গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায় - কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে

গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায়-কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে এই সম্পর্কে জানতে চাও? তাহলে তুমি একদম সঠিক জায়গাতেই এসেছো আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায়- কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে, গর্ভাবস্থায় কিভাবে চলাফেরা করা উচিত , গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না, গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়,গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায়, গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত, গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায় ইত্যাদি সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানাব।
গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায় - কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে
যদি তুমি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পরও তাহলে তুমি বুঝতে পারবে যে কোন কোন খাবার খেলে গর্ভ অবস্থায় বাচ্চার ওজন বাড়বে এবং কোন কোন খাবার খেলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার বুদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। আপনারা অনেকেই জানেন না যে কোন কোন খাবার খেলে গর্ভ অবস্থায় বাচ্চাদের জন্য ভালো উপকারী। আশা করি আপনি এই পোষ্টটি সম্পন্ন পরলে বুঝতে পারবেন সমস্ত বিষয় সম্পর্কে। নিচে দেখুন, গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায়, কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে, গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়, গর্ভাবস্থায় কিভাবে চলাফেরা করা উচিত , গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায়,গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না, গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত, গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায়।

পেজ সূচিপত্র 

      ভূমিকা      

বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা যে গর্ভবস্থায় কিভাবে চলাফেরা করতে হবে কোন কোন খাবার খেলে বাচ্চার সুস্থ থাকবে ওজন বাড়বে এবং বাচ্চার বুদ্ধি বৃদ্ধি পাবে ইত্যাদি সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। আশা করি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারবেন গর্ব অবস্থায় কিভাবে কি করলে গর্ভের সন্তান অথবা বাচ্চা সুস্থ থাকবে ওজন বাড়বে এবং বুদ্ধি বৃদ্ধি পাবে ইত্যাদি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান তাদের জন্য আজকে এই পোস্টটি। 

আমরা তোমাদের সাথে শেয়ার করব গর্ভাবস্থায় বাচ্চার জন্য অবলম্বন তৈরি করতে হবে কি কি নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। কি করলে বাচ্চার ভালো হবে এবং কি করলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই সমস্ত বিষয়ে সম্পর্কে আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো। উক্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ করতে হবে তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত? আপনারা অনেকেই জানেন না যে গর্বে অবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত আবার অনেকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন এ সম্পর্কে। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন গর্ব অবস্থায় বাচ্চার ওজন কত থাকা উচিত এবং এটি গর্ভবতী মায়ের উপর নির্ভর কতটুকু সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

একজন অন্তর সত্তা অবস্থায় তার শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ মায়ের ভালো-মন্দের সঙ্গে ভাবি সন্তানের ভালো-মন্দ জড়িয়ে থাকে। কি করে গর্ভবতী মায়ের ওজনের বৃদ্ধির বিষয়টি। গর্ভবতী অবস্থায় ওজন বাড়বে এটা খুবই সাধারণ একটি বিষয় ও স্বাভাবিক বিষয়। সর্বোচ্চ কতটা ওজন বৃদ্ধি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আর কতটা ওজন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় তা জানা খুবই প্রয়োজন।

গর্ভবতী অবস্থায় একজন মায়ের ১১ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক। তবে গর্ভবতী মায়ের ওজন বৃদ্ধি সবার ক্ষেত্রে একরকম হয় না। এটি মূলত নির্ভর করে গর্ভবতী হওয়ার আগে মায়ের ওজন কেমন ছিল।  একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক বিএমআই ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ পর্যন্ত। যাদের ডিএমআই ১৯ এর কম, তাদের ক্ষেত্রে গর্ভবতী অবস্থায় ওজন ১৭ কেজি পর্যন্ত বাড়লেও এটি স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। 

