অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা - অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু

অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা খুঁজছেন তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোস্টে অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা, অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু অর্থনীতির জনক কে মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা এবং এডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সঙ্গা সহ পল স্যামুয়েলসন এর অর্থনীতির সংজ্ঞা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা - অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু
উপকার পেতে এই পোস্টটি সম্পন্ন দেখতে থাকুন আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা সহ মার্শালের অর্থনৈতিক সঙ্গা এবং এডাম স্মিথ অর্থনৈতিক জনক বলা হয় কেন সেই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। চলুন ঝটপট দেখে আসি অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা, মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা এডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সংজ্ঞা এবং অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু সহ অর্থনীতির জনক কে।

পেজ সূচিপত্র: অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা - অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু 

         ভূমিকা        

আপনি কি অর্থনীতি পড়তে খুব ভালোবাসেন? অর্থনীতি সাবজেক্ট কি সত্যিই খুব মজার বুঝিনা অনেক সহজ না বুঝলে খুবই কঠিন লাগে। এল রবিন্স একজন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ ছিলেন উনার সম্পূর্ণ নাম হলো লিওনেল চার্লস রবিন্স।এল রবিন্স একজন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ হিসেবে তিনি প্রচুর খ্যাতি লাভ করেন। তার একটি বিখ্যাত সংজ্ঞা রয়েছে। এই সংজ্ঞাটি সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে আমরা জানব। নিচে দেখুন অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা।

অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা

অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতি বিষয়ে একটি সংজ্ঞা দেন। তা হলো, "মানুষের অসীম অভাবকে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করার জন্য মানুষ যে আচরণ করে থাকে তাকেই অর্থনীতি বলা হয়"। (''Economy is the behavior of people to meet their infinite wants with limited resource'') অর্থাৎ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অসীম অভাব রয়েছে। এই অভাব যেন কোন কিছুতেই শেষ হবার নয়।

তবে এই অভাবে কিভাবে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করা যায় সেই সম্পর্কে অর্থনীতিতে আলোচনা করা হয়।আমরা যেই অবস্থানে থাকি না কেন আমাদের প্রত্যেকের কোন না কোন কিছুর অভাব থেকে থাকে এক্ষেত্রে সেই অভাবকে পূরণ করার জন্য আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ সম্পদের প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের কাছে সম্পদের পরিমাণ কম আর অভাবের পরিমাণ বেশি সে ক্ষেত্রে কিভাবে

এই অল্প সম্পদের মাধ্যমে এত অভাবকে পূরণ করা সম্ভব সেই সম্পর্কে অর্থনীতিতে আলোচনা করা হয়। আশা করছি এল রবিন্স এর অর্থনীতির সংজ্ঞাটির মানে আপনি বুঝতে পেরেছেন। কিভাবে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে অসীম অভাবকে পূরণ করা যায় এবং সীমিত সম্পদ দিয়ে অসীম অভাবে পূরণ করার জন্য মানুষ যে আচরণগুলো করে থাকে একে অর্থনীতি বলা হয়। অর্থনীতি খুবই সহজ শুধু আপনাকে একটু মন দিয়ে পড়তে হবে এবং পড়াগুলো বুঝতে হবে। 

আর হ্যাঁ বইয়ের ভাষায় কখনো মুখস্ত করতে যাবেন না। বইয়ে কি লিখা আছে সে কথাটি আগে বুঝার চেষ্টা করবেন। যেকোনো পড়া বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করবেন এতে পড়াটি দীর্ঘদিন আপনার ব্রেনের সংরক্ষণ থাকবে পাশাপাশি আপনি পড়াটি দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারবেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন আমরা দেখে আসি মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা।

মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা

ওপরে আমরা এতক্ষন দেখলাম অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা টি। তবে এবার আমরা দেখব মার্শালের অর্থনৈতিক সংজ্ঞা। এই সংজ্ঞাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনি যদি অধ্যাপক মার্শালের সঙ্গে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন। আমরা নিচে অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
''অর্থনীতি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কার্যাবলী নিয়ে আলোচনা করে''
''Economics deals with the general activities of human daily life"

