বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ১ মিনিটে পেট ব্যথা দূর
বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে আসছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় , বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর দোয়া এবং বাচ্চাদের পেট ব্যথা কেন হয় সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি নিচের এই উপায় গুলো অনুসরন করেন তাহলে আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনার বাচ্চার পেট ব্যাথা দ্রুত দূর হবে। বাচ্চাদের তেতো তেতো ঔষধ না দিয়ে ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে পেট ব্যথা দূর করার চেষ্টা করুন। চলুন ঝটপট দেখে আসি বাচ্চাদের পেট ব্যথা কেন হয়, বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর দোয়া এবং বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো।
বাচ্চাদের পেট ব্যথা কেন হয়
আপনি কি জানেন বাচ্চাদের পেট ব্যথা কেন হয়? বাচ্চাদের পেট ব্যাথা খুব সাধারণত একটা বিষয়। বাচ্চাদের পেট ব্যাথা হওয়ার খুব কমন যে কারণে হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে গ্যাসের কারণে। এ গ্যাস এর কারণে পেটে ব্যাথা ছোট বাচ্চাদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে আবার বড় বাচ্চাদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে। যদি বাচ্চা ছোট হয় বা ছয় মাসের মধ্যেই বাচ্চার বয়স হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে বাচ্চারা দুধই খেয়ে থাকে এবং দুধ খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের মাঝে মাঝে গ্যাস পাম্প করতে পারে এটা খুবই সাধারণ ব্যাপার। আবারঅনেক সময় আমরা ছোট বাচ্চাদের সঠিক সময়ে দুধ খাওয়াতে পারি না ঠিক মতো। অনেক সময় বাচ্চাদের আগে খিদে পেয়ে যায়। অনেক সময় খিদের মাঝে অনেটা গ্যাব হয়ে যায় এই কারণেও কিন্তু গ্যাস পাম্প হয়ে যেতে পারে বা যখন ছোট বাচ্চারা খুব কাঁদে তখনও কিন্তু ওদের পেটের ভিতর বাতাস ছড়িয়ে যায় তখনও কিন্তু ওদের গ্যাস হয়ে যেতে পারে। ওরা আঙ্গুল চোষে তখনও ওদের পেটের ভিতর বাতাস চলে যায় তখন ও ওদের গ্যাস হয়ে যায়। মোট কথা গ্যাস হওয়ার ফলে বাচ্চাদের পেটেও খুব ব্যাথা হয়।
আর বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যদি ওদের ক্ষমতা না বুঝে যদি একটু বেশি স্পাইসি টাইপের বা একটু বেশি যটিল টাইপের খাবার খাইয়ে দেই। যেটা ওদের পক্ষে হজম করা সমস্যা হয়ে যায়। তখন ওদের ও গ্যাস হতে পারে। এইজন্য এখন থেকে বাচ্চাদের কখনোই অতিরিক্ত স্পাইসি কিংবা ঝাল জাতীয় খাদ্য খেতে দিবেন না। এটি তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন বাচ্চাদের পেট ব্যথা কেন হয়।
বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
ওপরে আমরা দেখলাম বাচ্চাদের পেট ব্যথা কেন হয় এবার আমরা দেখব বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো। ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হওয়ার কারণে পেট ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে পেটের মধ্যে একটু বারি দিয়ে দেখতে হবে পেটের ভিতর কোনো আওয়াজ হচ্ছে কিনা বা বাচ্চা গ্যাস পাস করছে কিনা। যদি এরকম হয়ে থাকে ছোট বাচ্চা বা বড় বাচ্চা হোক হালকা একদম পাতলা টাইপের নারকেলের তেলকে একটু হালকা গরম করে নিয়ে,বাচ্চার পেটের মাঝখানে মাসাজ করতে পারে। এর ফলে গ্যাসটা খুব সহজেই পাস হয়ে যেতে পারে। বাচ্চা একটু আরাম পেতে পারে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কুয়ালিকেডের মতো ঔষধ খাওয়ানো যেতে পারে। যেমনটা ডাক্তার বলে দিবেন। সেই ডোজ মেনে মেনে।