প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়
প্রেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়? প্রেগনেন্সির প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি? জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করতে থাকুন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়, প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি?, অনিয়মিত মাসিক হলে কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হবে মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় এবং পিরিয়ড না হলে কিভাবে বুঝবো প্রেগন্যান্ট?
প্রেগনেন্ট হওয়ার আগে কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায় যে কোন নারী প্রেগন্যান্ট কিনা সে বিশেষ লক্ষণ গুলো কি কি সেই বিষয়ে জানতে নিচে দেখুন। গর্ভকালীন এই সময়টি একটি নারীর জন্য অনেক বেশি স্পেশাল। তাই সত্যিই আপনি গর্ভবতী নাকি সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে নিচে দেখুন প্রেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়,প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি?, প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়, পিরিয়ড না হলে কিভাবে বুঝবো প্রেগন্যান্ট?, অনিয়মিত মাসিক হলে কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় এবং মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
একটি নারীর গর্ভবতী হওয়ার সময়টি বিভিন্ন ধরনের আবেগ এবং শারীরিক পরিবর্তন দিয়ে ভরা। এই সময়টি একটি নারীর জন্য খুবই স্পেশাল হয়। গর্ভকালীন এই সময়টি একটি নারীর জন্য একটু কষ্টকর হলেও এই সময়টি তার কাছে অনেক বেশি আনন্দের হয়। এই সময় বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায়। ভালোলাগার খারাপ লাগার পরিবর্তন সাথেই আরো বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। তবে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনি প্রেগন্যান্ট অর্থাৎ প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়?
প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়
আপনি কি জানেন প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়? মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে প্রেগনেন্ট হলে কিছুক্ষণ দেখা দেয় যে লক্ষণ গুলো দেখে বোঝা যায় যে আসলেই আপনি প্রেগন্যান্ট নাকি। আজকের এই আর্টিকেল আমরা সেই সমস্ত পরিবর্তন গুলো দেখবো এবং জানবো প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়। সাধারণত প্রেগনেন্ট হওয়ার দুই সপ্তাহ পর মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ আপনি যদি প্রেগনেন্ট হন তাহলে চলতি মাস অথবা আগামী মাস থেকেই মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে।
গর্ভাবস্থায় প্রজেস্টেরন নামক হরমোনটি উৎপাদিত হতে শুরু হয় এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন উৎপাদিত হলে জরায়ুর আস্তরণ আরো মোটা এবং ঘন হতে থাকে যেন গর্ভধারণ ভ্রুন তৈরি হয়ে পারে। প্রোজেস্টেরন হরমোন এর কাজ হল জরায়ুর আস্তরণ কে মোটা করা এবং এটি যত মোটা এবং ঘন হবে ভ্রুণ তত সঠিকভাবে বসবে। এছাড়াও প্রেগন্যান্ট হলে ডিম্বাশয় নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায় যার কারণে পিরিয়ড অথবা মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।
আপনি গর্ভবতী নাকি এটাই সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারেন। প্রেগনেন্ট হওয়ার সর্বপ্রথম লক্ষণ হল মাসিক মিস হবে অর্থাৎ প্রেগনেন্ট হওয়ার প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে মাসিক হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে দেখা যায় প্রেগনেন্ট হওয়ার চার থেকে পাঁচ সপ্তাহের পর মাসিক বন্ধ হয় এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে বেশিরভাগ মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্ট হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।
