বাচ্চাদের কাশির সিরাপ এর নাম - বাচ্চাদের কাশির সিরাপ

আপনার সোনামণির কাশি হয়েছে তাই বাচ্চাদের কাশির সিরাপ এর নাম খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা বাচ্চাদের কাশির সিরাপ এর নাম, বাচ্চাদের কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং নবজাতকের কাশির ঔষধ নিয়ে আলোচনা করব। এখন ঠান্ডা গরমে বাচ্চাদের কাশি হওয়াই স্বাভাবিক। তবে কোন ওষুধ খাওয়ালে বাচ্চাদের কাশি দূর হবে সে বিষয়ে জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখতে থাকুন।
বাচ্চাদের কাশির সিরাপ এর নাম - বাচ্চাদের কাশির সিরাপ
আপনি যদি নিচের এই সিরাপটি আপনার বাচ্চাকে খাওয়ান তাহলে আশা করছি দ্রুত আপনার সোনামণি কাশি থেকে রেহাই পাবে। সত্যি সোনামণিদের কিছু হলে সব থেকে বেশি কষ্ট যেন আমাদেরই হয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে বাচ্চাদের কাশির সিরাপ এর নাম, বাচ্চাদের কাশির সিরাপ বাচ্চাদের কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং নাবজাতকের কাশির ঔষধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্র

        ভূমিকাঃ        

বাংলাদেশের আবহাওয়া এখন ঠান্ডা এবং গরম এই সময় বাচ্চাদের সর্দি-কাশি হওয়ায় স্বাভাবিক তাই এই আবহাওয়া থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখতে হবে। বাচ্চাদেরকে বেশি পানির মধ্যে খেলতে দেওয়া যাবে না, বাচ্চাদেরকে বেশি ঠান্ডা পানি খেতে দেওয়া যাবে না পাশাপাশি বাচ্চাদের সবসময় যত্ন নিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চাদের পরিপূর্ণ যত্ন নেবার পরেও বাচ্চাদের অসুস্থ হয়ে পড়ে অর্থাৎ বাচ্চারা সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এই অবস্থায় আমাদের কি করা উচিত? 

বাচ্চাদেরকে তো আর আমাদের ওষুধ খেতে দেওয়া যাবে না তাই না এই ক্ষেত্রে তাদেরকে কি খাওয়াতে হবে? কোন ঔষধ খাওয়ালে বাচ্চারা দ্রুত সুস্থ হবে? আজকে আমরা সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে এমন একটি সিরিয়াল আপনি আলোচনা করব যে সিরাপটি আপনারা ১০০ পার্সেন্ট নিশ্চিন্তে খাওয়াতে পারেন। ডাক্তারের পরামর্শে বাচ্চাদের কাশি সিরাপের নাম জানতে নিচে দেখুন। বাচ্চাদের কাশির সিরাপ এর নাম

বাচ্চাদের কাশির সিরাপ এর নাম

কাশি দূর করার জন্য বাচ্চাদের কাশির সিরাপ এর নাম খুঁজছেন? কারণ আমাদের বড়দের কাশির ঔষধ তো আর বাচ্চাদের দেওয়া যাবে না তাই না কারন আমাদের বড়দের ঔষধ গুলো অনেক বেশি পাওয়ারফুল হয় কিন্তু বাচ্চাদের জন্য নরমাল ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে বাচ্চাদের কাশির সিরাপের নাম শেয়ার করব। আপনি যদি আপনার সোনামণির কাছে দূর করার জন্য ভালো সিরাপ পেতে চান তাহলে নিচে দেখুন,