আর বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে একটু পরিবর্তন আনতে পারে।গ্যাস হলে আমরা বাচ্চাদের কে ঠিক কোন কোন খাবার খাওয়াতে পারি। কোন কোন খাবার খাওয়ানো উচিত নয়।
- খাদ্য অভ্যাস টা ঠিক করতে হবে।
- পরিমান মতো ঘুমাতে হবে। বেশি রাত জাগা যাবে না।
- ওজন কমে যায় এজন্য অনেক সময় আমরা বলি শুকনা খাবার দাবার খেতে। যেমন মুরি, খই এরকম জাতীয় খাবার ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে আবার পানি খান তখন এ সমস্যা গুলো হয়ে থাকে।
- কাচা পেঁপে, আদা কুঁচি, এলাচ বা লং খাওয়া এ জাতীয় খাবার আমাদের পেটপর গ্যাস টা কে সহজে দূর করে দেয়। তীব্র গ্যাস হলে এ খাবার গুলো খাইয়ে দেখতে হবে কার কোন টা তে উপকার হয় বা উপকারে আসে এটা বের করতে হবে।
- শশা পেটে গ্যাস তৈরি হতে দেয় না। তাই এটা বাচ্চারাও খেতে পারবে। তাই প্রতিদিন খাবার এর সাথে শশা রাখা উচিৎ খাবার এর তালিকায়। এতে বাচ্চাদের খাবার খুব ভালো ভাবেই হজম হতে পারবে।।
- যদি বাচ্চাদের টক দই খাওয়াতে পারেন তাহলে কিন্তু আরো অনেক ভালো হয়। টক দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। খাবার দ্রুত হজম হয় আর পেটে ব্যাথা বা গ্যাস হওয়ার তে কোনো কারণ ই থাকে না।
এছাড়াও অনেক সময় বাচ্চার শরীর গরম হয়ে গেলও বাচ্চার পেটে গ্যাস হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি রাতে শোয়ার সময় বা ঘুমানোর আগে এক গ্লাস জলে দুচামচ মৌরি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে সকালে ওই মৌরি ভেজা জল টা খাওয়াবেন বাচ্চাকে। এতে বাচ্চার শরীর ঠান্ডা থাকে আর গ্যাস হয় না। আর এজন্যই পেটে ব্যাথাও হয় না বাচ্চার।
আর যখন গ্যাসটা হয়ে যাবে তখন এক গ্লাস পানিতে দু চামচ মৌরি মিশিয়ে এবং আদা মিশিয়ে মিশ্রিত পানি কে গ্যাস বা চুলায় ফুটিয়ে যখন পানি অর্ধ গ্লাস হবে তখন এটা ছেকে বাচ্চাদের খাওয়ানো উচিৎ। আর যদি চান বাচ্চাদের গ্যাস না হোক তো সেক্ষেত্রে আপনি চূরণ তৈরি করে রাখুন। এটি তৈরি করতে মৌরি,জিরা আর যোয়ান সমান সমান করে নিন তাতে একটু বিড নুন টুকরো টুকরো করে নিয়ে নিন। যদি এটি বাচ্চারা কাচা খেতে না চায় তাহলে একটু সামান্য করে ভেজে নিন।
এবং ঢাকনা যুক্ত কোনো বাটিতে রেখে মুখটা বন্ধ করে দিন। প্রতি বার খাবার পর এটি বাচ্চাদের চিবিয়ে খেতে বলেন। এতে বাচ্চা এটি খেতেও ভালো বাসবে এবং এতে বাচ্চার গ্যাস ও হবে না। প্রিয় পাঠক উপরে আমরা দেখলাম ছোট বাচ্চাদের পেটে গ্যাসের কারণে পেট ব্যাথা হলে কি করনীয়। এবার চলুন দেখে আসি বড় বাচ্চাদের যদি গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে গ্যাস কমানোর জন্য কি করণীয় -
১. যোয়ান ভিজিয়ে রেখে একটু থেতো করে নিয়ে সেই যোয়ান ভিজানো জল টা ছেঁকে নিয়ে তারপর সেটা বাচ্চাদের খাওয়াতে পারি।
১. যোয়ান ভিজিয়ে রেখে একটু থেতো করে নিয়ে সেই যোয়ান ভিজানো জল টা ছেঁকে নিয়ে তারপর সেটা বাচ্চাদের খাওয়াতে পারি।
২. অনেক সময় মাসল এর কারণেও পেটে ব্যাথা হয়।