অনেক ক্ষেত্রে তিন থেকে চার সপ্তাহ পরেও মাসিক বন্ধ হতে পারে তবে সর্বোচ্চ পাঁচ সপ্তাহে এর মধ্যে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। প্রিয় পাঠক উপরের আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়। সাধারণত প্রেগনেন্ট হওয়ার ২-৩ সাপ্তাহের মধ্যে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।
আরো পড়ুন : আনলিমিটেড ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার নিয়ম
এছাড়াও প্রেগন্যান্ট হলে শরীরে এস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি এইচ সি জি হরমোন তৈরি হয় যার কারণে শরীরে বিভিন্ন প্রভাব দেখা দেয় অর্থাৎ শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে পাশাপাশি মেজদের মধ্যে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায়। প্রেগন্যান্ট হওয়ার সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তবে সর্বোচ্চ পাঁচ সপ্তাহ।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় এবং মাসিক বন্ধ হওয়ার এই দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে কি কি পরিবর্তন অথবা লক্ষণ দেখা যায় সেই বিষয়ে চলুন দেখে আসি মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়।
মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
আপনি কি জানতে চান মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়? এটি বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। আপনার মাসিক চক্র যদি নিয়মিত থাকে অর্থাৎ আপনার মাসের যদি প্রতি মাসে সময় অনুযায়ী হয় তাহলে মাসিক মিস হওয়ার ১২ থেকে ১৩ দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন।
মাসিক মিস হওয়ার ১২ থেকে ১৩ দিন পর থেকেই প্রেগনেন্সির লক্ষণ দেখা দেয়। প্রেগনেন্সির বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে যেমন মিষ্টি বমি বমি ভাব, মেজাজে পরিবর্তন, ক্ষুধায় পরিবর্তন, আচার-আচরণে পরিবর্তন এছাড়াও শারীরিক পরিবর্তনে লক্ষ্য করা যায়। তবে আপনার প্রতি মাসে যদি ২৮ দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে মাসিক হয় সেক্ষেত্রে
পিরিয়ড মিস হওয়ার ১২ থেকে ১৩ দিনের মধ্যে প্রেগন্যান্সির লক্ষণ গুলো বুঝতে পারবেন। আর যদি আপনার অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সর্বশেষ যৌন মিলনের পর মাসিক মিস হলে ২০ থেকে ২১ দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন। দীর্ঘদিন থেকে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থাকলে
গর্ভধারণের সমস্যা দেখা দেয় এর জন্য অনিয়মিত মাসিকে আক্রান্ত নারীরা যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং অনিয়মিত মাসিকের সমস্যাকে দূর করুন। অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থেকে থাকলে মাসিক মিস হওয়ার এক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারেন।
ওপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে মাসিক মিস হওয়ার 12 থেকে 13 দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। তবে এটি শুধুমাত্র নিয়মিত মাসিক চলাকালীন মেয়েদের জন্যই কার্যকারী। আর যাদের অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মাসিক মিস হওয়ার ২০ থেকে ২১ দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় সর্বোচ্চ দুই থেকে আড়াই মাস।
পিরিয়ড না হলে কিভাবে বুঝব প্রেগন্যান্ট
পিরিওড না হলে কিভাবে বুঝব প্রেগন্যান্ট? অনেক ক্ষেত্রে পিরিয়ড আটকে যেতে পারে। অনেকের অনিয়মিত মাসিকের সমস্যার কারণে সময় অনুযায়ী পিরিয়ড হয় না সে ক্ষেত্রে কিভাবে বুঝব আমি প্রেগন্যান্ট নাকি অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা? প্রেগনেন্ট হলে মাসিক মিস হওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি লক্ষ্য নিয়ে আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব। আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে পিরিয়ড না হলে কিভাবে বুঝব প্রেগন্যান্ট নাকি তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো পিরিয়ড না হলে কিভাবে বুঝবো প্রেগন্যান্ট। নিচে দেখুন সেই লক্ষণ গুলো
