মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য - মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের

সুন্দর মেয়েদের প্রোফাইল পিক

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য, মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রচনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ সময়ের কথা উল্লেখ রয়েছে।  সেই সময় নিজের দেশকে স্বাধীন করার জন্য বাঙালিরা রক্তের বন্যা বইয়েছেন। হ্যাঁ আমরা সেই সময়ের কথাটিকে ইঙ্গিত করছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। 

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য - মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের

আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন বাঙ্গালীরা কিভাবে নিজেদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। তাদের আত্মত্যাগের ফল হিসেবে আমরা আজ এই স্বাধীন বাংলাদেশকে পেয়েছি। তাই তাদেরকে সবসময় স্মরণ করি এবং তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য,  মুক্তিযুদ্ধের রচনা ১০০ শব্দের এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রচনা শেয়ার করব।

পেজ সূচিপত্র : মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য - মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের

      ভূমিকা      

মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছে বাঙালি জাতির জন্য একটি গৌরবময় ঘটনা যার প্রমাণ পুরো বিশ্ববাসী রয়েছে। বাঙ্গালীদের বুকের রক্তের বিনিময়ে আজ অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রের জন্য খোদিত রয়েছে এই নাম স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে আমাদের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য সম্পর্কে জানতে হবে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে আখ্যা পায়।

এই অর্জন কিন্তু মোটেও খুব সহজ ছিল না। সেই দিনের কথা ভাবলে যেন আজব হৃদয় কেঁপে ওঠে। কেউ জীবনের পরোয়া না করে নিজের দেশকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধে নেমে পড়েছেন। এবং দলে দলে প্রত্যেকে নিজেদের বুকের রক্ত দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। হ্যাঁ বন্ধুরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যখন বাংলাদেশে আক্রমণ করে এবং বাংলাদেশের ভাষাকে উর্দু ভাষা হিসেবে দাবি করে, তখন বাঙালিরা এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে। এবং তাদের এই আওয়াজ তুলাই যেন বাঙ্গালীদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। 

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা তাদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করে তবে বাঙালিরা কিন্তু থেমে থাকেনি। তারা নিজেদের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তাদের সাথে লড়াই করেছেন এবং হাজারো রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছেন বাংলা ভাষাকে। তাদের এই আত্মত্যাগকে হাজারো শ্রদ্ধা জানাই। তাদের এই আত্মত্যাগের জন্য আমরা আজকে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি সারাদিন বাংলাদেশ উপভোগ করছি। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করতে চলেছি এমনই মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য, মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রচনা। নিচে দেখুন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য।

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য

তুমি কি একজন স্টুডেন্ট? তাহলে তোমাকে অবশ্যই জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য। যে করে প্রতিযোগিতায় অথবা পরীক্ষায় এই মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য আসে। এছাড়াও নিজের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব । যারা আমাদের জন্য এত কিছু করেছেন আমাদের দেশে স্বাধীন করার জন্য নিজেদের জীবনকে ত্যাগ করেছেন তাদের সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই ১০টি বাক্য জানতে হবে। নিচে দেখো মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য।