অর্থাৎ সহজ ভাষাই বলি আমরা উৎপাদন বন্টন ভোগ কিংবা বিনিয়োগের জন্য যে সমস্ত কাজ করে থাকি একেই অর্থনীতি বলে। অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞাটি যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। এখানে তিনি সম্পর্কে প্রাধান্য দেননি সম্প্রতি কিভাবে ব্যবহার করে লাভবান হওয়া যায় এবং সম্পর্কে সঠিক কাজে ব্যবহার করা যায় সেই বিষয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। 

আমার কাছে অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতি সংজ্ঞাটির খুবই ভালো লেগেছে। প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ও পরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। অর্থনীতিতে মার্শালের সংজ্ঞা ওছিল অর্থনীতি মানুষের সাধারণ কার্যাবলী নিয়ে আলোচনা করে অর্থাৎ অর্থনীতি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ আমরা উৎপাদন ভোগ এবং বন্টনের জন্য যে সমস্ত কার্যক্রম করে থাকি সে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।

এডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সংজ্ঞা

প্রিয় পাঠকগণ আপনারা কি এডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সংজ্ঞা খুঁজছেন? তাহলে আপনারা একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আমরা আজকের এই পোস্টে এডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সংজ্ঞা এবং এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয় কেন সে সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানব। চলুন আগে আমরা ঝটপট দেখে আসি এডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সংজ্ঞা।

''অর্থনীতি হলো সম্পদ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞান, অর্থনীতির যে অংশ সমাজের মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যা কে সম্পূর্ণভাবে অথবা সামগ্রিকভাবে একত্র করে আলোচনা ''করে তাকে অর্থনীতি বলে''
Economics is a science related to resources, the part of economics that deals with the economic problems of people in society as a whole or as a whole is called economics''

সহজ ভাষায় বলি অর্থনীতির যে অংশ সমাজের মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যা অর্থাৎ আর্থিক সমস্যা কে নিয়ে সম্পূর্ণভাবে আলোচনা করা হয় তাকে অর্থনীতি বলে। যেহেতু আমাদের জীবনে অভাবের পরিমাণ বেশি এবং সম্পদের পরিমাণ কম সে ক্ষেত্রে আমাদের আর্থিকভাবে সচল হওয়ার জন্য এবং সমস্ত অভাব পূরণ করার জন্য যে আলোচনা করা হয় তাকে অর্থনীতি বলে। 

 এডাম স্মিথ তার এই সংজ্ঞাটির জন্য অনেক বেশি খ্যাতি লাভ করে। ১৭৭৬ সালে তার এই সংজ্ঞাটির সম্পর্কে জানা যায়। প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন এডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সংজ্ঞা সম্পর্কে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয় কেন?

এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয় কেন / অর্থনীতির জনক কে

আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে অর্থনীতির জনক কে? আপনি কি জানেন অর্থনীতির জনক কে? অর্থনীতির জনক হল এডাম স্মিথ। এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয়। তবে আপনি কি জানেন এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয় কেন?? না জানলে নিচে দেখুন আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয় কেন।

১৭৭৬ সালে প্রকাশ হওয়া  an into the nature of cause of the wealth of nation বইয়ের মাধ্যমে এডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সংজ্ঞাটি পাওয়া যায় অথবা সংজ্ঞাটি সম্পর্কে জানা যায় এই সংজ্ঞাটিতে এডাম স্মিথ অর্থনীতি সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত তুলে ধরেন। অর্থনীতি আমাদের জীবনে কেন প্রয়োজন অর্থনীতি কি কাজ এবং কিভাবে অসীম অভাবকে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করতে হয় সেই সমস্ত বিষয়ে সম্পর্কে তিনি তুলে ধরেন যার কারণে তাকে অর্থনীতির জনক বলে অভিহিত করা হয়। 
তিনি অর্থনীতির সম্পদকে গুরুত্ব না দিয়ে কিভাবে সেই সম্পদকে সঠিক ভাবে কাজে লাগানো যায় এবং সেই সম্পর্কে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন করা যায় এবং সেই উৎপাদন থেকে ভোগ করে অর্থ বাঁচিয়ে আবার বিনিয়োগ করা যায় সে সম্পর্কে বিষয় সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। এইজন্য এই বইটিকে ''Bible of economics'' বলা হয় এই সমস্ত কারণের জন্যই অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয়।