এটা সাধারণত বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। যে বাচ্চাদের একটু বমি করার মতো টেনডেন্সি আছে মানে খাওয়ার সময় তারা বমি করতে চায় বা পেসার দিয়ে বমি টা করার চেষ্টা করে বা কাসার চেষ্টা করে বা খুব কাসি হয় যাদের। তাদের মধ্যে কিন্তু এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। তারা কি করে এত জোরে বমি করার মতো চেষ্টা করে বা কাশে। তখন কি হয় বাচ্চাদের মাসাল তো খুব কম শক্ত পক্ত নয়।
তখন কিন্তু বাচ্চাদের মাসালে বা পেশি তে খুব টান লাগে। এবং এ পেশিতে টান লাগার ফলে সাময়িক কিছু সময় এর জন্যে পেটে ব্যাথা হয়।ওরা কিন্তু বলেও না এটা। যদি বাচ্চা যে কারণে বমি করছে সেটা যদি আমরা ঠিক করতে পারি। তাহলে এই মাশাল এর সমস্যা দূর করতে পারব।
৩. যে কারণে বাচ্চাদের পেটে ব্যাথা মতো সমস্যা হয় সেটা হচ্ছে মায়ের খাওয়া দাওয়ার জন্য।যদি মায়ের খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো না হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চার কিন্তু পেটে ব্যাথা হতে পারে এই ক্ষেত্রে। এই সমস্যা টা দেখতে পাওয়া যায় যারা মায়ের ব্রেসমিল্ক খাচ্ছে তাদের মধ্যে। মা যদি তার খাবার দাবার এ এলার্জি হয়ে থাকে। এ টাইপের কোনো খাবার দাবার খেয়ে থাকে মানে বাদাম, ডিম, দুধ বা দুধের কোনো পোডাক্ট হতে পারে। এই টাইপের খাবারের থেকে যেগুলো থেকে এলার্জি হয়ে থাকে।
সে সমস্ত খাবার দাবার যদি মা ইনটেক করে তো সেক্ষেত্রে বাচ্চার গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। যদি স্পাইসি টাইপের খাবার দাবার খান মা সেক্ষেত্রে কিন্তু বাচ্চার গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। আার এই কারনেই কিন্তু যে সমস্ত মায়েরা ব্রেস ফিটিং করাচ্ছেন বাচ্চাদের কে। তাদের কোন কোন খাবার খাওয়ানো উচিৎ কোন কোন খাবার খাওয়ানো উচিৎ নয় এ দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়াও মায়ের ব্রেস ফিটিং করানো কালিন মায়ের ডায়েট চার্ট থাকা উচিৎ।
৪.যে কারনে বাচ্চাদের পেট ব্যাথা হতে পারে সেটা হচ্ছে ওভার ফিটিং মানে বাচ্চাদের অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার দাবার খাওয়ালে হয়ে গেলে বা দুধ খাওয়ানো হয়ে গেলে তখন বাচ্চাদের পেট ব্যাথা হতে পারে। এটা ছোট বাচ্চাদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে আবার বড় বাচ্চাদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ওরা বলতে পারে না। আমরা মনে করি যে আর একটু খাওয়ায় আর একটু খাওয়ায়। ওদের পেট টা ভরবে তাহলে। আমরা বুঝতেও পারি না ওদের পেট টা ঠিক ঠাক মতো ভরেসে কী না।
৪.যে কারনে বাচ্চাদের পেট ব্যাথা হতে পারে সেটা হচ্ছে ওভার ফিটিং মানে বাচ্চাদের অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার দাবার খাওয়ালে হয়ে গেলে বা দুধ খাওয়ানো হয়ে গেলে তখন বাচ্চাদের পেট ব্যাথা হতে পারে। এটা ছোট বাচ্চাদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে আবার বড় বাচ্চাদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ওরা বলতে পারে না। আমরা মনে করি যে আর একটু খাওয়ায় আর একটু খাওয়ায়। ওদের পেট টা ভরবে তাহলে। আমরা বুঝতেও পারি না ওদের পেট টা ঠিক ঠাক মতো ভরেসে কী না।
আরো পড়ুন : শীতকাল সম্পর্কে ১৫ টি বাক্য দেখে নিন