বাচ্চাদের কাশির সিরাপের নাম 

  • তুসকা প্লাস সিরাপ এবং
  • ফেনাট সিরাপ

Tusca plus syrup 
তুষ্কা প্লাস এই সিরাপটি অনেক বেশি কার্যকরী এবং কোন প্রকার সাইড ইফেক্ট ছাড়াই সোনামনির কাশি দূর করবে। এই সিরাপটিতে সম্পূর্ণ উপাদান ব্যবহার করা রয়েছে তাই আপনারা যারা বাচ্চাদের জন্য ১০০% নিরাপদ কাশির সিরাপ খুঁজছেন তারা এই সিরাপ টি নিঃসন্দেহে খাওয়াতে পারেন। বর্তমান সময়ে বাজারে এমন ওষুধ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল যে ওষুধের কোন সাইড ইফেক্ট নেই কারণ প্রতিটা ওষুধের এখন সাইড ইফেক্ট রয়েছে।

কিন্তু আপনি Tusca plus এই ঔষধটিতে কোনো প্রকার সাইড এফেক্ট পাবেন না কারণ এই ওষুধটিতে কোন প্রকার ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়নি। এই ওষুধে প্রচুর পরিমাণে তুলসী পাতার রস ব্যবহার করেছে পাশাপাশি আদার রস সাথে আরো কিছু উপাদান মেশানো হয়েছে। অর্থাৎ এই ওষুধটি সম্পন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি তাই আপনার নিঃসন্দেহে এই ঔষধটি আপনাদের বাচ্চাদেরকে খাওয়াতে পারেন। 

তবে তুস্কা প্লাস এ সিরাপটি যেহেতু তুলসী পাতা তৈরি সে ক্ষেত্রে এই ওষুধটি একটু করা (তিত) স্বাদ এর। ওষুধটি খেতে তিতু হলেও কিন্তু এটির কার্যকারিতা অনেক আপনি প্রথম দিন ব্যবহারই এর ফল বুঝতে পারবেন অর্থাৎ প্রথমবার ব্যবহার করার ফলেই আপনার সোনামণির কাশি অনেকাংশে কমে আসবে। বাচ্চাদের শরীর বড়দের তুলনায় অনেক বেশি দুর্বল হয় তাই তাদের বারবার অসুস্থ হয়ে পড়াও স্বাভাবিক। 

ভাই আপনার সোনামণিকে সুস্থ করতে এবং তার খুশখুসে কাশি দূর করতে ব্যবহার করুন tusca plus। এই অংশটি খুবই কার্যকারী এবং সম্পন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি অর্থাৎ এতে কোন প্রকার সাইড ইফেক্ট নেই। তবে এর স্বাদ ও গন্ধ তুলসী পাতার। অনেক বাচ্চারা তুলসী পাতার গন্ধ পছন্দ করে না। তবে চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে জোর করে সিরাপটি খাওয়ানোর। এবার চলুন আমরা বাচ্চাদের কাশির আর একটি সিরাপ দেখে আসি।

Fenat syrup 
আপনারা যারা বাচ্চাদের জন্য ১০০ পারছেন নিরাপদ সিরাপ খুলছেন তারা নিঃসন্দেহে ফেনাট সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন। এই সিরাপটি খেতে সুস্বাদু মিষ্টি মিষ্টি আবার সম্পূর্ণ সাইর ইফেক্ট ছাড়াই আপনার সোনামনির কাশি দূর করবে। বর্তমান সময়ে ঠান্ডা গরম আবহাওয়ায় সোনামণিদের ঠান্ডা লেগে যাওয়ায় স্বাভাবিক এই ক্ষেত্রে তাদেরকে করা করা তেতো ওষুধ না দিয়ে চেষ্টা করুন , সাইড ইফেক্ট ছাড়া প্রাকৃতিক উপায় তৈরি ঔষধ খাওয়ানোর।

ফেনার সিরাপ এই ওষুধটি খুবই সুস্বাদু মিষ্টি মিষ্টি এবং মিষ্টি গন্ধযুক্ত। এই ঔষধি সম্পূর্ণ সাইড ইফেক্ট ছাড়াই বাচ্চার কাশি দূর করবে। ফেনাট সিরাপটি সম্পন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি তাই এই ওষুধ খাওয়ানোর পরে বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে না এই বিষয়ে আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। বর্তমান সময় বাজারে সাইড ইফেক্ট মুক্ত ঔষধ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় সাইড ইফেক্ট মুক্ত ওষুধ খুঁজি। কারণ বাচ্চাদের শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়। ফলে তারা সহজে যেকোনো রোগ বালাই দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে ।