প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয় কেন। মূলত এই সমস্ত কারণে জন্যই অর্থনীতি বিদ এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয়। কারণ এটা মিস অর্থনীতি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিয়েছিলেন। তার এই সংগাটির মাধ্যমে এসে অনেক বেশি খ্যাতি লাভ করেছিল। প্রিয় পাঠকগণ এবার চলুন আমরা দেখে আসি পল স্যামুয়েলসন এর অর্থনীতির সংজ্ঞা।

পল স্যামুয়েলসন এর অর্থনীতির সংজ্ঞা

পল স্যামুয়েলসন এর অর্থনীতির সংজ্ঞা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আমরা আজকের এই পোস্ট পল স্যামুয়েলসন এর অর্থনীতির সংজ্ঞা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।পল স্যামুয়েলসন এর অর্থনীতির সংজ্ঞা সম্পর্কে জানতে দেখুন। ''কিভাবে মানুষ অর্থর দ্বারা অথবা অর্থ ছাড়া সম্পদকে বিভিন্ন কাজে নিয়োগের জন্য নির্বাচন করে অর্থ আয় করে বর্তমান সময় এবং ভবিষ্যতের জন্য ভোগ করে বন্টন করে  সেই সমস্ত আলোচনাকে অর্থনীতি বলে''।

(''Economics is the discussion of how people, with or without money, choose to employ resources for various purposes, earn money and distribute it for present and future consumption'' সহজ ভাষায় বলি, জীবনধারণের জন্য অবশ্যই আমাদেরকে অর্থ ইনকাম করতে হবে এবং উৎপাদন করতে হবে উৎপাদন না করলে সেখান থেকে আয় করা সম্ভব নয় না করতে পারলে আমরা ভোগ করতে পারবো না।

এক্ষেত্রে পল স্যামুয়েলসন বলেন অর্থ কি কাজে লাগিয়ে অথবা অর্থ ছাড়া সম্পদের মাধ্যমে যেকোনো কাজে নিয়োজিত হয়ে উৎপাদন করে বর্তমান সময়ে এবং ভবিষ্যতের জন্য ভোগ বন্টন করে তাকে অর্থনীতি বলে। অর্থাৎ তিনি অর্থনীতিতে প্রথমে সম্পর্কে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন করা উৎপাদন করে সেখান থেকে আয় করা এবং আয় করে, ভোগ করা, ভোগ করার পর বিনিয়োগ করার সমস্ত বিষয়কে তুলে ধরেছেন।

প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন পল স্যামুয়েলসন এর অর্থনীতির সংজ্ঞা সম্পর্কে। পল স্যামুয়েলসন এর অর্থনীতির এই  সংজ্ঞার জন্য তিনি ব্রিটিশ আমলে অনেক বেশি খ্যাতি লাভ করেছিলেন। আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে অর্থনীতির সংজ্ঞা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। চলুন আমরা দেখে আসি অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু। 

অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু

প্রিয় পাঠক আপনি কি অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গা থেকে এসেছেন কারণ আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু নিয়ে সবকিছু খুঁটিনাটি বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়েন তাহলে আপনি অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পারবেন। নিচে দেখুন অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু।

ওপরের আলোচনার মাধ্যমে অর্থনীতির জনক সম্পর্কে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন। অর্থনীতির জনক এডাম স্মিথ বলেন ''অর্থনীতি হলো সম্পদ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞান'' যেখানে মানুষের অসীম অভাবকে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। 

আরে প্রত্যেকের জীবনে অভাবের পরিমাণ কিন্তু অনেক বেশি অর্থাৎ আমাদের একটি শেষ হলে আরেকটি প্রয়োজন হয়। এই অসীম অভাবকে পূরণ করার জন্য আমাদের অবশ্য অসীম পরিমাণ সম্পদের প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের সম্পদ সীমিত। এক্ষেত্রে কিভাবে এই অসীম অভাবকে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করব?