  • ১৯৭১ সালে গঠিত পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সংঘটিত সশস্ত্র যুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ বলা হয়। এই যুদ্ধটি ছিল বাঙ্গালীদের নিজের দেশের প্রতি নিজের অধিকারের এবং নিজের ভাষার প্রতি নিজের ভালবাসার।
  • মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এর একটি অংশ ছিল যাকে পূর্ব পাকিস্তান বলে জানা হত। 
  • মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী, মিত্রবাহিনী বাহিনী নামে যোগদান করে এবং ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকা শহরকে মুক্ত করে।
  • লক্ষ লক্ষ বাঙালিরা ভারতে যেয়ে সময় আশ্রয় নিয়েছিলেন। ভারত সরকার বাঙ্গালীদের কে আশ্রয় প্রদান করেন এবং তাদেরকে যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দেন অথবা তৈরি করেন।
  • এই মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ৩০ মিলিয়ন  এর কাছাকাছি বাঙালির শহীদ হন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত অথবা স্থানচ্যুত হয়।
  • ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালিরা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং নিজেদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করে।
  • ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেন এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। 
  • বাংলাদেশের প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ শহীদ দিবস এবং ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপিত করা হয়, শহীদদের স্মরণ করতে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ।
  • যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের যে সমস্ত লোকজন পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে মিলে পূর্বপাকিস্তানের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালাই তাদেরকে আমরা বর্তমান সময়ে রাজাকার বলে চিনি। 
  • মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের পরিচয় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এবং সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রেখেছে।
১৯৭১ সালের সংঘটিত এই যুদ্ধটি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের। ১৯৭১ সালের প্রায় ৫৪% মানুষই বাংলা ভাষায় কথা বলতো আর ৩.২৭ শতাংশ মানুষ উর্দু ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত ছিল। এই সময় পাকিস্তান সরকার জোর করে বাঙ্গালীদের ওপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেয় এবং উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি করে। কিন্তু বাঙালিরা তাদের এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করলে পাকিস্তানিরা বাঙ্গালীদের উপর নির্মম অত্যাচার শুরু করে। 

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা বাঙালিদের ওপর এত বেশি অত্যাচার করে যে তাদের ঘরের বাইরে যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছিল। যখন - তখন পাকিস্তানী সেনাবাহিনীরা তাদের বাসায় এসে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করত। এবং নারীদের উপর শারীরিকভাবে নির্মম অত্যাচার করত। ৯ মাস বাঙ্গালীদের প্রতি পাকিস্তানিরা অত্যাচার করতে থাকে। এই যুদ্ধে প্রায় ৩ মিলিয়ন এর কাছাকাছি মানুষ শহীদ হন। শহীদদের প্রতি আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধা জানাই। তারা নিজের দেশকে স্বাধীন করার জন্য নিজের বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন।

তাদের বুকের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ এই স্বাধীন বাংলাদেশ উপভোগ করছি। তাই তাদের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জানা খুবই জরুরি। এই সময় লক্ষ লক্ষ বাঙালিরা ভারতে যে আশ্রয় নিয়েছে। এবং ভারত সরকার তিনি বাঙালিদেরকে তাদের দেশে আশ্রয় প্রদান করেছেন এবং বাঙ্গালীদের কে যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং তাদেরকে অস্ত্র ব্যবহার করা শিখিয়েছেন। এই সময় তাদের করা এই সাহায্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভাবে অবদান রেখেছে।

আমাদের ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের ঘটে যাওয়া এই মুক্তিযুদ্ধ টি পুরো বিশ্ববাসীকে কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে। এই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন সবুজ লাল পতাকা অর্জন করতে পেরেছে। এই যুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ খোদিত রয়েছে। দীর্ঘ 9 মাস যুদ্ধ চলার পর ১৬ই ডিসেম্বর ছিল এই দেশের বিজয় এর দিন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের বিরুদ্ধে বাঙালিরা যুদ্ধে নেমে পড়ে এবং এই যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান বিজয়ী হয়। তারপর বাংলাদেশ নামক দেশটি প্রতিষ্ঠিত হয়। 
প্রিয় পাঠকগণ উপরের পরিপ্রেক্ষিতে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য। এই দশটি বাক্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো পরীক্ষায় প্রশ্নে অথবা চাকরির ইন্টারভিউ এই দশটি বাক্য জিজ্ঞাসা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আরও বাক্য রয়েছে তবে এই ১০টি বাক্য আমার কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে তাই তোমাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য শেয়ার করলাম। এবার চলো আমরা দেখে আসি মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের।

মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের 

তুমি কি ১০০ শব্দের মুক্তিযুদ্ধের রচনা খুঁজছো? তাহলে তোমার খোঁজাখুঁজি এখানেই শেষ হচ্ছে আমরা আজকের এই পোস্টে তোমাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের শেয়ার করব। পরীক্ষাতে এ রচনাটি আসার সম্ভাবনা প্রায় ৮০%। কারন আমরা বাঙালি আর এই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই আমাদের প্রত্যেককে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। নিচে দেখো মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের। 