তাই আপনি যদি আপনার সোনামণির জন্য সম্পূর্ণ সাইড ইফেক্ট ছাড়া এবং কেমিক্যাল ছাড়া ঔষধ পেতে চান তাহলে ব্যবহার করুন ফেনট সিরাপ। প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন বাচ্চাদের কাশি দূর করার সিরাপের নাম কি। বাচ্চাদের কাশি দূর করার দুইটি জনপ্রিয় সিরাপ হল ফেনাট সিরাপ আরেকটি তুসকা প্লাস। এই দুইটি সিরাপ খুবই কার্যকরী এবং সম্পন্ন সাইড এফেক্ট ছাড়া সোনামনির কাশি দূর করবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি নবজাতকের কাশির ঔষধ। 

নবজাতকের কাশির ঔষধ 

আপনি কি আপনার নবজাতক বাচ্চার জন্য কাশির ঔষধ খুঁজছেন? সোনামণির অনেক কাশি হয়েছে? নবজাতকদের শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয় তাদের শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর পরিমাণ অনেক কম যার কারণে তারা বারবার বিভিন্ন রোগ বালাই দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে তার মধ্যে জ্বর সর্দি কাশি তো রয়েছেই । তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব নবজাতকের কাশির ঔষধ নিয়ে অর্থাৎ কোন ঔষধ খাওয়ালে নবজাতক দ্রুত সুস্থতা লাভ করবে। 

চেষ্টা করবেন অবচেতন শিশুদের ঔষধের আড়াল থেকে দূরে রাখতে, কারণ ছোটখাটো ব্যাপারে নবজাতকদের ঔষধ খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করলে পরবর্তী সময়ে তাদের ঔষধ ছাড়া রোগবালাই দূর হবে না। এইজন্য চেষ্টা করবেন নবজাতকদের ছোটখাটো জ্বর সর্দি কাশি দেখা দিলে ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে সেরে ফেলার। কারণ নবজাতকদের যে ওষুধ গুলো তৈরি হয় এগুলো কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমেই তৈরি হয় তাই আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমেও নবজাতকের জন্য প্রাকৃতিক উপায় তৈরি ওষুধ বানাতে পারবেন। 

নবজাতকের কাশি হলে তাকে এক চা চামচ তুলসী পাতার রস খাওয়াবেন। এতে আপনার সোনামণি দ্রুত কাশি থেকে রেহাই পাবে তুলসী পাতাতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান ও ভিটামিন রয়েছে যা আপনার সোনামণির শরীরের জন্য খুবই উপকারী তুলসী পাতা থেকে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট সহ ভিটামিন সি ভিটামিন কে এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায় যা আপনার সোনামনির শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এইজন্য তাকে এক চা চামচ তুলসী পাতার রস নিয়মিত সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়াবেন।

এভাবে আপনি যদি দুই থেকে তিন দিন নিয়মিত সকালে এবং রাতে আপনার বাচ্চাকে তুলসী পাতার রস বেটে খাওয়ান, তাহলে দ্রুত  কাশি থেকে রেহাই পাবে। পাশাপাশি তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কারণ তুলসী পাতা থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আবার তুলসী পাতার পাশাপাশি আপনি চাইলে সোনামণিকে আদার রস বেটে খাওয়াতে পারেন। 

আদার রস থেকেও প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান ও ভিটামিন পাওয়া যায় যা দ্রুত খুসখুসে কাশি ও সর্দি দূর করতে সহায়তা করে। নবজাতক শিশুদের কখনোই তেতো তেতো ওষুধ দিবেন না চেষ্টা করবেন বাচ্চাদেরকে ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে সেটা তোলার। আদার রস থেকেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায় যা সোনামণি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আদাতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার সোনামনির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি শরীরের শক্তি যোগাবে।