সেক্ষেত্রে আমরা অনেক পরিমাণ এ দুধ খাওয়ায়ে দেয়। তখন বাচ্চাদের পেট ব্যাথা হয় ওরা কাঁদে। এবং বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় মোবাইল দেখাতে দেখাতে বা টিভি দেখাতে দেখাতে এত অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খাওয়ায়ে দেয় বুঝতেই পারি না।এর ফলেও বাচ্চাদের পেট ব্যাথা করে। আসলে হয় কি ওদের পেটের স্টমাক বা জায়গা খুব ছোট হয়। তার থেকেও যদি আমরা অনেক বেশি পরিমাণে খাবার দাবার খাইয়ে দেই পেটে স্বাভাবিক ভাবেই চাপ পড়বে এবং খাবার টা হজম করতেও ওদের খুব সমস্যা হবে। খুব আস্তে আস্তে ওরা খাবার টা হজম করবে। এবং আস্তে আস্তে পেটে ব্যাথার ব্যাপার টা সেরে যাবে।
তার আগে কিন্তু এই পেটে ব্যাথার জন্য কষ্ট পেতে পারে। এটা খুব সাময়িক ব্যাপার। খাবার টা যখন ধিরে ধিরে হজম হয়ে যাবে তখন বাচ্চাদের পেট ব্যাথাও কমে যাবে। এজন্য আমাদের আগে থেকেই খুব চেপে চেপে একবারেই খাওয়ানো ঠিক না। হালকা করে বাচ্চাদের খাওয়ানো উচিৎ। মোট কথা জিরো থেকে ছয় মাসের বাচ্চাদের অ্যাস ফর ডিমেন্ট খাওয়ানো উচিৎ তাদের চাহিদা মতো। এছাড়া আমরা যেটা করতে পারি। যদি আমাদের মনে হয় বাচ্চাকে বেশি পরিমাণে খাওয়ানো হয়ে গেছে কাঁদছে পেটে ব্যাথা করছে বলে।
তো সে ক্ষেত্রে আমরা যেটা করতে পারি সেটা হচ্ছে বাচ্চা কে সাথে সাথে শুয়ানো উচিত না।বাচ্চা কে বসিয়ে রাখা উচিৎ। বা বাচ্চার হাত টা ধরে একটু হালকা করে হাটানো উচিত। যদি বাচ্চা বড় হয়ে যায় হাটতে শিখে যায় হালকা করে বাচ্চা কে একটু হাঁটানো উচিৎ। যাতে বাচ্চার পেটের খাবার টা একটু তাড়াতাড়ি হজম হতে পারে। আর যে সমস্ত বাচ্চারা বড় হয়ে গেছে তাদের কে সলিড ফুড একটি পরিমাণে খাওয়াতে হবে।
৫. যে কারণে বাচ্চাদের পেটে সমস্যা হতে পারে। সেটা হচ্ছে কৃমির সমস্যা থাকে। এই কৃমির সমস্যা ছোট বেবিদের মধ্যেও থাকতে পারে বড় বেবিদের মধ্যেও থাকতে পারে। এবার বাচ্চা কৃমির জন্য কৃমির সমস্যায় পেটে ব্যথায় ভুগছে কিনা বুঝবে কি করে। এক তো বাচ্চার প্রটি থেকে কৃমি বেরোতে পারে। বাচ্চার বারবার খিদে পেতে পারে। বাচ্চা খাচ্ছে কিন্তু বাচ্চার ওজন বাড়ছে না এরকম লক্ষণ গুলো যদি দেখা দেয় এবং বাচ্চা যদি মাঝে মাঝেই বলে পেট ব্যথা করছে পেটে ব্যথা করছে এবং বাচ্চা পেটে হাত দিয়ে যদি কাঁদে বা কাটতে থাকে।
সে ক্ষেত্রে অনুমান করা যায় যে বাচ্চার পেটে কৃমি হয়েছে বলে বাচ্চার পেটে যন্ত্রণা করছে। তো এক্ষেত্রে আমরা কি করতে পারি দেখো এক বছরের ছোট বাচ্চাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ এক বছরের ছোট বাচ্চাদের ডাক্তাররা কৃমির ঔষুধ দেওয়া পছন্দ করেন না। যদি খুব বেশি পরিমাণে বাচ্চাদের কৃমি হয় সে ক্ষেত্রে তো অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। ইমারজেন্সি বুঝে ডক্টর সেভাবে বাচ্চাদের ট্রিটমেন্ট করতে পারবে। যদি বাচ্চার বয়স এক বছরের বেশি হয়ে গিয়ে থাকে।
এবং মনে হচ্ছে যে বাচ্চা কৃমি সমস্যার জন্য পেটে ব্যথা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ডাক্তারের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করতে হবে। এবং টাইম বুঝে কৃমির ওষুধটার ঠিকমতো ডোসটা শুরু করতে হবে। এবং সে মতো ওষুধটা বাচ্চাদের খাওয়াতে হবে। মোটামুটি বাচ্চাদের কৃমির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বা যদি বাচ্চার কৃমি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন ছোট বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি আপনি যদি উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে দ্রুত আপনার বাচ্চার পেট ব্যথা দূর করতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ছোট বাচ্চার প্যানিক বা ভয় থেকে পেটে ব্যথা সম্পর্কে।