ভূমিকা 
বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ সময়ের কথা সম্পর্কে উল্লেখ করা রয়েছে এই সময়টি ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়। বাঙালিরা নিজেদের ভালোবাসার মায়া এবং নিজের দেশকে স্বাধীন করার উদ্দেশ্যে যে সংগ্রাম চালিয়ে গেছিল এটিকে মূলত বাঙ্গালীদের মুক্তিযুদ্ধ বলা হয়। পূর্ব পাকিস্তানের ৫৪ শতাংশ মানুষের ভাষা ছিল বাংলা এবং 3.27% মানুষের ভাষা ছিল উর্দু। পশ্চিম পাকিস্তানের সরকার রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে দাবি করে এই সময় বাঙালিরা তাদের এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তারা নিজেদের ভাষাকে বাংলা হিসেবে দাবি করেন। 

তাদের বাংলা ভাষার প্রতি এই টান এবং ভালোবাসাই যেন তাদের কাল হয়ে দাঁড়ায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলেও পাকিস্তান গভর্নর ক্ষমতাস্থান যুদ্ধকে অস্বীকার করে এবং বাঙ্গালীদের উপর নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ ও অত্যাচার চালিয়ে যায়। তারা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি করে এবং এই দাবি সবার উপর চাপিয়ে দেয়। বাঙালিরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের উপর গুলি বর্ষণ করে।

মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭১ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন সংগ্রাম হয়। এই সংগ্রামে শিক্ষক ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকের দলে দলে ভাষা আন্দোলন সংগ্রামের যোগদান করে এই সময় পাকিস্তানি বাহিনীরা নির্মম ভাবে তাদের ওপর গুলি বর্ষণ করে এতে রফিক জব্বার ও শফিকের মৃত্যু হয়। তারপর 25 শে মার্চ রাতে তারা বাঙ্গালীদের উপর নির্মমভাবে রাতের অন্ধকারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। ১৯৭১ সালে প্রায় তিন মিলিয়নেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়। 

উপসংহার
এই আত্মত্যাগ ছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য নিজের ভাষা হিসেবে বাংলাকে চাওয়ার জন্য। তারা নিজের ভাষার দাবিতে নিজের প্রাণ পর্যন্ত বিসর্জন করেন। তাদের এই আত্মত্যাগের জন্য তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজকে বাংলা ভাষাকে পেয়েছি। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী তারা আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। এইজন্য প্রতি বছর 16 ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। 

পাঠকগণ আশা করছি উপরের এই মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের আপনার ভালো লেগেছে। যেহেতু এটি আমাদের দেশের ইতিহাস আমাদের দেশ এর গৌরব সেক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেককে এই ইতিহাস সম্পর্কে জানা উচিত আর এই মুক্তিযুদ্ধের রচনাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর তোমরা নিশ্চিত থাকো যে এই রচনাটি তোমাদের পরীক্ষাতে আসবেই এই জন্য রচনাটি খুব ভালোভাবে মুখস্ত করে রাখো। এবার চলো আমরা দেখে আসি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রচনা। 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রচনা 

তুমি কি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রচনা খুঁজছো? তাহলে নিচে দেখো আমরা আজকের এই পোস্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তাৎপর্যপূর্ণ সময়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি। আমরা বাঙালি এটি আমরা গৌরব করে বলতে পারি কারণ এই বাংলাদেশ লক্ষ লক্ষ মানুষের বুকের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। এই বাংলা ভাষাকে অর্জন করার জন্য প্রায় তিন মিলিয়নেরও বেশি মানুষের রক্ত দিতে হয়েছে। তাই আমরা গভীরভাবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রচনা শুরু করি।