গর্ভকালীন নয় মাস কে ৩ ভাগে ভাগ করলে ওজন বৃদ্ধির আদর্শের তাপমাত্রা হয়-
প্রথম তিন মাসে ওজন বাড়তে পারে- 0. 5 থেকে 2. 5 কেজি পর্যন্ত। 
দ্বিতীয় তিন মাসে ওজন প্রতি সপ্তাহে বাড়তে পারে- ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজি। 
তৃতীয় তিন মাসে প্রতি সপ্তাহে ওজন বাড়তে পারে- ১৫০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত। 

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য নানান শারীরিকতার আশঙ্কা দেখা দিতে থাকে বা দেখা দিতে পারে। অন্তঃসাতা অবস্থায় প্রথম তিন মাসে ওজন খুব একটা বাড়ে না। তবে বমি বমি ভাব এবং অরুচি সমস্যা দেখা দেয়। এবং ভূমির কারণে অনেকেই খেতে পারেন না।

গর্ভকালীন সময়ে ২০ সপ্তাহ পর থেকে ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। একজন সুস্থ মা ও সুস্থ স্বাভাবিক শিশুর জন্য ওজন বৃদ্ধি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সঠিক ওজন বৃদ্ধির জন্য কয়েকদিন নিয়ম মেনে চলতে হবে। পাঠকগণ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে গর্ভের বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত। এবার চলুন আমরা দেখে আসি গর্ভের বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ কি।

গর্ভের বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ

গর্ভের বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ? আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন যে কি কারনে বা কি জন্য গর্ভের বাচ্চার ওজন কম হয়। কোন কোন সমস্যার জন্য গর্ভের বাচ্চার ওজন কম হতে পারে এই সম্পর্কে। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন ঠিক কোন কোন কারণে গর্ভের বাচ্চার ওজন কম হয় তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

কাম ওজনের শিশু দুটি কারণে জন্মগ্রহণ করতে পারে। তারমধ্যে একটি হলো শিশুর জন্ম হয় গর্ভকাল পূর্ণ হওয়ার আগেই। এবং অপরটি শেষের জন্ম হয় গর্ভাবস্থার বৃদ্ধির স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম হয়। মূলত এতে গর্ভবতীর একটু সমস্যা। নবজাত ক শিশুকে বেঁচে থাকার জন্য ঠিকমতো বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য জন্মের সময় কার ওজন অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী যেসব নবজাতকের ওজন ২.৫ কিলোগ্রাম এর কম হয় তাদেরকে স্বল্প ওজনের শিশু বলা হয়ে থাকে। এই ওজনটাকে নবজাতকের গর্ভকালীন বয় কে ধারণা বা ধরা হয় না। স্বল্প ওজনের নবজাতক শিশু শাস্ত্রের ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। শেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।

একটি নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হলো জন্মকালীন সময়ে শিশুর ওজন স্বল্প বা কম থাকা। কিসের ওজন যত কম হবে, ততই শিশুর নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ সময়ে ধীরে ধীরে প্রোটিনের অভাবজনিত অপরটির অধিকার হয় এবং তার সঙ্গে নানান ধরনের সংক্রমনের ফলে এক বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই নবজাতক শিশুটি মারা যেতে পারে বা যাই। 

এটি একটি অনস্বীকার্য যে, সর্বজনীন শিশু জন্মের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মায়ের অপুষ্টির জন্যই দায়ী থাকে। কয়েকটি ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র যেমন-  জিনগত দুটি এবং গর্ভের ফুলের টুটি ছাড়াও মায়ের পুষ্টির সঙ্গে গর্ভধারণের সময়কাল ও নবজাতকের ওজনের সরাসরি যোগাযোগ আছে।

প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন গর্ভের বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ কি এবং কি কারনে গর্ভের বাচ্চার ওজন কমে যায়। প্রিয় পাঠক গণ এবার চলুন আমরা দেখে আর সেই গল্পের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায় গুলো অর্থাৎ কি কি উপায় অনুসরণ করলে দ্রুত কর্মের বাচ্চার ওজন বাড়ানো সম্ভব।

গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায়

গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায়? আপনারা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না যে গর্ভের বাচ্চার ওজন কিভাবে বাড়ানো সম্ভব বা বাড়ানো যায়। এই সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে হলে আপনাকে এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে হবে তাহলে আশা করছি আপনি গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর জন্য কি কি উপায় অবলম্বন করতে হবে আপনি এই বিষয়ে সম্পর্কে সম্পন্ন তথ্য পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

প্রথম দিকে বাচ্চার ওজন বাড়ে না। রোগীতে তার মা ও শাশুড়ি থাকে বলে এই যে প্রথম তিন থেকে সাড়ে তিন মাস ওদের না বাড়লেও অসুবিধা নেই। সাড়ে তিন মাস পর থেকে যখন খাওয়াটা ঠিক হবে তখন অবশ্যই ওজন বাড়বে। মাসে ১ কেজি থেকে ২ কেজি ওজন বাড়তে হবে। শুরু থেকে না হলেও শেষের দিকে অবশ্যই বাড়ে।

আর বার্তা যে ওজন বাড়ায় বিষয়টি হলো সেটা সাধারণত সাত মাসের পরে গিয়ে হয়ে থাকে। সেজন্যই বলি শেষের দিকে এসে আপনি বেশি বেশি খাবার খাবেন। বাম কাঁদ হয়ে শুয়ে থাকবেন। খাবার শুধু খেলেই হবে না খাবারটা বাচ্চা অব্দি পৌঁছাতে হবে। এজন্য বাম কাজ হয়ে শুয়ে থাকলে বাচ্চার কাছে খাবারটা পৌঁছাবে এবং অক্সিজেন যাবে, রক্ত যাবে। এতে বাচ্চা ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে। এজন্য ওজনের বেশি টি শুরু থেকে না হলেও চলবে।

প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন গর্বের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায় গুলো কি কি। গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায় হলো আপনাকে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে পাশাপাশি শুধুমাত্র শাকসবজি সিদ্ধ খাবার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে।

কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে

কি কি খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে? আপনারা অনেকেই জানেন না যে বাচ্চার ওজন বাড়ানোর জন্য কি কি খাবার খাওয়ানো উচিত ।তাই আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য এনেছি আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন যে কোন কোন খাবার আসলে বাচ্চাদের খাওয়ালে বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধি পাবে তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

বাচ্চাদের খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সবচাইতে বেশি কমলা হয়ে থাকে। না খাওয়ার জন্য তারা অনেক অজুহাত এবং হাজারটা বাহানা পূরণ করেও খাওয়ানো সম্ভব হয় না প্রায়ই। সব শিশুদের বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ রয়েছে মা-বাবার। আবার অনেক সময় শিশুরা আকৃষ্ট থাকে ফাস্ট ফুড খাবারের দিকে। সব মিলিয়ে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে শিশুর ওজনের উপর। চলুন তাহলে জেনে নেই, বাচ্চার ওজন বাড়ানোর জন্য করণীয় শিশুর খাদ্য তালিকায় যে সমস্ত স্বাস্থ্যসম্মত সব খাবার-দাবার । 

কিসের খাবারের ক্যালরির মাত্রা নিয়ে নিশ্চিত হন যে তা আপনার সন্তানের চাহিদা পূরণ করছে কিনা এই বিষয়টি। খাবারের সময় শিশুকে আনন্দময় করে তুলুন এবং শিশুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ে কোন রকমের তাড়াহুড়া বা জড়াজড়ি করবেন না। জাঙ্ক ফুড বা ফাস্টফুড এর প্রতি আসক্ত যাতে না হয় সেদিকে প্রচুর পরিমাণে খেয়াল রাখতে হবে।