প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন নবজাতকের কাশির ঔষধ সম্পর্কে। নবজাতক শিশুকে কখনোই ঔষধ খাওয়াবেন না এখন থেকেই বাচ্চাদেরকে ঔষধের অভ্যাস তৈরি করলে তারা পরবর্তী সময়ে ঔষধ ছাড়া সুস্থ হতে চাইবে না। এজন্য বাচ্চাদেরকে চেষ্টা করবেন ঘরোয়া পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে সেরে তোলার। যেমন তুলসী পাতার রস আদার রস গরম সরিষার তেল। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন নবজাতকের কাশির ঔষধ সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি বাচ্চাদের কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো।

বাচ্চাদের কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় 

ওপরে আমরা বাচ্চাদের কাশির সিরাপের নাম নিয়ে আলোচনা করেছি ওপরের দুইটি সেটআপ খুবই কার্যকারী এবং ১০০ পার্সেন্ট ন্যাচারাল। তবে আমার মতে বাচ্চাদেরকে ঔষধ না খাওয়ানোই ভালো। সব সময় চেষ্টা করবেন বাচ্চাদেরকে ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে সেরে তোলা এতে একদিকে তারা সুস্থ ভাবে আরেক দিকে তাদের শরীরে পুষ্টি জোগাবে।  এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে বাচ্চা শরীরে পুষ্টি কিভাবে যোগাবে? 

মনে করুন যেমন আপনার সোনামনির কাশি হয়েছে এ ক্ষেত্রে আপনি যদি তাকে ওষুধ না দিয়ে তুলসী পাতার সাথে আদার রস বেটে খাওয়ান তাহলে একদিকে তার কাশি দূর হবে আরেকদিকে তুলসী পাতা ও আদার রস থেকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফসফরাস ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন কে লাভ করবে। এতে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে শরীরের রক্ত সঞ্চালন গতি বৃদ্ধি পাবে হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং তার শরীর সুস্থ থাকবে। 

এভাবেও আপনি চাইলে আপনার বাচ্চা শরীরের উন্নতি ঘটাতে পারবেন। তাই আমি আপনাদেরকে সাজেস্ট করব আপনারা বাচ্চাদেরকে তেতো তেতো ওষুধ না দিয়ে চেষ্টা করুন ঘরে পদ্ধতির অনুসরণ করার মাধ্যমে তাদের রোগ সারিয়ে তোলার। এক্ষেত্রে আমাদেরকে জানতে হবে বাচ্চাদের কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলো। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে বাচ্চাদের কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় শেয়ার করব।

আদার রস 
ইতিমধ্যেই আপনি আদার রসের উপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আদার রস থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা বাচ্চার শরীরের জন্য খুবই উপকারী বাচ্চার কাশি দূর করার পাশাপাশি দ্রুত  শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, হার্টের কার্যক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবে এবং শরীরকে সুস্থ করে তুলবে। 

তাই বাচ্চার যত্ন নিতে নিয়মিত সকালে এবং রাতে এক চা চামচ আদার রস পান করাবেন। এছাড়াও আপনার বাচ্চার বয়স যদি চার থেকে পাঁচ বছর হয়ে থাকে তাহলে তাকে সকালে এবং বিকালে আদার চা বানিয়ে খাওয়াবেন। আদার চা খেলেও কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যায় এজন্য বাচ্চাকে আদার চা খাওয়াতে পারেন আর আপনার বয়স যদি এক থেকে দুই বছর হয়ে থাকে, তাহলে তাকে এক থেকে দুই চা চামচ আদার রস খাওয়াবেন। 