প্রেগন্যান্ট অথবা গর্ভবতী হওয়ায় সর্বপ্রথম একটি লক্ষণ হল মাসিক মিস হওয়া। তবে মাসিক বিভিন্ন কারণে মিস হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে প্রেগনেন্সির কারণটি নিশ্চিত করা যায় না। তবে প্রেগনেন্ট হলে প্রথম এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই স্তন ফুলে উঠে এবং বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। স্তনের আকার প্রসারিত হয় এবং astrogen নামক হরমোনটি বৃদ্ধি পায়।
এস্ট্রোজেন নামক হরমোনটি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্তনে ব্যথা অনুভূত হয় এবং স্তন প্রসারিত হয় সাথেই স্তন ফুলা ভাব দেখা দেয়। পিরিওড না হলে প্রেগন্যান্ট হওয়ার এটি একটি অন্যতম লক্ষণ। প্রেগন্যান্ট হলে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে মাসিক হওয়া বন্ধ হয়ে যায় মাসিক মিস হওয়া দেখে বোঝা যায়
সত্যি প্রেগন্যান্ট নাকি সাথেই শরীরে অ্যাস্ট্রোজেন নামক হরমোনটি বৃদ্ধি পায় যার ফলে স্তনের আকার বৃদ্ধি পায় এবং স্তনে ব্যথা অনুভূত হয়। এছাড়াও প্রেগন্যান্ট হলে এইচসিজি হরমোনের প্রভাবে মিষ্টি বমি বমি ভাব হয়। এবং সকালে ঘুম থেকে উঠলেই শরীরে এক অস্বস্তিকর ক্লান্তিবোধ দেখা দেয়। এই ক্লান্তিবোধটি বেশিরভাগ সময় সকালে উঠলেই লক্ষ্য করা যায়।
এই সমস্ত লক্ষণ দেখে বোঝা যায় যে প্রেগন্যান্ট নাকি।অর্থাৎ পিরিয়ড না হলে উপরের এই উপায় গুলো দেখে বুঝতে পারবেন আপনি আসলে প্রেগন্যান্ট নাকি। প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পিরিয়ড না হলে কিভাবে বুঝব প্রেগন্যান্ট নাকি। এবার চলুন আমরা দেখে আসি অনিয়মিত মাসিক হলে কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়
অনিয়মিত মাসিক হলে কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হবে?
আপনি কি জানেন অনিয়মিত মাসিক হলে কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হবে? না জানলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখতে থাকুন আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য উপকারী হতে চলেছ।। আজকের এই পোস্টে আমরা প্রেগন্যান্সি বিষয় নিয়ে সবকিছু খুঁটিনাটি বিস্তারিত আলোচনা করব। এবার চলুন আমরা দেখে আসি যে অনিয়মিত মাসিক হলে কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়।
বর্তমান সমাজে হাজার হাজার মেয়েরা এই অনিয়মিত মাসিকের শিকার। এই অনিয়মিত মাসিক বিভিন্ন কারণ তার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন বলতে বোঝায় অতিরিক্ত জিম করা অতিরিক্ত অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকা কিংবা অতিরিক্ত শরীরচর্চা অথবা দৌড়াদৌড়ি।
আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস বলতে বোঝায় বাইরের ফাস্টফুড। বর্তমান সময়ে ফাস্টফুট খেতে পছন্দ করেনা এমন মেয়ে মানুষের সংখ্যা খুবই কম কারণ এখন ছোট থেকে শুরু পর্যন্ত প্রতিটি প্রতি আকৃষ্ট... এজন্য আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন আপনার বাসার আশেপাশেই সবচেয়ে বেশি ফাস্ট এর দোকান অথবা খাবারের দোকানে।
এই খাবারগুলো আনহেলদি উপাদান অথবা রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত তেল স্যাচুরেটেড ফ্যাট ট্রান্স ফ্যাট সহ হাইড্রোজেনের তেল এবং ক্ষতিকর দার্শনিক পদার্থ মেশানো হয় যার ফলে এগুলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বাংলাদেশের প্রায় ৮০ পারসেন্ট মেয়েদের অনিমিত মাসিকের সমস্যার কারণ হলো এই ফাস্টফুড অথবা আনহেলদি খাবার।
অনিয়মিত মাসিক চলতে থাকলে গর্ভধারণ এ বিশেষ সমস্যা দেখা দেয় এমনকি নারীরা গর্ভধারণের ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলে। তবে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব নিয়মিত মাসিক কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়। মাসিক বলতে বোঝায় যাদের প্রতি মাসে ২ থেকে ৩ বার মাসে কয় অথবা তিন থেকে চার মাস পর পর মাসিক হয়।