ছোট বাচ্চার প্যানিক বা ভয় থেকে পেটে ব্যথা
ছোট বাচ্চার প্যানিক বা ভয় থেকে পেটে ব্যথা । বাচ্চাদের কোন কিছু দেখে ভয় হচ্ছে বা বাচ্চাদের কোন কিছু করতে ইচ্ছা করছে না। তবুও আমরা জোর করে সেই কাজটা করাতে চাই বা করাতে চেষ্টা করি। এরকম সময়ও কিন্তু বাচ্চাদের পেটে ব্যাথা সমস্যা হতে পারে বা দেখা দিতে পারে। আর এই সমস্যাগুলো সম্পূর্ণ দেখা যায় বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এরকম হয় না। মোটামুটি দুই বছরের বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এরকম ব্যাপারটা লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় স্কুল যেতে চাই না বাচ্চারা ভয় পেয়ে যায় বা বাচ্চাকে নিয়ে কোথাও বেড়ানোর সময় তখন টেনশন হলেও বাচ্চাদের পেটের ব্যাথা সমস্যা হতে পারে।
আবার অনেক সময় বাচ্চারা নরমালি কোন কিছু কে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বা স্কুল যেতে চাচ্ছেনা পড়তে যাচ্ছে না। তার জন্য একটি গল্প তৈরি করে ফেলে নিজের মতো করে যে বাচ্চার পেটে ব্যথা করছে। আদৌ এক্ষেত্রে পেটে ব্যাথা হচ্ছেই না বাচ্চার। এক্ষেত্রে আমাদের এই প্যানিক টা বা ভয়টাকে কাটাতে হবে দীর্ঘ সময় ধরে। বাচ্চাকে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে তুলে হাত মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে দিয়ে নাস্তা করিয়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি স্কুলে নিয়ে যাওয়া ঠিক নয়।
আস্তে আস্তে সব কিছু উচিৎ। খেলাধুলার মাধ্যমে আকর্ষণীয় করে তুলে বাচ্চাকে ঘুম থেকে তোলা আস্তে ধিরে বাচ্চা কে খাইয়ে রেডি করে স্কুলে নিয়ে যাওয়া উচিত। সমস্যা হতে পারে সাময়িক ভাবেই। সাধারণত ঠিকঠাক মতো খাবার-দাবার যদি না খাওয়া হয় তাহলে পেটে ব্যথা দেখা যায়। সাধারণত এটা বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই বেশি পরিমানে হয়ে থাকে। বাচ্চাদের কে আমরা এমন অনেক কিছু খাইয়ে থাকি যেগুলো খুব সহজে হজম করতে পারে না। যেমন স্পাইসি জাতীয় খাবার,
হোটেল এর খাবার দাবার হতে পারে, স্টিট ফুড হতে পারে, পেকেট করা কোন খাবার দাবার হতে পারে, বার্গার, স্যান্ডউইচ ইত্যাদি জাতীয় খাবার দাবার হতে পারে। এ সমস্ত খাবার দাবার এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মসলা থাকে। এর জন্যেও পেটে ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় এরকম হয়ে থাকে। যেমন আমাদের এসিড হয় না ফলে বাচ্চাদের পেটে সমস্যা হয় বা মোচড় দেয় বা পেট ব্যথা করে। বাচ্চাদের খাবার দাবার ঠিক মতো হজম না হওয়ার ফলে খাবার অনেক সময় উপরের দিকে গলা পর্যন্ত উঠে আসে। বুক এর কাছে জ্বালা করে পেটে নানা ধরনের সমস্যা হয় পেট ব্যথা করে। এরকম বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে।
এই সমস্ত কারণ গুলোর জন্য বা খাবার দাবার যদি ঠিক ঠাক মতো না হয় বা সহজ সরল না হয় বা খুব স্পাইসি টাইপের জাতীয় খাবার দাবার না হয় যেটা বাচ্চাদের জন্য ঠিক না।সেক্ষেত্রে ও কিন্তু বাচ্চাদের পেট ব্যথা হতে পারে। এজন্য বাচ্চাদের হজম ক্ষমতার উপর ধারণা রেখে খাবার খাওয়ানো উচিৎ। যদি ওরা স্পাইসি জাতীয় খাবার দাবার খেতে চায় তাহলে পরিমাণ মতো খাওয়ানো উচিত। এ জাতীয় খাবার দাবার অতিরিক্ত খাওয়ানো যাবে না বা উচিৎ নয়।