তুলসী পাতার রস 
তুলসী পাতার রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে, তাই সোনামনির কাশি দূর করতে তাকে নিয়মিত সকাল ওর রাতে তুলসী পাতার রস খাওয়াবেন তুলসী পাতার রস থেকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফসফরাস আয়রন জিংক ভিটামিন সি ভিটামিন এ এবং আরো অন্যান্য খনিজ উপাদান ও ভিটামিন পাওয়া যায়। তুলসী পাতার রসের সাথে অল্প পরিমাণে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ালেও দ্রুত আপনার সোনামণি কাশি থেকে রেহাই পাবে। 

তবে আপনার সোনামণি যদি হলুদের গন্ধ পছন্দ না হয় তাহলে শুধু তুলসী পাতার রস খাওয়ালেও হবে। এছাড়াও আপনার সোনামনির বয়স যদি পাঁচ থেকে ছয় বছর হয়ে থাকে তাহলে প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধের সাথে কাঁচা হলুদ বেটে মিশিয়ে খাওয়াবেন এতে সে দ্রুত কাশি থেকে রেহাই পাবে। হলুদ থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা আপনার সোনামণির শরীরে দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করতে শুরু করবে। 

দূর্বা ঘাসের রস 
আমাদের আশেপাশে বেড়ে ওঠা এই ঘাসগুলোর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। দূর্বা ঘাসের সাথে তো আমরা প্রত্যেকেই পরিচিত মাঠে ঘাটে কত সব জায়গাতেই এই ঘাস গুলো দেখা যায় তবে এই ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কয়েকজন জানি? আমরা অনেকেই দুর্ভা ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে জানি না তাই আজকের এই পোস্টে আমরা দুর্বা ঘাসের রসের উপকারিতা সম্পর্কে জানব।

দুর্বা ঘাসের রস থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ ক্যালসিয়াম ফসফরাস সোডিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আয়রন ও লৌহ পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এইজন্য এখন থেকে চেষ্টা করবেন বাচ্চাদেরকে দুর্বা ঘাসের রস পান করানোর। দূর্বা ঘাসের রস  থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। তাই এখন থেকে আপনার সোনামনির কাশি দূর করতে এবং সোনামণিকে পুষ্টিতে পরিপূর্ণ করতে দুর্বা ঘাসের রস পান করাতে পারেন। 

সরিষার তেল মালিশ 
সরিষার তেল মালিশ এই পদ্ধতিটি অনেক পুরনো হলেও অনেক কার্যকরী। সেই ১০০ বছর আগে থেকে মানুষ এই পদ্ধতিটিকে অবলম্বন করে আসছে। জ্বর কিংবা সর্দি কাশি হলেই বুকে গরম সরিষার তেল মালিশ করে দেয় এতে দ্রুত জ্বর এবং সর্দি কাশি দূর হয়। আপনি চাইলে আপনার সোনামণির কাশি দূর করতে তার গলাতেই হালকা গরম সরিষার তেল মালিশ করে দিতে পারেন। 

তে দ্রুত সে কাশি থেকে রেহাই পাবে এই পদ্ধতিটি কিন্তু অনেক কার্যকারী হতে পারে পদ্ধতিটি অনেক পুরনো কিন্তু অনেক কার্যকারী। তাই আমি বলব বাচ্চাদেরকে তেতো তেতো ঔষধ না দিয়ে চেষ্টা করুন ঘরোয়া এই ছোটখাটো উপায় গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে সোনামনির কাশির দূর করার। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে সোনামনির বুকে হাল্কা গরম তেল মালিশ করে দিবেন।

মুভ ব্যথা নাশক মলম
move এই মলম টির সাথে আমরা প্রত্যেকেই পরিচিত। কোথাও আঘাত থাকলে এই মলমটি আমরা ব্যবহার করে থাকি তবে আপনি কি জানেন যে এই মলমটি ব্যবহার করার মাধ্যমে সহজে আপনি কাশি এবং সর্দি দূর করতে পারবেন? প্রিয় পাঠক আমরা অনেকেই এই বিষয়ে জানিনা যে  move এই ব্যাথা নাশক মলমটি ব্যবহার করার মাধ্যমে সহজেই কাশি এবং সত্যি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। 