অর্থনীতিতে আলোচনা করা হয় সেই সমস্ত বিষয় নিয়েই অর্থনীতিতে আলোচনা করা হয় অর্থনীতি মানেই মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা। যে দেশের অর্থনীতিবিদ যত ভালো হবে সে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যাতে উন্নত হবে। আমরা প্রত্যেকে জানি আমাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বেহালে রয়েছে এর কারণ হলো আমাদের দেশে অর্থনীতিবিদের প্রয়োজন। 

একজন অর্থনীতিবিদের কাজ হল অর্থনৈতিক অবস্থাকে উন্নত করা এবং অসীম অভাবকে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করা। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে অর্থনীতির জনক কে, অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু, অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা, মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা, এডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সংজ্ঞা এবং এডাম স্মৃতির অর্থনীতির জনক বলা হয় কেন সে সমস্ত বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। 

কিছু প্রশ্ন 

অর্থনীতির জনক কে??
আমাদের অনেকের মনে এ প্রশ্ন থাকে যে অর্থনীতির জনক কে? তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম অর্থনীতির জনক কে। অর্থনীতির জনক হল অধ্যাপক এডাম স্মিথ।

অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু
আপনি কি অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে ওপরে দেখুন আমরা আজকের এই পোস্টে অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে সবকিছু আপনাদের সাথে খুঁটিনাটি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি ওপরে দেখেন তাহলে অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।

অধ্যাপক এল রবিন্স অর্থনীতির সংজ্ঞা কোথায় পাবো?
অধ্যাপক এর রবিন্স অর্থনৈতিক সংজ্ঞা খুঁজছেন? অর্থনৈতিক সম্পর্কে অধ্যাপক এল রবিন্স একটি সংজ্ঞা দিয়েছেন তা হল, ''মানুষ তার অসীম অভাবকে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করার জন্য যে মানবিক আচরণ করে থাকে তাকে অর্থনীতি বলা হয়''

মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা কি?
মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা হলো,, ''অর্থের সাথে জড়িত মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কার্যাবলী কে অর্থনীতি বলা হয়'' অর্থাৎ অর্থের সাথে সম্পর্কযুক্ত যে সমস্ত কাজগুলো আমরা করে থাকি তাকে অর্থনীতি বলা হয়।

এডাম স্মিথের অর্থনীতির সংজ্ঞা দাও 
প্রিয় পাঠকগণ আপনারা কি এডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সংজ্ঞা খুঁজছেন? তাহলে আপনারা একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। অর্থনীতি বিষয়ে অ্যাডাম স্মিথ বলেন, ''অর্থনীতি হল এমন একটি বিজ্ঞান যেখানে সম্পদ নিয়ে আলোচনা করা হয়''

এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয় কেন?
১৭৭৬ সালে প্রকাশিত একটি বইয়ের মাধ্যমে এডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সংজ্ঞা পাওয়া যায় যেখানে তিনি বলেন, ''অর্থনীতি হল এমন একটি বিজ্ঞান যেখানে সম্পদ খুঁটিনাটি সবকিছু আলোচনা করা হয়'' তার এই সঙ্গটির মাধ্যমে সে অনেক বেশি খ্যাতি লাভ করে এবং তাকে অর্থনীতির জনক বলে অভিহিত করা হয়।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে অর্থনীতি নিয়ে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করলাম আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন অর্থনীতির জনক কে অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু অধ্যাপক এল রবিন অর্থনীতির সংজ্ঞা মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা, পল স্যামুয়েলসন এর অর্থনীতির সংজ্ঞা এবং এডাম স্মিথকে অর্থনৈতিক জনক বলা হয় কেন সে সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকের এই পোস্টে আপনি জানতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অর্থনীতির চাহিদা অনেক। তাই আপনি যদি চান তাহলে আপনার অনার্স অর্থনীতি সাবজেক্টে পড়াশোনা করতে পারেন আমার মতে অর্থনীতি সাবজেক্টে অনার্সে পড়ার জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট। আপনি যদি অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন তাহলে আপনি সহজেই যে কোন সরকারি চাকরিতে জয়েন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অর্থনীতি সাবজেক্টের গুরুত্ব অনেক।  তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম অর্থনীতির জনক কে। 

বর্তমান সময়ে অর্থনীতির জনক অধ্যাপক এডাম স্মিথ। ১৯৭৬ সালের প্রকাশিত বইয়ে অধ্যাপক এডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সংজ্ঞা পাওয়া যায় যে সংজ্ঞাটির মাধ্যমে অর্থনীতির সমগ্র ধারণা লাভ করা সম্ভব। তার এই সংজ্ঞাটি এর মাধ্যমে সে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং তারপর থেকে তাকে অর্থনীতির জনক বলে অভিহিত করা হয়। প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আজকের এই পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে কমেন্ট করে কিন্তু অবশ্যই জানাবেন।
পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url