যখন পরিবারের সবাই একসাথে শিশুকে নিয়ে খাবার খেতে বসুন শিশুকে দেয় খাওয়ান না কেন কখনও জাঙ্কফোর্ড বা পাসপোর্ট জাতীয় খাবার খেতে দিবেন না। তা না হলে শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যাপারে আগ্রহী করতে খুবই কষ্ট হবে। ওজন বাড়াতে যে খাবারগুলো খুব দরকার-দুধ জাতীয় খাবার যেমন ঘী, পনির, পায়ে, পুডিং ইত্যাদি;

প্রোটন বা প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম, বাদাম, সিমের বিচি, শর্করা জাতীয় খাদ্য যেমন আলু, ভাত ,রুটি ইত্যাদি খেতে দিতে হবে। পাশাপাশি শাকসবজি সিদ্ধ করে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। সিন্ধু শাকসবজি থেকে পরিপূর্ণ উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ লাভ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বেশি বেশি সবুজ শাক খেতে হবে পাশাপাশি রঙিন ফল খেতে হবে।

প্রিয় পাঠকন আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট গুলো কোন খাবার গ্রহণ করলে দ্রুত বাচ্চার স্বাস্থ্য উন্নত হবে এবং বাচ্চার সুস্থ থাকবে সাথেই বাচ্চা মেধাবী এবং বুদ্ধিমান হবে।

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চ্যাট। আপনারাও অনেকেই জানেন না যে গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয় এবং গর্ভবতী ও তার বাচ্চার জন্য ভালো ও পুষ্টিকর। এবং এটি একটি নিয়ম বা চার্ট অনুযায়ী গ্রহণ করলে বা খেলে এতে বাচ্চা এবং গর্ভবতী উভয়ের ওজন এবং সুস্থতা বজায় থাকবে । আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করেন তাহলে বুঝতে পারবেন তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

একজন গর্ভবতী মা তার বাচ্চার ওজন ও উচ্চতার বৃদ্ধির সাথে সাথে মায়ের পেটের আকার আকার ও  বাড়তে থাকে । গড়পরতা হিসেবে জন্মের সময় একটি নবজাতক শিশু ৩.৫ কেজি এবং উচ্চতায় ৫১.২ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। ইতি গর্ভধারণের প্রত্যেক সপ্তাহে শিশুর ওজন ও উচ্চতা অল্প অল্প করে বাড়তে থাকবে। আমাদের দেওয়া নিচে চাটে গর্ভধারণ এ অষ্টম সপ্তাহ থেকে শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত গরুর পাতার ওজন ও উচ্চতা একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। 

নরমাল ডেলিভারির জন্য বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত

নরমাল ডেলিভারি জন্য  বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত। অনেকেই এই সম্পর্কে জানেন না আবার অনেকেই এই সম্পর্কে জানেন এবং জিজ্ঞাসা করে থাকেন যে নরমালি ডেলিভারি হওয়ার জন্য বাচ্চার ওজন সর্বনিম্ন কত হতে হবে এবং সর্বত্র কত হওয়া সম্ভব। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করেন তাহলে বুঝতে পারবেন তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

সাধারণত জন্মের সময় একটি সুপ্ত ছোবল বাচ্চার জন্য সর্বনিম্ন ওজন ২.৫ থেকে ৪ কেজির মধ্যে হতে হয় থাকে বা হতে হবে। মায়ের যখন প্রসবের রাস্তা যথেষ্ট প্রশস্ত হবে তাহলে এবং কোন জটিলতা না থাকলে এই ওজনের শিশু নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয় বা করা যায়। কিন্তু 4 কেজি ওজনের বেশি ওজন হলে শিশুর আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বড় হয়ে যায়।