অনিমিত মাসিকের সমস্যা থাকলে প্রেগনেন্ট হওয়ার পর মাসিক মিস হওয়ার ২০ থেকে ২১ দিন পর প্রেগন্যান্সি লক্ষণ গুলো দেখা দেয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে মাসিক মিস হওয়ার এক থেকে দুই মাস পরও প্রেগনেন্সির লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে। অনিমিত মাসিকের সমস্যা থাকলে বাচ্চা আনহেলদিভাবে জন্ম নিতে পারে।
আমরা অনেকেই অনিয়মিত মাসের গুরুত্ব দিই না কিন্তু এটি অনেক ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে তাই সময় থাকতে সাবধান হতে হবে এবং অনিয়মিত মাসিক কে দূর করতে হবে। আর প্রিয় পাঠক উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে অনিয়মিত মাসিক হলে কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়।
##এছাড়াও গর্ভাবস্থায় জি জি এর মাত্রা প্রতিদিন দ্বিগুণ আকারে বৃদ্ধি পেতে থাকে তাই প্রথম অবস্থায় প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে সঠিকভাবে ক্লিয়ার বোঝা যায় না এজন্য। কিছুদিন অপেক্ষা করে মাসিক মিস হওয়ার এক মাস পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে এতে একটি ক্লিয়ার রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব। এইচসিজি এর মাত্রা যত বেশি হবে তত ক্লিয়ার ভাবে বোঝা যাবে প্রেগন্যান্ট নাকি।
প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন অনিয়মিত মাসিক হলে কত দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে এবার চলুন তাহলে আমরা দেখে আসি প্রেগনেন্সির প্রথম সপ্তাহে লক্ষণ গুলো কি কি। অর্থাৎ প্রেগন্যান্ট হলে প্রথম সপ্তাহে কি কি লক্ষণ গুলো দেখা দেয়।
প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহে লক্ষণ গুলো কি কি
প্রত্যেকটি নারীর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা লক্ষণ দেখা দেয় প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই প্রেগন্যান্সির লক্ষণ দেখা দিবে ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয় তবে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখব প্রত্যেকটি নারীর ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহে লক্ষণ গুলো কি কি দেখা দেয়। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে আসি প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি।
প্রত্যেক নারীর গর্ভকালীন সময়ের অভিজ্ঞতা আলাদা আলাদা হয়। অনেকের গর্ভকালীন সময়ে বারবার বমি বমি ভাব দেখা দেয়, ঘনঘন প্রস্রাব, বারবার খাবারের প্রতি আগ্রহ অথবা ক্ষুধ্ মেজাজে পরিবর্তন, শারীরিক পরিবর্তন, বুকে ব্যথা , মাসিক মিস হওয়া ইত্যাদি। প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা আলাদা হলেও প্রত্যেকের ক্ষেত্রে ওপরের মধ্যে যেকোনো একটি লক্ষণ তো দেখা দিবেই।
বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রে শরীরে ক্লান্তিবোধ এবং ঘন ঘন প্রস্রাব ও বমি বমি ভাব দেখা দেয়। তবে অনেক সময় রোগের উপসর্গ হয়েও এই লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে। তাই ক্লিয়ার রেজাল্ট পেতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে নিচে দেখুন প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি।
- মাসিক মিস হওয়া
- অস্বাভাবিক ক্লান্তিবোধ
- বুকে ব্যথা অনুভূত হওয়া
- বমি বমি ভাব
- ঘন ঘন প্রস্রাব
- ইমপ্ল্যান্টেশন রক্তপাত
- মেজাজের পরিবর্তন
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- যৌন পথে হালকা রক্তপাত
- পেটে রাখার প্রসারিত হওয়া
মাসিক মিস
প্রেগনেন্ট হওয়ার প্রথম লক্ষণ হলো মাসিক মিস হওয়া। প্রেগন্যান্ট হলে প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে মাসিক মিশতে হবে এবং বুকে হাল্কা ব্যথা অনুভূত হবে । শরীরে এস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে যার ফলে স্তনের আকার স্ফীত হবে এবং স্তনে হালকা ব্যথা অনুভূত হবে। এবং স্তনে ফলা ভাব
আসবে।আরো পড়ুন: যেকোনো ঝাপসা পিকচার ক্লিয়ার এবং HD করুন
অস্বাভাবিক ক্লান্তিবোধ
প্রেগন্যান্ট হওয়ার প্রথম সপ্তাহ থেকে অস্বাভাবিকভাবে ক্লান্তিবোধ দেখা দিবে অর্থাৎ কাজ কামে এনার্জি আসবে না এবং সবসময় শরীরটা ক্লান্ত কাজ করবে সাথে ঘুম আসবে। এই ক্লান্তিবোধ থেকেও বিচার করা যায় যে আপনি আসলেই প্রেগন্যান্ট। শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে শরীরে অস্বাভাবিক ক্লান্তি বোধ দেখা দেয়।