আপনার বাসায় যদি আপনার সোনামণি শিশুর কাশি হয়ে থাকে তাহলে তার গলায় গরম তেল মালিশ করার মতো করে মুখ অল্প পরিমানে নিয়ে তার গলাতে সুন্দরভাবে মালিশ করে দিন। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনি ভাল ফলাফল লাভ করতে পারবেন। এই উপায়টি অনেক কার্যকরী। তবে বাচ্চার চোখের এবং মুখের আশপাশে কখনো ভুলেও ব্যবহার করবেন না। 

আলো বাতাস পূর্ণ ঘর
বাড়ি থেকে সবসময় আলো বাতাস পূর্ণ ঘরের মধ্যে রাখবেন অনেকেই রয়েছেন যারা বাচ্চাদের জ্বর কিংবা সর্দি কাশি হলেই সব সময় ঘরে বন্দী করে রাখেন এবং জানলা দরজা আটকে রাখেন যেন বাইরের কোন প্রকার বাতাস ঘরে প্রবেশ না করে। এতে রোগ জীবাণু দ্বারা বাচ্চা আক্রান্ত হওয়া সম্ভব না আরো বেশি বেড়ে যাবে এই জন্য বাচ্চাকে সবসময় আলো বাতাস পূর্ণ ঘরে রাখবেন।

আর এখন তো গরমকাল গরমকালে বাচ্চার জ্বর সর্দি কাশি হলে তাকে গরম কাপড়ের মধ্যে তাকে বন্দী রাখবেন না। এতে গরমকালে ঘেমে আরো বেশি কাশি হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। সে যেভাবে থাকতে অভ্যস্ত থাকে সেভাবেই রাখবেন। আর গলায় বারবার গরম তেল মালিশ করতে থাকবেন। 

প্রিয় পাঠক আপনি যদি উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আশা করছি দ্রুত আপনার সোনামণি কাশি থেকে রেহাই পাবে। আগের যুগে মায়েরা বেশিরভাগ সময় বাচ্চাদেরকে ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে রোগ সারিয়ে তোলার চেষ্টা করত। কিন্তু এখন দিন যত বেশি যাচ্ছে মানুষ তত বেশি আধুনিক হচ্ছে । আর এই আধুনিক সময়ে খুব কম সংখ্যক মানুষ রয়েছেন যারা ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করেন তাছাড়া এখন প্রত্যেকে ঔষুধের মাধ্যমে বাচ্চাদের রোগ সাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করে।

নবজাতক শিশুদের ছোটখাট জর সর্দি কাশির জন্য কখনো ঔষধ ব্যবহার করবেন না এখন থেকে বাচ্চাদেরকে ঔষুধ দ্বারা অভ্যস্ত করে তুলে পরবর্তী সময়ে তারা ছোটখাট সমস্যা তে ঔষধ ছাড়া সেরে উঠতে চাইবে না। এইজন্য বাচ্চাদেরকে চেষ্টা করবেন সবসময় ঘরোয়া পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে সেরে তোলার। যেমন উপরে আমরা আলোচনা করলাম তুলসী পাতার রস, আদার রস, আদা চা, গরম সরিষার তেল অথবা দুর্বা ঘাসের রস।

উপরের এই উপকরণগুলো কিন্তু খুবই কার্যকারী আপনি যদি উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আশা করছি দ্রুত আপনার সোনামণি কাছে থেকে রেহাই পাবে। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম নবজাতকের কাশির ঔষধ বাচ্চাদের কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় বাচ্চাদের কাশির সিরাপের নাম গুলো। বাচ্চাদের কাশির সিরাপ হল তুসকা প্লাস এবং ফেনাট সিরাপ।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন 