যদি বাচ্চারা স্পাইসি জাতীয় খাবার দাবার খেতে চায় তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের একটু রসুন, পেয়াজ,একটু মাখন বা চিজ বা আলু দিয়ে ঘরেতে যদি আমারা টেস্টি খাবার দাবার বানাতে পারি। তাহলে কিন্তু এটা ভালো হয় আবার স্বাস্থ্য কর খাবার ও হয় এবং বাচ্চাদের পেট ব্যথার মতো কোনো সমস্যা হয় না। বাচ্চার খাবার দাবার যেনো ঠিক মতো হজম হয় তার জন্য পানি খাওয়ানো টাও ভিষণ দরকার।
যে কারণে বাচ্চাদের পেট ব্যাথা হতে পারে সেইটা হচ্ছে সেটা খুবই কমন এখনকার দিন এ। এটা ছোট বাচ্চাদের ও হতে পারে আবার বড় বাচ্চাদের ও হতে পারে। সেটা হচ্ছে পটি যদি পরিষ্কার না হয় বা পেট যদি পরিষ্কার না হয়। ছোট বাচ্চাদের যদি অনেক দিন ধরে পটি বা পেট ঠিক মতো পরিষ্কার না হয়। সেক্ষেত্রে ও কিন্তু বাচ্চাদের পেটে গ্যাস পাম্প হয়। বাচ্চার পেটে ব্যাথা হয় বাচ্চাদের কষ্ট হয়। বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ও তাই। বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আমরা এত পরিমাণে একটা জিনিস মাঝে সাঝে খাইয়ে দেয় বা খাইয়ে থাকি।যেমন ময়দার তৈরি জিনিস।
যেগুলো খেলে পটি বা পেট পরিষ্কার ঠিক মতো খায় না।এখান থেকে ও কিন্তু বাচ্চাদের পেট ব্যাথা হতে পারে। ছোট বাচ্চাদের যদি পটির সমস্যা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে বাচ্চার মায়ের কিন্তু ময়দা টাইপের খাবার দাবার গুলো কম খাওয়া উচিত। রেডমিট টাইপের খাবার দাবার গুলো কম খাওয়া উচিত। তারপরে ফল সবজি এগুলো ভালো করে খাওয়া উচিত। আর বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যদি পটির সমস্যা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কিন্তু বড় বাচ্চাদের ও ফল সবজি অন্যান্য খাবার দাবার সাথে ভালো করে খাওয়ানো উচিৎ।
আরো পড়ুন: পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম দেখে নিন
এবং জল বা পানি ঠিক মতো খাওয়ানো উচিৎ। আর রেডমিড বা ময়দার তৈরি খাবার দাবার কম খাওয়ানো উচিৎ পরিমান মতো। তো মোটামুটি এ সমস্ত কারণে বাচ্চাদের পেট ব্যাথার মতো অবস্থা হয়। আমরা যদি আমাদের বাচ্চার পেটে ব্যাথার কারণ বুঝতে পারি তাহলে আমরা বাচ্চাদের সুস্থ করতে পারব এবং আরাম দিতে পারব। তাই আপনার বাচ্চার পেট ব্যাথা কমাতে উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করুন।
বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর দোয়া
বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর দোয়া খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন কারণ আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চাদের পেট ব্যথা কমানোর দোয়া শেয়ার করব। আমরা অনেকেই রয়েছে যারা দোয়াতে বিশ্বাসী অর্থাৎ মনে করি দোয়া পাঠ করে পেট ব্যাথা কমে যেতে পারে এই কথাটুকু কতটুকু যৌতুক তা আমাদের সঠিক জানা নেই তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে পেট ব্যথা কমে গেছে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে বাচ্চাদের পেট ব্যথা কমানোর দোয়া শেয়ার করব। চলুন ঝটপট দেখে আসি বাচ্চাদের পেট ব্যথা কমানোর দোয়া।