বমি বমি ভাব
প্রেগন্যান্ট হওয়ার প্রথম সপ্তাহ থেকে হালকা বমি বমি ভাব দেখা দিবে যে কোন খাবার গ্রহণের পর বমি বমি ভাব দেখা দিবে। বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রে এই লক্ষণটি দেখা দেয় অর্থাৎ প্রেগন্যান্ট হওয়ার প্রথম সপ্তাহ থেকেই বমি ভাব দেখা দেয় যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রেগন্যান্ট নাকি।
ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত
প্রেগনেন্ট হলে মাসিক মিস হওয়ার ১০ থেকে ১২ দিন এর মধ্যে ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত দেখা দেয় অর্থাৎ যৌনপথে হালকা রক্তপাত হয় এদিকে ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত বলা হয়। তাই যৌন পথে হালকা রক্ত দেখলে চিন্তার কোন বিষয় নেই এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত তখনই হয় যখন কোন নারী গর্ভবতী হয়।
বুকে ব্যথা
গর্ভাবস্থায় শরীরে এস্ট্রোজেন নামক হরমোনটির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে যার কারণে বুকের হালকা ব্যথা অনুভূতি হয় এবং স্তনের আকার স্ফীত হয় এবং স্তনে একটি ফোলা ভাব দেখা দেয়। প্রেগন্যান্ট হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ হিসেবে বেশিরভাগ মেয়ের ক্ষেত্রে এই লক্ষণটি দেখা দেয় যে বুকে ব্যথা অনুভূত হয় এবং স্তনের আকার প্রসারিত হতে থাকে।
ঘনঘন প্রসাব
প্রেগন্যান্ট অবস্থায় শরীরে বৃক্কের রক্ত সরবরাহের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যার কারণে পেট থেকে মূত্র নারীদের চাপ লাগে যার ফলে ঘনঘন প্রস্তাব দেখা দেয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের উপসর্গ হয়েও ঘনঘন প্রসাব দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে যে কোন প্রকার ক্লিয়ার রেজাল্ট পেতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মেজাজ পরিবর্তন
প্রেগন্যান্ট হওয়ার প্রথম অবস্থায় মেজার যে যথেষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এই সময় হরমোনের পরিবর্তন হয় যার কারণে মেজাজের পরিবর্তন হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থায় অর্থাৎ ক্ষুধা বৃদ্ধি পায় বারবার খাবারের প্রতি আগ্রহ জমে। এই লক্ষণ গুলো দেখে বোঝা যায় যে কোন নারী প্রেগন্যান্ট নাকি।
প্রিয় পাঠক উপরের আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি। প্রেগনেন্সির প্রথম সপ্তাহে লক্ষণ গুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম লক্ষণ হল মাসিক মিস হওয়া এবং দ্বিতীয় শরীরে ক্লান্তি ভাব সাথে বমি বমি ভাব। প্রেগনেন্সিতে শরীরে এলসিজি হরমোন তৈরি হয় যার কারণে বারবার বমি বমি ভাব দেখা দেয়।
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় এবং মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় সে সমস্ত বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি একটি ক্লিয়ার রেজাল্ট পেয়েছেন যে প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
অনিয়মিত মাসিক হলে কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হবে?
আপনি কি জানতে চান অনিমিত মাসিক হলে কত দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয়? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি অনিয়মিত মাসিক হলে কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন অনিমিত মাসিক হলে কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়।
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়?
মাসিক বিস্তার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়? সাধারণত নিয়মিত মাসিক চলাকালীন অবস্থাতে মাসিক মিস হওয়ার এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। আর নিয়মিত মাসিকের সমস্যা থেকে থাকলে মাসিক মিস হওয়ার এক থেকে দুই মাসের মধ্যে প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে উপরে দেখুন।
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়?