নবজাতকের কাশির ঔষধ কোথায় পাবো?
আপনি কি নবজাতকের কাশির ঔষধ খুঁজছেন? আমার মতে আপনারা যারা নবজাতককে কাশির ঔষধ খাওয়ানোর কথা ভাবছেন তাদের কে বলি আপনারা চেষ্টা করুন ঘরোয়া উপায় মাধ্যমে নবজাতকের কাশি দূর করার। কারণ তাদেরকে এখন থেকে ঔষধের দ্বারা অভ্যস্ত করে তুলে পরবর্তী সময়ে তাদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি সাধন হতে পারে।

বাচ্চাদের কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় কি?
বাচ্চাদের কাছে দূর করার ঘরোয়া উপায় খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। কারণ আমরা আজকের এই পোষ্টের বাচ্চাদের কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি ওপরে দেখেন তাহলে আপনি দেখতে পারবেন বাচ্চাদের কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো।

বাচ্চাদের কাশির সিরাপ এর নাম কি?
বাচ্চাদের কাছে সিরাপের মধ্যে সবচেয়ে সেরা দুইটি সিরাপ নিয়ে আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম এই দুটি সিরাপ সম্পূর্ণ সাইড ইফেক্ট মুক্ত এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি। এই দুইটি সিরাপের নাম হল তুস্কা প্লাস এবং ফেনাট সিরাপ।

লেখকের শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক গন আমরা আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে নবজাতকের কাশির ঔষধ, বাচ্চাদের কাশির সিরাপ এর নাম, বাচ্চাদের কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং বাচ্চাদের কাশি কেন হয় সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এমন সময় বাংলাদেশে গরম ও ঠান্ডা আবহাওয়া বয়ে যাচ্ছে এই সময় বাচ্চাদের অসুস্থ হয়ে পড়ে স্বাভাবিক আর বিশেষ করে বাচ্চাদের শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয় তাই তারা সহজে যে কোন রোগ বালাই দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

তবে বাচ্চাদের সাধারণত জ্বর কিংবা সর্দি কাশি হলে তাদেরকে কখনোই ঔষধ খাওয়াবেন না। চেষ্টা করবেন ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে তাদেরকে সারিয়ে তোলার। এছাড়াও যদি ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করার পরেও যদি আপনার সোনামণি কাশি থেকে রেহাই না পায় তাহলে আপনি বাচ্চাদের কাশির সিরাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। ওপরে আমরা বাচ্চাদের কাশির সিরাপ এর নাম শেয়ার করেছি।

বাচ্চাদের কাশির সিরাপ যেমন তুসকা প্লাস এবং ফেনাট সিরাপ। সত্যি খুবই কার্যকরী এবং ১০০ পার্সেন্ট ন্যাচারাল অথবা প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি। বর্তমান সময়ে বিশ্ববাজারে এমন সাইড ইফেক্ট মুক্ত ওষুধ খুঁজে পাওয়া সত্যি খুবই মুশকিল তবে শুধুমাত্র নবজাতকদের জন্য কিছু কোম্পানি এই সাইড ইফেক্ট ছাড়া তো তুসকা প্লাস এবং ফেনাট সিরাপ তৈরি করেছেন। তাই আপনারা চাইলে এই অংশটি তাদেরকে খাওয়াতে পারেন। 

তবে তুসকা প্লাস যেহেতু এই ওষুধটি তুলসী পাতার রস দ্বারা তৈরি সেক্ষেত্রে এই ঔষধটি তুলসী পাতার গন্ধযুক্ত এবং একটু তেতো তেতো। আর ফেনাট সিরাপটি মিষ্টি স্বাদ যুক্ত এবং মিষ্টি গন্ধযুক্ত হওয়ায় আপনি চাইলে ফেনাট সিরাপটি খাওয়াতে পারেন। এই সিরাপটিও ১০০ পার্সেন্ট ন্যাচারাল উপকরণ দ্বারা তৈরি এবং সম্পূর্ণ সাইড ইফেক্ট ছাড়া জ্বর ও সর্দি কাশি দূর করতে সক্ষম। এছাড়াও আমরা আজকের এই পোস্টে বাচ্চাদের কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো আলোচনা করেছি। 
পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url