বাচ্চাদের পেট ব্যথা করলে তার পেট ধীরে ধীরে হাত বুলিয়ে দিবেন এবং পাঠ করবেন সূরা ফাতিহা।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
আর রহমানির -রহিম
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
ইয়া কানাবুদুয়া ইয়া কা -আনাস্তায়িন
ইহ দিনা সিরাতাল -মুস্তাকিম
সিরাতল্লাজিনা আন- আম তায়ালাই হিম
গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম
ওআলা দল লিন
আমিন
সূরা ফাতিহা পাঠ করা শেষে পাঠ করবেন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ইন্না আতাইনা
কাল কাওসার
ফাশালীরব্বিকা ওয়ানাহার
ওয়া ইন্না সনিয়াকা
হুয়াল আফদার
সূরা দুইটি পাঠ শেষে তিনবার পেটে ফু দিবেন। এতে আশা করছি আপনার সোনামনির পেট ব্যাথা দ্রুত দূর হবে। এই দুইটা সূরা খুবই কার্যকারী হাদিস থেকে জানা গেছে যে, কোন বিপদে আপনি যদি এই দুইটা সূরা পাঠ করেন তাহলে দ্রুত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর দোয়া,ছোট বাচ্চার প্যানিক বা ভয় থেকে পেটে ব্যথা , বাচ্চাদের পেট ব্যথা কেন হয় এবং বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
বাচ্চাদের পেট ব্যথা কেন হয়?
আপনি কি জানতে চান বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কেন হয় তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন দেখতে থাকুন কারণ আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম বাচ্চাদের পেট ব্যথা কেন হয়। বাচ্চাদের পেটব্যথা মূলত গ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। তাই কিভাবে বাচ্চাদের পেট ব্যথা কমাতে হবে সেই বিষয়ে জানতে ওপরে দেখুন।
বাচ্চাদের পেট ব্যথা হলে কি করব?
বাচ্চাদের পেট ব্যথা হলে তাদেরকে বেশি বেশি পানি পান করান এবং উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন। আপনি যদি উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে সহজে আপনার বাচ্চাকে পেট ব্যথা থেকে রেহাই দিতে পারবেন ।
বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় কি?
প্রিয় পাঠক আপনি কি বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন দেখতে থাকুন। আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সুবিধার্থে বাচ্চাদের পেট ব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো শেয়ার করলাম।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর দোয়া বাচ্চাদের পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং বাচ্চাদের পেট ব্যথা কেন হয় সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। সাধারণত বাচ্চাদের পেটে গ্যাসের কারণে এই পেট ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম বাচ্চাদের পেট ব্যথা কেন হয় এবং বাচ্চাদের পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি।
আপনি যদি উপরের এই ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনি সহজেই আপনার বাচ্চার পেট ব্যাথা কমাতে পারবেন। আর হ্যাঁ যদি ওপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করার পরেও যদি আপনার বাচ্চা পেট ব্যথা না কমে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ মাঝে মাঝে এই পেট ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ অথবা উপসর্গ হয়ে আসে। এই জন্য যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url