এতে নরমাল ডেলিভারি করা খুবই কষ্টসাধ্য হয় এবং এ পর্যায়ে নরমাল ডেলিভারি করা একদম অসম্ভব হয়ে ওঠে। প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন নরমাল ডেলিভারির জন্য বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত এবার চলুন আমরা দেখে আসি গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার বুদ্ধিমান হয়? আপনারা অনেকেই বাচ্চার বুদ্ধি বৃদ্ধি করার জন্য জিজ্ঞাসা করেন যে গর্ব অবস্থায় কি কি খেলে বাচ্চার পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃদ্ধি এবং বুদ্ধিমান হতে পারে। আপনি এই পোস্টটি সম্পন্ন করলে আশা করি বুঝতে পারবেন ঠিক কি ছেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হতে পারে এ সম্পর্কে জানাবো তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

গর্ভবতী বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশের জন্য আপনার প্রতিদিন ২২০ মাইক্রগ্রাম আয়োডিন এর প্রয়োজন। এবং এই আয়োডিন পাবেন ডেইরি পণ্য, সামুদ্রিক খাবার, মাংস ও ডিমে। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত এই খাবারগুলো সেবন করতে পারেন বা গ্রহণ করতে পারেন বা খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয়  আয়োডি এর অভাব হবে না।

আর এই আয়োডিনের ফলেই আপনার গর্ভের সন্তান এর বুদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও শুকনো বাদাম খাওয়ার পরে দ্রুত বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশ হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে এ কথাটুকু কতটুকু যৌক্তিক সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো কোনো প্রকার প্রমাণ দেখাতে পারেনি তবে তাদের আশঙ্কা গর্ভকালীন সময়ে মা যদি বেশি বেশি শুকনো বাদাম খায় তাহলে এতে বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশ পায়।

গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা? আপনারা অনেকেই জানেন না যে গর্ব অবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা এতে আপনারা ভুলবশত সে খাবার গুলো খেলে আপনাদের গর্ভে সন্তানের ওপর প্রভাব পড়ে এতেই গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যেত বা নানা ধরনের ক্ষতি সম্ভাবনা হতে পারে। তাই যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করেন তাহলে বুঝতে পারবেন খাওয়া নিষেধ বা খাওয়া যাবেনা তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

কাঁচা, পাস্ত্তরায়ন সারা দুধ এবং এধরনের দুধের তৈরি কোমল পনির খাওয়া যাবেনা। মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার খাওয়া যাবেনা। কাঁচা ও পুরোপুরি রান্না না হওয়া পর্যন্ত মাংস জাতীয় যেমন কোল্ড কাটা ও সসেজ ইত্যাদি খাওয়া যাবে না। কিছু মাসে উচ্চমাত্রায় পারদ থাকে এবং এগুলো থেকে এড়িয়ে চলতে হবে এবং গর্ভ অবস্থায় একটি খাওয়া যাবেনা।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা মাছ ও সিফুড খাওয়া যাবেনা। পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা এবং কি কি খেলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি গর্ভাবস্থায় কিভাবে চলাফেরা করা উচিত। অর্থাৎ কিভাবে চলাফেরা করলে বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে না।

গর্ভাবস্থায় কিভাবে চলাফেরা করা উচিত 

গর্ভাবস্থায় কিভাবে চলাফেরা করা উচিত? অনেকেই জানেন না যে গর্ব অবস্থায় কিভাবে চালকরা করা উচিত আমাদের এ কারণেই অনেকের অনেক ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করেন তাহলে বুঝতে পারবেন গর্ব অবস্থায় কিভাবে চলাফেরা করতে হবে বা করা উচিত আশা করি। শুরু করা যাক। 

গর্ভাবস্থায় দিকে পেটের আকার আকৃতি বড় হয় না স্বাভাবিকের মতোই থাকে তবুও সেই সময় হাঁটাচলা সাবধান ভাবে করা উচিত কারণ হুট করে পড়ে গেলে এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেটে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।  গর্ভাবস্থায় যতদিন যাবে আস্তে আস্তে পেটের আকার ও গর্ভের বাচ্চা আকৃতি আকার বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