আপনি কি জানতে চান গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায়? গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর থেকেই বোঝা যায়। তবে গর্ভবতী হওয়ার প্রথম লক্ষণ হিসেবে রয়েছে মাসিক মিস হওয়া। এটি নিয়মিত মাসিক চললে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই মাসিক মিস হয়। মাসিক মিস হওয়া দেখে বোঝা যায় নারী প্রেগন্যান্ট নাকি। এছাড়াও গর্ভবতী হওয়ার আরো বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে সেই বিষয়ে জানতে ওপরে দেখে নিন।
মাসিক ভারী হলে বুঝবেন আমি প্রেগন্যান্ট?
আপনি কি জানতে চান মাসিক ভারী হলে বুঝবেন আমি প্রেগন্যান্ট? তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা প্রেগনেন্সি বিষয় নিয়ে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকের একটি প্রশ্নের মাধ্যমে আপনি সবকিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পিরিয়ড না হলে কিভাবে বুঝবো প্রেগন্যান্ট?
প্রেগনেন্ট হওয়ার প্রথমত ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যেই পিরিয়ড হওয়া বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ মাসিক মিস হয় এবং এই অবস্থা থেকে নির্ধারণ করা যায় যে আসলেই প্রেগন্যান্ট নাকি। তবে পিরিয়ড মিস হওয়ার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয় যেমন বারবার বমি হওয়া ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া শরীরে অস্বাভাবিক ক্লান্তিবোধ আশা। এই সমস্ত লক্ষণ দেখে বোঝা যে প্রেগন্যান্ট নাকি।
প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি?
প্রিয় পাঠকগণ আপনি কি জানতে চান প্রেগনেন্সির প্রথম সপ্তাহে লক্ষণ গুলো কি কি? তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন দেখুন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি প্রেগনেন্সির প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন প্রেগনেন্সির প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠকগণ আমরা আজকের এই আর্টিকেলে পিরিয়ড না হলে কিভাবে বুঝবো প্রেগন্যান্ট, প্রেগন্যান্ট হবার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয্ অনিয়মিত মাসিক হলে কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়, মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়, গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায় এবং প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলো কি কি সেই সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
গর্ভকালীন এই সময়টি প্রত্যেকটি নারীর জন্য অনেক বেশি স্পেশাল এবং আনন্দদায়ক। গর্ভকালীন সময়টি কষ্টকর হলেও প্রত্যেকটি নারী এই সময়টির জন্য গভীর অপেক্ষায় থাকে। এই সময়টি নারীদের শরীরে বিভিন্ন হরমোন সৃষ্টি হয় যার পরে মেয়ে তাদের মধ্যে যথেষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
তাদের মেজাজের পরিবর্তনের পাশাপাশি বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। যেমন স্তনঃস্ফীত হয় পেটের আকার প্রসারিত হয়। প্রেগনেন্ট অবস্থায় শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোন এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে যার ফলে স্তনের আকার স্ফীত হয় এতে স্তনে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। এবং পেটে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পেটের আকার প্রসারিত হয়।
অর্থাৎ প্রেগনেন্ট অবস্থায় নিজেদের পরিবর্তনের পাশাপাশি শাড়ি ভাবে বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম প্রেগন্যান্ট হয় কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়। সাধারণত প্রেগন্যান্ট হওয়ার প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তবে আপনার যদি নিয়মিত মাসিক হয় সে ক্ষেত্রে।
প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই মাসিক বন্ধ হবে। আর যদি আপনার অনিমিত মাসিকের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে প্রেগনেন্ট হওয়ার চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ এর মধ্যে। মাসিক বন্ধ হবে অথবা মাসিক মিস হবে তবে সর্বোচ্চ দুই মাস পর্যন্ত সময় প্রয়োজন হতে পারে। অনিমিত মাসিকের সমস্যা থাকলে এইচসিজি হরমোনের মাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় যার ফলে প্রেগনেন্সি নিশ্চিত করতে বেশি সময় প্রয়োজন হয়।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url