিত। সেক্ষেত্রে সন্তানের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে
এবং সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে একটি শিক্ষার বীমা তৈরি করা খুবই জরুরী। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করলাম সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স শিক্ষা বীমা করার নিয়মগুলো উপরের কাগজপত্র বিদ্যমান থাকলে দ্রুত সন্তানের জন্য শিক্ষা বীমা তৈরি করে ফেলুন।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম লাইফ ইন্সুরেন্স প্রতিষ্ঠানের নাম হলো সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ২০১৩ সালের পর থেকে এসএলআইসি অনুমোদিত সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এখন সরকারি মালিকানাধীন এবং সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় যার কারণে অন্যান্য লাইফ ইন্সুরেন্স প্রতিবেশনের তুলনায় অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য হলে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স।
তাই সন্তানের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে দ্রুত শিক্ষা বীমা তৈরি করে ফেলুন শিক্ষা বলতে বোঝায়, আপনার অনিশ্চিত কালে অথবা আপনার অসুস্থতায় আপনার সন্তানদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করা। সহজ ভাষায় বলি আপনি যদি একটি শিক্ষা বিমা তৈরি করেন তাহলে আপনাকে প্রতি মাসে নির্ধারিত টাকা অথবা চুক্তি অনুসারে টাকা প্রদান করতে হবে।
সেই পরিবর্তে আপনার অনিশ্চিত কালে অথবা আপনি যখন অসুস্থ থাকবেন এবং আপনি সন্তানের শিক্ষার দায়ভার নিতে সক্ষম না হলে সেই অবস্থায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে আপনার সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করবে তারা। একেই শিক্ষা বীমা বলা হয় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের শিক্ষা বিমার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বীমা সহ সঞ্চয় বীমা এবং জীবন বীমা রয়েছে।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url