ভূমিকা
১৯৭১ সালের পাকিস্তানের সামরিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিরীহ বাঙ্গালীদের সশস্ত্র সংগ্রাম ছিল মুক্তিযুদ্ধ। এই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জয়ী হলেও পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা হস্তান্তর অস্বীকার করে এবং নিরীহ বাঙ্গালীদের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা ও অত্যাচার চালিয়ে যায়। তাদের এই গণহত্যার মূল কারণ হলো বাংলার জমিন থেকে বাংলা এই নামটি সরিয়ে দেওয়া।

অর্থাৎ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা কিন্তু সেই সময় প্রায় ৫৪% যারা বাংলা ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত ছিল আর ৩.২৭% উর্দু ভাষা বলতো। পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের ওপর নির্বিচারে অন্যায় ভাবে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দেয় যা বাঙালিরা প্রত্যাখ্যান করে। তাদের এই প্রত্যাখ্যানে পশ্চিম পাকিস্তানীরা তাদের ওপর নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ চালাই । তাদের এই হত্যাকাণ্ড দেখে বাঙালিরা থেমে পড়েনি তারা বরং আরো কঠোর হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। 

মুক্তিযুদ্ধ
তাদের আত্মত্যাগের উপহার হিসেবে আমরা আজকে এই স্বাধীন বাংলাদেশকে অর্জন করতে পেরেছি আমাদের লাল-সবুজে পতাকা পেয়েছি। তাদের এই সংগ্রাম ছিল তাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে তাদের নিজের ভাষার প্রতি নিজের অধিকারের থেকে। তারা তাদের বুকের রক্তের বিনিময়ে নিজের ভাষাকে পেয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি বাহিনীরা বাঙ্গালীদের ওপর যে অত্যাচার চালায় এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে ভারত সরকার সরাসরি বাঙ্গালীদের কে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।

যখন পাকিস্তানি বাহিনীরা বাঙ্গালীদের উপর নির্মম অত্যাচার চালায় এই সময় বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভারতে যে আশ্রয় নেয়। এই সময় ভারত সরকার ও তাদেরকে আশ্রয় প্রদান করেছে এবং তাদেরকে যুদ্ধের জন্য তৈরি করেছে তাদেরকে অস্ত্র চালানো শিখিয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধে নামার জন্য অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তাদের এই সহযোগিতা বাঙালিরা কখনো ভুলবে না। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীরা মিত্র বাহিনী নামে একটি সংগঠন তৈরি করে এবং ঢাকাকে মুক্ত করেন।

ফলাফল
১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান সরাসরি যুদ্ধে নেমে পড়ে। তারা নিজের জীবনের পরোয়া না করে নিজের বুকের রক্ত ঝরিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশকে অর্জন করে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙ্গালীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং এই দিনে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল বাঙ্গালীদের অর্জন।

প্রায় তিন মিলিয়নেরও বেশি মানুষের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশকে পেয়েছি। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রত্যেক বাঙ্গালীর মনে আশার আলো জাগিয়েছিলেন তার অবদানে আজকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা আজ গর্বের সাথে বলতে পারি যে আমরা বাঙালি। এই বাংলাদেশের স্বাধীন করার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের রক্ত ঝরিয়েছে।

উপসংহার 
মুক্তিযুদ্ধ বাঙ্গালী বাঙালি জাতির পরিচয় বহনে ভূমিকা রাখে। এই মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ আলাদাভাবে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হিসেবে নাম খোদিত হয়। এই মুক্তিযুদ্ধ গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। বাঙ্গালীদের এই মুক্তিযুদ্ধের কারণে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন এবং আমরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারি। 

তাদের বুকের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এবং লাল সবুজ পতাকাকে অর্জন করতে পেরেছি। তাই প্রতিবছর ২৪ শে ফেব্রুয়ারি এবং ১৭ ই ডিসেম্বর ভাষা আন্দোলন দিবস এবং বিজয় দিবস উদযাপিত করা হয় ভাষা শহীদদের স্মরণ করার জন্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার জন্য। 