এতে বাচ্চার যদি কোন ক্ষতি না হয় এইজন্য তাড়াহুড়ো করে হাঁটাচলা করা যাবে না ধীরে ধীরে করে হাঁটতে হবে। একটানা অনেক সময় শুয়ে থাকলে বা বসে থাকলে চলবে না। কিছু কিছু সময় পরপর একটু একটু করে হাঁটাচলা করতে হবে এতে নিজের শরীর অর্থাৎ গর্ভবতী শরীর এবং বাচ্চার শারীরিক অবস্থাও ঠিক থাকবে।

গর্ভাবস্থায় সবসময় বাম কাত হয়ে হয়ে শুয়ে থাকলে বাচ্চার শারীরিক অবস্থান আচ্ছা ঠিক থাকে। সবসময় শুতে গেলে পায়ের মাঝে বালিশ রাখতে হবে এবং টানবা শয়তান হয়ে শুয়ে থাকা নিষেধ ।যেকোনো একদিকে কাত হয়ে শুতে হবে। এক্ষেত্রে বাম হাত ধরে শুলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়।

প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন গর্ভ অবস্থায় কিভাবে চলাফেরা করা উচিত। প্রিয় পাঠক গণ আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করলাম কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে এবং গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায় গুলো কি কি। আপনি যদি এ পোস্টটি সম্পন্ন পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন গর্বের বাচ্চার ওজন কেন কম হয় এবং গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ার উপায় গুলো কি কি।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত?
আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত অর্থাৎ পারফেক্ট ওজন কোনটি? আপনি যদি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন আমরা আজকের এই পোস্টে গর্ভের বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত এবং গর্ভের বাচ্চার ওজন কম হলে কি কি উপায় অনুসরণ করা উচিত সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

গর্ভের বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ কি?
অনেক সময় দেখা যায় সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করার পরেও গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়তে চায় না অথবা গর্ভের বাচ্চার ওজন কম হয় এই ক্ষেত্রে  ওজন কম হওয়ার কারণ কি? আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার গর্ভের বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ কি এবং কি কি খাদ্য গ্রহণ করলে দ্রুততার ওজন বৃদ্ধি পাবে।

কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন দ্রুত বাড়ে?
শুকনো বাদাম খাওয়ার ফলে বাচ্চার ওজন দ্রুত বাড়তে পারে আবার বেশি বেশি শাকসবজি সিদ্ধ করে খাওয়ার ফলেও বাচ্চার ওজন বাড়তে পারে শাকসবজিতে বেশি পুষ্টিকর আর কিছুই হয় না। এই জন্য বেশি বেশি সবজি সিদ্ধ করে খাওয়া শুরু করুন এতে পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করতে পারবেন।

কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে?
জানতে চান কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে? তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখুন আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি কোন খাবার খেলে দ্রুত বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পায় আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কি খেলে আপনার গর্ভের বাচ্চার ওজন দ্রুত বাড়বে।

লেখকের শেষ কথ

প্রিয় পাঠকগণ আমরা আজকের এই পোস্টে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ানোর উপায় কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে কোন খাবার খেলে বাচ্চার ওজন দ্রুত বাড়ে এবং গর্ভের বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ কি সাথেই গর্ভের বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়েন, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন

আপনার গর্ভের শিশুর ওজন বাড়ছে না কেন এবং কি কি খাবার গ্রহণের ফলে দ্রুত আপনার শিশুর ওজন বৃদ্ধি পাবে। অনেক সময় দেখা যায় মায়ের শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টি সরবরাহ না হলে বাচ্চার ওজন বাড়তে চায় না অর্থাৎ বাচ্চা ওজন হীনতায় ভুগতে থাকে এক্ষেত্রে এভাবে বাচ্চার ওজন কম হলে পরবর্তী সময়ে বাচ্চার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।

আমাদেরকে জানতে হবে বাচ্চার সঠিক ওজন কোনটি এবং সেই অনুসারে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির উপায় গুলো আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করলাম আপনি যদি উপরের এই খাবারগুলো গ্রহণ করেন তাহলে দ্রুত বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url