প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি উপরের এই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রচনা তোমাদের ভালো লেগেছে। এই রচনাটি পরীক্ষাতে আসতে পারে এই রচনাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ সময়ের কথা সম্পর্কে উল্লেখ করা রয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই সেই ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রচনা মুখস্ত করতে হবে। অথবা তুমি যদি মুখস্ত করতে না পারো তাহলে সুন্দর ভাবে দুই থেকে তিনবার পড়ে নাও তাহলে আশা করছি তুমি বানিয়ে লিখতে পারবে।

লেখকের শেষ কথা : মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য - মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রচনা এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য শেয়ার করলাম। আমাদের বাংলাদেশে 1971 সালে ঘটে যাওয়া সেই নির্মম হত্যার সঙ্গে কথা আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। সেই শহীদদের অবদান তাদের আত্মত্যাগ এর বিনিময়ে আমরা আজকে এই স্বাধীন বাংলাদেশকে পেয়েছি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি বাংলা ভাষাকে নিজের ভাষায় বলে দাবি করতে পারছি। 

এই সব কিছু শুধুমাত্র সেই মহান শহীদদের অবদান। প্রায় তিন মিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের রক্তের বিনিময়ে তারা এই স্বাধীন বাংলাদেশ আমাদেরকে উপহার দিয়েছে। আজ গৌরবের সাথে বলতে ইচ্ছা করছে যে আমি বাঙালি। বাংলা ঘরের প্রত্যেক শিশুই একেক বীরের বাচ্চা। 1971 সালের 24 শে মার্চ যখন ভাষা আন্দোলন সংগ্রাম হয় সেই সময় পাকিস্তানি বাহিনীরা বাঙালিদের ওপর নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায় এবং গুলি বর্ষণ করে। এই সময় বাঙালিরা ভয় পেয়ে পিছিয়ে পড়েনি বরং তারা দলে দলে প্রত্যেকে নিজের বুকের রক্ত ঝরিয়েছে এবং বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি করেছে। 

পাকিস্তানি বাহিনীদের এই নির্মম হত্যাকান্ড কখনোই ভুলে যাওয়ার মত নয় প্রত্যেক মাঠে-ঘাটে সবুজ ঘাসে রক্তের বন্যা বয়ে গেছে। এই রক্ত ছিল শহীদদের বুকের রক্ত যা তারা ভাষার দাবিতে ঝরিয়েছে। ''আমরা বাঙালি রক্ত দিয়েছি প্রয়োজন পড়লে আরো রক্ত দিব তবুও বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাই'' এই দাবিতে তারা নিজেদের আত্মত্যাগ করেছেন। এভাবে পাকিস্তানি বাহিনীরা দিনের পর দিন তারা বাঙ্গালীদের উপর নির্মাণ হত্যাযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন। 

২৫ শে মার্চ কাল রাতে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ঢুকে রাতের অন্ধকারে তারা বাঙ্গালীদের কে হত্যা করেছেন এবং নারীদের প্রতি শারীরিকভাবে অত্যাচার করেছেন। তারা পশুর থেকেও নির্মমভাবে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করেছেন। এই অত্যাচার ও হত্যাকাণ্ড দেখে বাঙালিরা ভয় পেয়ে থেমে যায়নি। বরং তারা আরো বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছে এবং তারা ২৬ শে মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়ে এতে লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালীদের প্রাণ যায়। 

তারপর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে নিজেদের সমর্পণ করেন এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে আখ্যা দেন। এটি ছিল আমাদের বিজয় দিন। এই দিনে বাঙালি নিজেদের দেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে পেয়েছিল এবং নিজেদের ভাষাকে স্বাধীন ভাষা হিসেবে আখ্যা দিতে পেরেছিল। আগে বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে জানা যেত এই যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। 

প্রিয় পাঠকগণ আমরা আজকের এই পোস্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রচনা মুক্তিযুদ্ধের রচনা ১০০ শব্দের এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য শেয়ার করলাম আশা করছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে সবকিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম যেহেতু আমরা বাঙালি সেক্ষেত্রে আমাদেরকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url